নির্বাচন নিয়ে তৈরি করা প্রহসন রুখে দাঁড়াতেই জোট করেছি by সুদীপ অধিকারী
জোট-মহাজোটের
রাজনীতি বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতিতে জোটের
ভাঙা-গড়া কম দেখেনি এ দেশের মানুষ। তারপরও সম্প্রতি আটটি বাম ধারার
রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ রাজনীতিতে কিছুটা হলেও
কৌতূহল তৈরি করেছে। সিপিবি কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল
কাদেরের যাওয়া এ কৌতূহলে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। যদিও সিপিবি সভাপতি
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম একে বর্ণনা করেছেন নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসেবে।
বুধবার মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সিপিবি প্রধান ও বাম গণতান্ত্রিক
জোটের অন্যতম এই কাণ্ডারি খোলামেলা কথা বলেছেন নানা ইস্যুতে।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে প্রহসন তৈরি করা হয়েছে। এ প্রহসন রুখে দাঁড়াতেই আমরা জোট গঠন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশের মানুষের মধ্যে যেই আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল সেই আকাঙ্ক্ষা ফিরিয়ে আনতে আর একটা গণঅভ্যুত্থান ও গণ জোয়ারের প্রয়োজন। আর সেই গণ জোয়ার সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই আমরা বাম দলগুলো মিলে জোট গঠন করেছি। এটার জন্য আমরা দেশব্যাপী মিটিং-মিছিলসহ হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেব। এই সংগ্রামের অংশ হিসাবে প্রয়োজনে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো অথবা নির্বাচন বয়কট করবো। কারণ বাম গণতান্ত্রিক জোট কোনো নির্বাচনী জোট না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করা মুজাহিদুল ইসলাম আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ। সিপিবির সভাপতি ছাড়াও দলটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দুই দশক। ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। রাজনৈতিক কারণে জেল খেটেছেন একাধিকবার। ছিলেন ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি। মুক্তিযুদ্ধেও রেখেছেন ঐতিহাসিক ভূমিকা।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র মধ্যে লড়াই ক্ষমতা কেন্দ্রিক। তারা শুধু ক্ষমতা পরির্বতনের জন্যই লড়াই করেন। আর আমাদের লড়াই ক্ষমতার পাশাপাশি ব্যবস্থা পরিবর্তনের। এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ যে পরিবর্তন চেয়েছিল আমরা তা বাস্তবায়ন করতে চাই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি হলো আপদ আর বিপদ। ফুটন্ত কড়াইতে এবং জ্বলন্ত চুলায় হাত দেয়ার মতো দেশবাসীর ওপর তাদের শাসন চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। আর এই মন্দের ভালো খুঁজতে খুঁজতে মানুষ আজ দিশাহারা। তাই এদের পিছনে আর ছোটাছুটি না করে, এই দুইটাকে বাদ দিয়ে এর বাইরে যারা মুক্তিযুদ্ধপন্থি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক শক্তি আছেন, তাদের সকলকে নিয়ে বিকল্প গড়ে তুলবো আমরা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে গেলে দেখা যায়, সেখানে চারটি নীতির উল্লেখ আছে। কিন্তু সেখানে কোথাও সমাজতন্ত্র নেই। আমরা সেই সমাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। দেশে কোনো ধর্মনিরপেক্ষতা নেই বলেই আজ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম লেখা হয়েছে সেখানে। দেশে চলমান কোটা আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি কোটা থাকা প্রয়োজন। এটা থাকবে না বলে প্রধানমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে যা বলেছেন তার সঙ্গে আমরা একমত না। কোটা আন্দোলনকারীরাও কোনো সময় কোটা বাতিলের দাবি করেনি। তারা কোটা সংস্কারের দাবি করেছে। ফলে যুক্তিসঙ্গতভাবে কোটা সংস্কার কার উচিত। সরকার অন্যায়ভাবে কোটা আন্দোলনকারীদের দাবিকে বিকৃতভাবে শুধু উপস্থাপনই করে ক্ষান্ত থাকেনি বরং তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। পাকিস্তান আমলের এনএসএফের কায়দায় হামলা চালানো হচ্ছে। কোটা সমস্যা নিয়ে আর বিলম্ব না করে এটা নিরসন করা প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সিপিবি কার্যালয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের এসেছিলেন শুধু সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য। তার সঙ্গে নির্বাচন বা অন্য কোনো বিষয়ে আমাদের কথা হয়নি। তিনি বলেন, আগামীকাল যদি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দেখা করতে আসেন তাহলে কি আমি তার সঙ্গে কথা বলবো না। মানুষের সঙ্গে তো কথা হতেই পারে। সেটা নিয়ে কোনো ইস্যু তৈরি করার দরকার নেই।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে প্রহসন তৈরি করা হয়েছে। এ প্রহসন রুখে দাঁড়াতেই আমরা জোট গঠন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশের মানুষের মধ্যে যেই আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল সেই আকাঙ্ক্ষা ফিরিয়ে আনতে আর একটা গণঅভ্যুত্থান ও গণ জোয়ারের প্রয়োজন। আর সেই গণ জোয়ার সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই আমরা বাম দলগুলো মিলে জোট গঠন করেছি। এটার জন্য আমরা দেশব্যাপী মিটিং-মিছিলসহ হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেব। এই সংগ্রামের অংশ হিসাবে প্রয়োজনে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো অথবা নির্বাচন বয়কট করবো। কারণ বাম গণতান্ত্রিক জোট কোনো নির্বাচনী জোট না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করা মুজাহিদুল ইসলাম আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ। সিপিবির সভাপতি ছাড়াও দলটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দুই দশক। ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। রাজনৈতিক কারণে জেল খেটেছেন একাধিকবার। ছিলেন ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি। মুক্তিযুদ্ধেও রেখেছেন ঐতিহাসিক ভূমিকা।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র মধ্যে লড়াই ক্ষমতা কেন্দ্রিক। তারা শুধু ক্ষমতা পরির্বতনের জন্যই লড়াই করেন। আর আমাদের লড়াই ক্ষমতার পাশাপাশি ব্যবস্থা পরিবর্তনের। এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ যে পরিবর্তন চেয়েছিল আমরা তা বাস্তবায়ন করতে চাই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি হলো আপদ আর বিপদ। ফুটন্ত কড়াইতে এবং জ্বলন্ত চুলায় হাত দেয়ার মতো দেশবাসীর ওপর তাদের শাসন চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। আর এই মন্দের ভালো খুঁজতে খুঁজতে মানুষ আজ দিশাহারা। তাই এদের পিছনে আর ছোটাছুটি না করে, এই দুইটাকে বাদ দিয়ে এর বাইরে যারা মুক্তিযুদ্ধপন্থি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক শক্তি আছেন, তাদের সকলকে নিয়ে বিকল্প গড়ে তুলবো আমরা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে গেলে দেখা যায়, সেখানে চারটি নীতির উল্লেখ আছে। কিন্তু সেখানে কোথাও সমাজতন্ত্র নেই। আমরা সেই সমাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। দেশে কোনো ধর্মনিরপেক্ষতা নেই বলেই আজ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম লেখা হয়েছে সেখানে। দেশে চলমান কোটা আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি কোটা থাকা প্রয়োজন। এটা থাকবে না বলে প্রধানমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে যা বলেছেন তার সঙ্গে আমরা একমত না। কোটা আন্দোলনকারীরাও কোনো সময় কোটা বাতিলের দাবি করেনি। তারা কোটা সংস্কারের দাবি করেছে। ফলে যুক্তিসঙ্গতভাবে কোটা সংস্কার কার উচিত। সরকার অন্যায়ভাবে কোটা আন্দোলনকারীদের দাবিকে বিকৃতভাবে শুধু উপস্থাপনই করে ক্ষান্ত থাকেনি বরং তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। পাকিস্তান আমলের এনএসএফের কায়দায় হামলা চালানো হচ্ছে। কোটা সমস্যা নিয়ে আর বিলম্ব না করে এটা নিরসন করা প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সিপিবি কার্যালয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের এসেছিলেন শুধু সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য। তার সঙ্গে নির্বাচন বা অন্য কোনো বিষয়ে আমাদের কথা হয়নি। তিনি বলেন, আগামীকাল যদি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দেখা করতে আসেন তাহলে কি আমি তার সঙ্গে কথা বলবো না। মানুষের সঙ্গে তো কথা হতেই পারে। সেটা নিয়ে কোনো ইস্যু তৈরি করার দরকার নেই।
No comments