কীভাবে সম্ভব হয়েছিল ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন-ইসরায়েল 'অসলো শান্তি চুক্তি'
অসলো শান্তি চুক্তির পর নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইতজাক রাবিন এবং পিএলও নেতা ইয়ানের আরাফাত। পুরষ্কার অনুষ্ঠানে দুই নেতা। |
নরওয়ের
রাজধানী অসলোতে ১৯৯৩ সালে অত্যন্ত গোপনে এক আপোষ মীমাংসার মধ্য দিয়ে
ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি সই হয়েছিল, যা অসলো
চুক্তি নামে পরিচিতি পায়।
বোঝাপড়া হয়েছিলো - ফিলিস্তিনিরা স্বশাসনের আংশিক অধিকার পাবে এবং ইসরায়েল প্রথমে পশ্চিম তীরের জেরিকো এবং তারপর গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে। বদলে, ইসরায়েলি রাষ্ট্রের বৈধতা স্বীকার করে নেবে পিএলও।
যদিও এখন অসলো চুক্তির সাফল্য নিয়ে হরদম প্রশ্ন উঠছে, কিন্তু দশকের পর দশক ধরে অচলাবস্থার পর এই বোঝাপড়াকে সেসময় বিরাট এক সাফল্য হিসাবে দেখা হয়েছিল। এই চুক্তির জন্য ইয়াসের আরাফাত এবং তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইতজাক রাবিন নোবেল শান্তি পুরষ্কারও পেয়েছিলেন।
কিন্তু ঐ চুক্তি যাতে হতে পারে তার জন্য এমন অনেক মানুষের ভূমিকা ছিল, যাদের কথা হয়তো কেউই জানেন না।
গভীর গোপনে হতো দরকাষাকষি
তেমন একজন ছিলেন নরওয়ের কূটনীতিক মোনা ইয়ুল। টানা আট মাস ধরে তিনি অসলোতে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের ঐ বৈঠক সফল করার জন্য নিজের অবস্থান থেকে অক্লান্ত চেষ্টা করে গেছেন। কিছু বৈঠক এমনকী অসলোতে তার বাড়িতেও হয়েছে। তার সমাজবিজ্ঞানী স্বামী পুরো সময়টা তাকে সাহায্য করে গেছেন।
বিবিসির লুইস হিদালগোর কাছে তার সেই অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মোনা ইয়ুল বলেন, মাসের পর মাস গভীর-গোপনীয়তার ভেতর ঐ মীমাংসা বৈঠকের আয়োজন চালিয়ে যেতে হয়েছে তাদের।
"আমাদের কাছে তখন ঐ মীমাংসা বৈঠকই ছিল সবকিছু। গভীর গোপনীয়তা অনুসরণ করতে হতো। এমনকী আমাদের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী, পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব- কারোর সাথেই আমরা ঘুণাক্ষরে এ নিয়ে কথা বলতাম না।"
ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের প্রধান শর্ত ছিল ঘুণাক্ষরেও যেন জানাজানি না হয়। কারণ মুখোমুখি বসার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে দু-পক্ষের কাছেই অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
ঐ বৈঠকের কথা যদি তখন জানাজানি হতো, তাহলে তখনকার ইসরায়েলি সরকারের পতন হতে পারতো কারণ পিএলও'র কোনো কর্মকর্তার সাথে কথা বলা তখন ইসরায়েলে বে-আইনি ছিল।
"আমাদের (নরওয়ের) জন্যও ঝুঁকি ছিল। বিশেষ করে আমেরিকার সাথে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ ছিল আমাদের। ইসরায়েলি - ফিলিস্তিনি সংলাপ ওয়াশিংটনে না হয়ে গোপনে অসলোতে হচ্ছে - এটা অনেক আমেরিকানের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন হতো। আমরা অনেক উৎসাহী পক্ষের অগোচরে এই কাজটি করছিলাম।"
বোঝাপড়া হয়েছিলো - ফিলিস্তিনিরা স্বশাসনের আংশিক অধিকার পাবে এবং ইসরায়েল প্রথমে পশ্চিম তীরের জেরিকো এবং তারপর গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে। বদলে, ইসরায়েলি রাষ্ট্রের বৈধতা স্বীকার করে নেবে পিএলও।
যদিও এখন অসলো চুক্তির সাফল্য নিয়ে হরদম প্রশ্ন উঠছে, কিন্তু দশকের পর দশক ধরে অচলাবস্থার পর এই বোঝাপড়াকে সেসময় বিরাট এক সাফল্য হিসাবে দেখা হয়েছিল। এই চুক্তির জন্য ইয়াসের আরাফাত এবং তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইতজাক রাবিন নোবেল শান্তি পুরষ্কারও পেয়েছিলেন।
কিন্তু ঐ চুক্তি যাতে হতে পারে তার জন্য এমন অনেক মানুষের ভূমিকা ছিল, যাদের কথা হয়তো কেউই জানেন না।
গভীর গোপনে হতো দরকাষাকষি
তেমন একজন ছিলেন নরওয়ের কূটনীতিক মোনা ইয়ুল। টানা আট মাস ধরে তিনি অসলোতে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের ঐ বৈঠক সফল করার জন্য নিজের অবস্থান থেকে অক্লান্ত চেষ্টা করে গেছেন। কিছু বৈঠক এমনকী অসলোতে তার বাড়িতেও হয়েছে। তার সমাজবিজ্ঞানী স্বামী পুরো সময়টা তাকে সাহায্য করে গেছেন।
বিবিসির লুইস হিদালগোর কাছে তার সেই অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মোনা ইয়ুল বলেন, মাসের পর মাস গভীর-গোপনীয়তার ভেতর ঐ মীমাংসা বৈঠকের আয়োজন চালিয়ে যেতে হয়েছে তাদের।
"আমাদের কাছে তখন ঐ মীমাংসা বৈঠকই ছিল সবকিছু। গভীর গোপনীয়তা অনুসরণ করতে হতো। এমনকী আমাদের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী, পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব- কারোর সাথেই আমরা ঘুণাক্ষরে এ নিয়ে কথা বলতাম না।"
ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের প্রধান শর্ত ছিল ঘুণাক্ষরেও যেন জানাজানি না হয়। কারণ মুখোমুখি বসার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে দু-পক্ষের কাছেই অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
ঐ বৈঠকের কথা যদি তখন জানাজানি হতো, তাহলে তখনকার ইসরায়েলি সরকারের পতন হতে পারতো কারণ পিএলও'র কোনো কর্মকর্তার সাথে কথা বলা তখন ইসরায়েলে বে-আইনি ছিল।
"আমাদের (নরওয়ের) জন্যও ঝুঁকি ছিল। বিশেষ করে আমেরিকার সাথে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ ছিল আমাদের। ইসরায়েলি - ফিলিস্তিনি সংলাপ ওয়াশিংটনে না হয়ে গোপনে অসলোতে হচ্ছে - এটা অনেক আমেরিকানের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন হতো। আমরা অনেক উৎসাহী পক্ষের অগোচরে এই কাজটি করছিলাম।"
অসলো শান্তি চুক্তির শর্ত মেনে ১৯৯৪ সালে কায়রোতে গাজা এবং জেরিকোতে ফিলিস্তিনি শাসনের চুক্তিতে সই করছেন পিএলও নেতা আবু আলা (বামে) এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তা ইউরি সাভির। এরা দুজনই ছিলেন অসলো চুক্তির দুই কর্ণধার। |
ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি দলনেতার রসবোধ
মোনা ইয়ুলের মনে আছে, প্রথম বৈঠকটি হয়েছিল পিএলও নেতা আবু আলা এবং দুই ইসরায়েলি শিক্ষাবিদের মধ্যে। পরে তাদের সাথে যোগ দেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা - উরি সাভির।
"প্রথম দিন আমরা দু পক্ষকেই বলেছিলাম, আমরা তোমাদের জায়গা দিচ্ছি, সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি, কিন্তু মীমাংসার পথ খুঁজে বের করা তোমাদের দায়িত্ব। তারপর আমরা তাদেরকে রেখে ঘরের দরজা বন্ধ করে বাইরে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পরে ঘরের ভেতর থেকে অট্টহাসির শব্দ পেলাম। আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে শুরুটা মনে হয় ভালোই হলো"।
যারা এসেছিলেন, তারা কেমন ধরণের লোক ছিলেন? তাদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিল?
বিবিসির প্রশ্নে মোনা ইয়ুল বলেন, "দুপক্ষের মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিলো, বিশেষ করে পিএলও নেতা আবু আলা এবং ইসারায়েলি প্রতিনিধিদলের নেতা উরি সাভিরের মধ্যে যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল তা ছিল অচিন্তনীয়"।
তিনি বলেন, সাফল্যের পেছনে ঐ সম্পর্ক অনেকটাই ভূমিকা রেখেছিল।
"দুজনের চরিত্রের মধ্যে একটা মিল ছিল, তা হলো দুজনেই ছিলেন খুবই উঁচুমানের রসিক। বৈঠকে বসে তারা যেভাবে রসিকতা করতেন, তাতে তিক্ততা অনেক দূর হয়ে যেত।"
তারা কি একসাথে বসে খাবার খেতেন?
"অবশ্যই। আমরাও উৎসাহিত করতাম। অনেক সময় বৈঠকে চিৎকার চেঁচামেচি হতো, অনেক সময় বৈঠক ভেঙ্গে পর্যন্ত যেত। কিন্তু আশ্বস্ত হওয়ার মতো একটা বিষয় ছিল, আর তা হলো - দুপক্ষেরই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, অনেক সময় শুধু রসিকতা করে তারা নিজেদের ক্রোধ- উত্তেজনা দূরে সরিয়ে দিতেন।"
একদিন মোনা ইয়ুল নিজেই সেই রসিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েছিলেন যখন রাতের এক বৈঠক থেকে বেরিয়ে আবু আলা এবং উরি সাভির গম্ভীর মুখে ঘোষণা করলেন - 'অনেক হয়েছে, কথা শেষ, আমরা বাড়ি চলে যাচ্ছি।'
"তারা যখন বৈঠকের ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন, দুজনেরই মুখ ছিল খুব থমথমে। বেরিয়ে বললেন, 'আমরা দুঃখিত, এভাবে কথাবার্তায় কাজ হবেনা।' আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। তাড়াতাড়ি আমার স্বামীকে ফোন করে বললাম শীঘ্রি এসো, সবকিছু শেষ। পরে বুঝলাম তারা আমার সাথে রসিকতা করছিলেন। আমার অবস্থা দেখে দুজনেই খুব মজা পাচিছলেন ।"
অনেকবারই তাদের দুজনের এই রসিকতায় হেনস্থা হতে হয়েছে মোনা ইয়ুলকে । "তারা দুজনেই এত ভালো অভিনয় করতে পারতেন যে আমি অনেক সময় বুঝতেই পারতাম না আসল ঘটনা কী।"
আর এই রসিকতা-মজার ভেতর দিয়েই দুপক্ষ অসলো শান্তি চুক্তির কাঠামো চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন। প্রয়োজন তখন ছিল শুধু ইনিশিয়াল বা স্বাক্ষর। সাব্যস্ত হলো তাও হবে অত্যন্ত গোপনে।
মোনা ইয়ুলের মনে আছে, প্রথম বৈঠকটি হয়েছিল পিএলও নেতা আবু আলা এবং দুই ইসরায়েলি শিক্ষাবিদের মধ্যে। পরে তাদের সাথে যোগ দেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা - উরি সাভির।
"প্রথম দিন আমরা দু পক্ষকেই বলেছিলাম, আমরা তোমাদের জায়গা দিচ্ছি, সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি, কিন্তু মীমাংসার পথ খুঁজে বের করা তোমাদের দায়িত্ব। তারপর আমরা তাদেরকে রেখে ঘরের দরজা বন্ধ করে বাইরে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পরে ঘরের ভেতর থেকে অট্টহাসির শব্দ পেলাম। আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে শুরুটা মনে হয় ভালোই হলো"।
যারা এসেছিলেন, তারা কেমন ধরণের লোক ছিলেন? তাদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিল?
বিবিসির প্রশ্নে মোনা ইয়ুল বলেন, "দুপক্ষের মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিলো, বিশেষ করে পিএলও নেতা আবু আলা এবং ইসারায়েলি প্রতিনিধিদলের নেতা উরি সাভিরের মধ্যে যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল তা ছিল অচিন্তনীয়"।
তিনি বলেন, সাফল্যের পেছনে ঐ সম্পর্ক অনেকটাই ভূমিকা রেখেছিল।
"দুজনের চরিত্রের মধ্যে একটা মিল ছিল, তা হলো দুজনেই ছিলেন খুবই উঁচুমানের রসিক। বৈঠকে বসে তারা যেভাবে রসিকতা করতেন, তাতে তিক্ততা অনেক দূর হয়ে যেত।"
তারা কি একসাথে বসে খাবার খেতেন?
"অবশ্যই। আমরাও উৎসাহিত করতাম। অনেক সময় বৈঠকে চিৎকার চেঁচামেচি হতো, অনেক সময় বৈঠক ভেঙ্গে পর্যন্ত যেত। কিন্তু আশ্বস্ত হওয়ার মতো একটা বিষয় ছিল, আর তা হলো - দুপক্ষেরই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, অনেক সময় শুধু রসিকতা করে তারা নিজেদের ক্রোধ- উত্তেজনা দূরে সরিয়ে দিতেন।"
একদিন মোনা ইয়ুল নিজেই সেই রসিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েছিলেন যখন রাতের এক বৈঠক থেকে বেরিয়ে আবু আলা এবং উরি সাভির গম্ভীর মুখে ঘোষণা করলেন - 'অনেক হয়েছে, কথা শেষ, আমরা বাড়ি চলে যাচ্ছি।'
"তারা যখন বৈঠকের ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন, দুজনেরই মুখ ছিল খুব থমথমে। বেরিয়ে বললেন, 'আমরা দুঃখিত, এভাবে কথাবার্তায় কাজ হবেনা।' আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। তাড়াতাড়ি আমার স্বামীকে ফোন করে বললাম শীঘ্রি এসো, সবকিছু শেষ। পরে বুঝলাম তারা আমার সাথে রসিকতা করছিলেন। আমার অবস্থা দেখে দুজনেই খুব মজা পাচিছলেন ।"
অনেকবারই তাদের দুজনের এই রসিকতায় হেনস্থা হতে হয়েছে মোনা ইয়ুলকে । "তারা দুজনেই এত ভালো অভিনয় করতে পারতেন যে আমি অনেক সময় বুঝতেই পারতাম না আসল ঘটনা কী।"
আর এই রসিকতা-মজার ভেতর দিয়েই দুপক্ষ অসলো শান্তি চুক্তির কাঠামো চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন। প্রয়োজন তখন ছিল শুধু ইনিশিয়াল বা স্বাক্ষর। সাব্যস্ত হলো তাও হবে অত্যন্ত গোপনে।
ভোর রাতে চুক্তি সই
সেসময় ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিমন পেরেজ নরওয়ে সফরে এলেন। তার সম্মানে একটি ডিনার পার্টি দেওয়া হয়। মীমাংসাকারী দলের সদস্যদের সেই অনুষ্ঠানেও আনা হয়নি।
অতিথিদের সবাই চলে যাওয়ার পর, নরওয়ের গোয়েন্দা পুলিশ মীমাংসাকারী দুই দলের সদস্যদের পেছনের দরজা নিয়ে হাজির করে। ততক্ষণে রাত একটা বেজে গেছে। তারিখ ১৯৯৩ সালের ২৯শে অগাস্ট। শিমন পেরেজের উপস্থিতিতে সেই ভোর বেলাতেই অসলো চুক্তিতে প্রাথমিক সই করে দুপক্ষ।
"আমরা ছোটোখাটো একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। আমরা যারা এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ছিলাম, তাদের কাছে ঐ মুহূর্তটা ছিল খুবই আবেগের। ঐ সময় আমরা ঠিক বুঝতে পারিনি কতটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল সেটা। নরওয়ের গোয়েন্দা পুলিশ ঐ মুহূর্তটা রেকর্ড করেছিল। পরে দেখেছি আমরা কতটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম।"
তিন সপ্তাহ পর অসলো চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয় ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের লনে। সই করেন, পিএলও নেতা ইয়াসের আরাফাত এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইতজাক রাবিন। সইয়ের পর দুজনের করমর্দন ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। দুজনেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন।
মোনা ইয়ুল পরে ইসরায়েলে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হয়েছিলেন।
সেসময় ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিমন পেরেজ নরওয়ে সফরে এলেন। তার সম্মানে একটি ডিনার পার্টি দেওয়া হয়। মীমাংসাকারী দলের সদস্যদের সেই অনুষ্ঠানেও আনা হয়নি।
অতিথিদের সবাই চলে যাওয়ার পর, নরওয়ের গোয়েন্দা পুলিশ মীমাংসাকারী দুই দলের সদস্যদের পেছনের দরজা নিয়ে হাজির করে। ততক্ষণে রাত একটা বেজে গেছে। তারিখ ১৯৯৩ সালের ২৯শে অগাস্ট। শিমন পেরেজের উপস্থিতিতে সেই ভোর বেলাতেই অসলো চুক্তিতে প্রাথমিক সই করে দুপক্ষ।
"আমরা ছোটোখাটো একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। আমরা যারা এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ছিলাম, তাদের কাছে ঐ মুহূর্তটা ছিল খুবই আবেগের। ঐ সময় আমরা ঠিক বুঝতে পারিনি কতটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল সেটা। নরওয়ের গোয়েন্দা পুলিশ ঐ মুহূর্তটা রেকর্ড করেছিল। পরে দেখেছি আমরা কতটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম।"
তিন সপ্তাহ পর অসলো চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয় ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের লনে। সই করেন, পিএলও নেতা ইয়াসের আরাফাত এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইতজাক রাবিন। সইয়ের পর দুজনের করমর্দন ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। দুজনেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন।
মোনা ইয়ুল পরে ইসরায়েলে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হয়েছিলেন।
No comments