পিএইচডি ডিগ্রির অনুমোদন নিয়ে মন্ত্রণালয়-ইউজিসি মুখোমুখি by নূর মোহাম্মদ
পিএইচডি
ডিগ্রির অনুমোদন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। সম্প্রতি এক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার ডিগ্রি
অনুমোদন দেয়ার পর এ অবস্থা বিরাজ করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া অনুমোদনের
বিপক্ষে ইউজিসি এখন পাল্টা গণবিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা
মন্ত্রণালয় অবৈধ প্রতিষ্ঠানের সনদকে এভাবে বৈধতা দেয়া শুরু করলে
উচ্চশিক্ষা বিশেষ করে গবেষণায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। এটা থামাতেই
গণবিজ্ঞপ্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার ডিগ্রি
অনুমোদন পাওয়ার পর বন্ধ থাকা বিভিন্ন ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে নতুন
করে এমফিল, পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দেয়া শুরু করেছে।
ভুয়া এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়টি অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ১৪টি টিমে তিন মহাপরিচালকের অধীনে ৬ জন পরিচালকসহ আরো বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জাল সনদ, ভুয়া এমফিল, পিএইচডি ধরতে কাজ করছে। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের আলোকে আলাদা তদন্ত করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। এর মধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই বেসরকারি একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের পিএইচডি ডিগ্রি অনুমোদন দেয়া নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে।
ইউজিসির কর্মকর্তারা বলেন, বিদেশি নাম সর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধভাবে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন কয়েক হাজার সরকারি ও বেসরকারি লোকজন। এরমধ্যে সরকারি আমলা, ডাক্তার, প্রকৌশলী, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, সাময়িক কর্মকর্তা, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ পর্যায়ে শিক্ষকও রয়েছে। আইন অনুযায়ী, কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পিএইচডি ডিগ্রি দিতে পারে না। আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময় নেয়া পিএইচডি সনদধারী ডিগ্রির বৈধতা নেয়ার জন্য ইউজিসিতে আসতেন। এখানে অনুমোদন না হলে তাদের কেউ কেউ যান মন্ত্রণালয়ে।
বাংলাদেশ শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার ডিগ্রির অনুমোদন দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ নাখোশ। কর্মকর্তারা বলছেন, কারও সনদের বৈধতা দেয়ার এখতিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই। কারও সনদ যাচাই- বাছাই করার জন্য ইউজিসির পরামর্শ নিতে পারেন মন্ত্রণালয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার ইউজিসির। কারও উচ্চতর ডিগ্রি সমতা বিধান করে থাকে ইউজিসি। এটা করার জন্য সংস্থাটি একটি আলাদা শাখাও রয়েছে।
কিন্তু ওই কর্মকর্তার ডিগ্রির অনুমোদনের যাচাই- বাছাই না করেই সনদের বৈধতা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান মানবজমিনকে বলেন, উচ্চতর যেকোন ডিগ্রির সমতা বিধান করার একমাত্র এখতিয়ার ইউজিসির। আইন আমাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছে এবং সেটিই হচ্ছে। ওই কর্মকর্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেন তাকে দিয়েছে সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনার পর ওই কর্মকর্তার ডিগ্রির অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট শাখা।
২০১৫ সালে ওই কর্মকর্তার ডিগ্রি বেআইনি বলে ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের সে আদেশটি বাতিল করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে ইউজিসির কাছে কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি। এ আদেশ বাতিলের ফলে ওই কর্মকর্তার সনদ বৈধতা পেলে তেমনি ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ভুয়া সনদের বৈধতা দেয়া হলো। যার স্বাক্ষরে আদেশ জারি হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রালয়ের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপ-সচিব জিন্নাত রেহেনা বলেন, আমরা ওপরের নির্দেশে কাজ করেছি। আমরা কেবল ফাইল উঠিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত অনুমোদন হয়েছে।
এদিকে ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কতিপয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সরকারের অনুমোদন নয়, এমন প্রতিষ্ঠান থেকে পিএইচডি ডিগ্রিসহ বিভিন্ন ডিগ্রি নিয়েছেন এবং এগুলো তার কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতে ইউজিসি অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছেন। কমিশন বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০এ ৩৯ ধারা অনুযায়ী, এখনো কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়নি। আর স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা ২০১৪ ৪ (১) অনুযায়ী কারও কাছ থেকে এ ধরনের সনদ নেয়াও অবৈধ। এ সতর্কতা জারি করে সবাই এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে ইউজিসির ওয়েবসাইট দেখে নেয়ার অনুরোধ করেছে ইউজিসি।
ভুয়া এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়টি অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ১৪টি টিমে তিন মহাপরিচালকের অধীনে ৬ জন পরিচালকসহ আরো বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জাল সনদ, ভুয়া এমফিল, পিএইচডি ধরতে কাজ করছে। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের আলোকে আলাদা তদন্ত করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। এর মধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই বেসরকারি একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের পিএইচডি ডিগ্রি অনুমোদন দেয়া নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে।
ইউজিসির কর্মকর্তারা বলেন, বিদেশি নাম সর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধভাবে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন কয়েক হাজার সরকারি ও বেসরকারি লোকজন। এরমধ্যে সরকারি আমলা, ডাক্তার, প্রকৌশলী, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, সাময়িক কর্মকর্তা, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ পর্যায়ে শিক্ষকও রয়েছে। আইন অনুযায়ী, কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পিএইচডি ডিগ্রি দিতে পারে না। আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময় নেয়া পিএইচডি সনদধারী ডিগ্রির বৈধতা নেয়ার জন্য ইউজিসিতে আসতেন। এখানে অনুমোদন না হলে তাদের কেউ কেউ যান মন্ত্রণালয়ে।
বাংলাদেশ শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার ডিগ্রির অনুমোদন দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ নাখোশ। কর্মকর্তারা বলছেন, কারও সনদের বৈধতা দেয়ার এখতিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই। কারও সনদ যাচাই- বাছাই করার জন্য ইউজিসির পরামর্শ নিতে পারেন মন্ত্রণালয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার ইউজিসির। কারও উচ্চতর ডিগ্রি সমতা বিধান করে থাকে ইউজিসি। এটা করার জন্য সংস্থাটি একটি আলাদা শাখাও রয়েছে।
কিন্তু ওই কর্মকর্তার ডিগ্রির অনুমোদনের যাচাই- বাছাই না করেই সনদের বৈধতা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান মানবজমিনকে বলেন, উচ্চতর যেকোন ডিগ্রির সমতা বিধান করার একমাত্র এখতিয়ার ইউজিসির। আইন আমাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছে এবং সেটিই হচ্ছে। ওই কর্মকর্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেন তাকে দিয়েছে সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনার পর ওই কর্মকর্তার ডিগ্রির অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট শাখা।
২০১৫ সালে ওই কর্মকর্তার ডিগ্রি বেআইনি বলে ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের সে আদেশটি বাতিল করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে ইউজিসির কাছে কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি। এ আদেশ বাতিলের ফলে ওই কর্মকর্তার সনদ বৈধতা পেলে তেমনি ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ভুয়া সনদের বৈধতা দেয়া হলো। যার স্বাক্ষরে আদেশ জারি হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রালয়ের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপ-সচিব জিন্নাত রেহেনা বলেন, আমরা ওপরের নির্দেশে কাজ করেছি। আমরা কেবল ফাইল উঠিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত অনুমোদন হয়েছে।
এদিকে ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কতিপয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সরকারের অনুমোদন নয়, এমন প্রতিষ্ঠান থেকে পিএইচডি ডিগ্রিসহ বিভিন্ন ডিগ্রি নিয়েছেন এবং এগুলো তার কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতে ইউজিসি অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছেন। কমিশন বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০এ ৩৯ ধারা অনুযায়ী, এখনো কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়নি। আর স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা ২০১৪ ৪ (১) অনুযায়ী কারও কাছ থেকে এ ধরনের সনদ নেয়াও অবৈধ। এ সতর্কতা জারি করে সবাই এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে ইউজিসির ওয়েবসাইট দেখে নেয়ার অনুরোধ করেছে ইউজিসি।
No comments