দুর্ঘটনাই কাল হলো পবনের
সামান্য দুর্ঘটনাই কাল হলো বিএনপি মহাসচিব
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আকতার হামিদ পবনের। সেই দুর্ঘটনায় গ্রেফতার
হওয়ার পর পবনের বোমা নাটকের কাহিনী আদালতে ফাঁস করে দিয়েছে নোয়াখালী জেলার
সোনাইমুড়ি থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সাহা।
পাশাপাশি
ঘটনাচক্রে বিএনপি সাংসদ ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবদীন
ফারম্নকের নামও জড়িয়ে পড়েছে। পবনসহ ৪ জনের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। হালনাগাদ
খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে সম্প্রতি দু'বার বোমা হামলা হয়েছে। সর্বশেষ
হামলা হয় গত ২৩ ফেব্রম্নয়ারি রাত সোয়া ১০টায়। এ হামলার মাত্র কয়েক মিনিট
পর ইউনাইটেড হাসপাতালের পশ্চিম পাশের চৌরাসত্মা মোড়ে দ্রম্নতগতির একটি
মোটরসাইকেলের সঙ্গে রিক্সার সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী ও
রিক্সাচালক মারাত্মক আহত হন। আহত রিক্সাচালককে ফেলে মোটরসাইকেল আরোহী
দ্রম্নত পালানোর চেষ্টা করে। আর বিপত্তিটা দেখা দেয় এখানেই। এ সময় স্থানীয়
জনতা ধাওয়া করে মোটরসাইকেল আরোহীকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে
জনতা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের ডিসি মাইনুল হাসান ও এডিসি
মোলস্না নজরম্নল ইসলাম জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বোমা হামলা
এবং কাকতালীয়ভাবে প্রায় একই সময়ে ঘটনাস্থল থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে যুবকের
মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট হওয়ার ঘটনা সন্দেহের সৃষ্টি করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে
আটক যুবক গোয়েন্দাদের জানায়, তার নাম প্রদীপ সাহা। সে নোয়াখালী জেলার
সোনাইমুড়ি থানা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক। সে আরও জানায়, বোমা হামলার পর
দ্রম্নত পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর তাতেই ফাঁস হয়ে যায় পুরো
পরিকল্পনা। গোয়েন্দারা বলছেন, দুর্ঘটনায় প্রদীপ গ্রেফতার না হলে হয়ত কেউ
কোনদিন জানতেও পারত না খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বোমা হামলার সঙ্গে আকতার
হামিদ পবন জড়িত।
প্রদীপের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বোমা হামলায় ব্যবহৃত পবনের বন্ধু আবুল কালাম আজাদ ওরফে শোভন গ্রেফতার হয়। শোভন সাংবাদিকদের বলেছে, ঘটনার কয়েক মিনিট আগে ২ যুবক পবনের সঙ্গে কথা বলে। পরে পবন শোভনকে জানায়, একটু পরেই এখানে সিনক্রিয়েট হবে। এমন কথাবার্তার পর নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ওমর ফারম্নক ও অপর এক যুবক শোভনের লালগাড়িতে উঠে বসে। এরপরই বোমা হামলা হয়। পরে শোভন দুই যুবকসহ দ্রম্নত গতিতে গাড়িযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ওই দু'যুবকের হাতে ১শ' টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাদের পান্থপথের মোড়ে নামিয়ে দেয়া হয়। ঘটনার সঙ্গে নানাভাবেই শোভন ও পবনের গাড়ির প্রসঙ্গ চলে আসায় গোয়েন্দারা গাড়ি দু'টি জব্দ করে। শোভনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে প্রদীপ সাহা মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। মামলার তদনত্ম সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়, বোমা হামলা মামলায় পবন, রনি, শাহাদত ও জাহিদ নামে ৪ জনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ঘটনার রাতে প্রদীপ সাহা নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ওমর ফারম্নককে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে মতিঝিল থেকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে পেঁৗছে। এর আগেই শোভনের জব্দকৃত গাড়িটি নিয়ে পবন-শোভন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে পেঁৗছে। এরপর পবনের সঙ্গে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কথা হয়। পবনের নির্দেশ মোতাবেক রনি, শাহাদত ও জাহিদ বোমা হামলা চালায়। এরপর প্রদীপ সাহা দ্রম্নত গতিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে গিয়ে রিক্সার সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দ্রম্নত পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে।
এদিকে বোমা হামলার পর পরই বিএনপি সাংসদ ও সংসদের বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারম্নক গুলশান থানার ওসির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এ ব্যাপারে গুলশান থানার ওসি কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বোমা হামলার পর সংসদ সদস্য জয়নাল আবদীন ফারম্নক তাঁর (ওসি) মোবাইলে ফোন করেন। ফোনে সংসদ সদস্য জয়নাল আবদীন ফারম্নক জনতার হাতে আটক হওয়া প্রদীপকে না ছেড়ে দিতে আমাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। বলেন, প্রদীপ বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত। তাকে গ্রেফতার করম্নন।
গোয়েন্দারা বলছে, ঘটনার পর পরই সংসদ সদস্য জয়নাল আবদীন ফারম্নকের এ ধরনের নির্দেশ রহস্যজনক। ঘটনার সঙ্গে তিনিও জড়িত থাকতে পারেন।
প্রদীপের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বোমা হামলায় ব্যবহৃত পবনের বন্ধু আবুল কালাম আজাদ ওরফে শোভন গ্রেফতার হয়। শোভন সাংবাদিকদের বলেছে, ঘটনার কয়েক মিনিট আগে ২ যুবক পবনের সঙ্গে কথা বলে। পরে পবন শোভনকে জানায়, একটু পরেই এখানে সিনক্রিয়েট হবে। এমন কথাবার্তার পর নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ওমর ফারম্নক ও অপর এক যুবক শোভনের লালগাড়িতে উঠে বসে। এরপরই বোমা হামলা হয়। পরে শোভন দুই যুবকসহ দ্রম্নত গতিতে গাড়িযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ওই দু'যুবকের হাতে ১শ' টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাদের পান্থপথের মোড়ে নামিয়ে দেয়া হয়। ঘটনার সঙ্গে নানাভাবেই শোভন ও পবনের গাড়ির প্রসঙ্গ চলে আসায় গোয়েন্দারা গাড়ি দু'টি জব্দ করে। শোভনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে প্রদীপ সাহা মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। মামলার তদনত্ম সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়, বোমা হামলা মামলায় পবন, রনি, শাহাদত ও জাহিদ নামে ৪ জনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ঘটনার রাতে প্রদীপ সাহা নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ওমর ফারম্নককে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে মতিঝিল থেকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে পেঁৗছে। এর আগেই শোভনের জব্দকৃত গাড়িটি নিয়ে পবন-শোভন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে পেঁৗছে। এরপর পবনের সঙ্গে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কথা হয়। পবনের নির্দেশ মোতাবেক রনি, শাহাদত ও জাহিদ বোমা হামলা চালায়। এরপর প্রদীপ সাহা দ্রম্নত গতিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে গিয়ে রিক্সার সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দ্রম্নত পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে।
এদিকে বোমা হামলার পর পরই বিএনপি সাংসদ ও সংসদের বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারম্নক গুলশান থানার ওসির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এ ব্যাপারে গুলশান থানার ওসি কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বোমা হামলার পর সংসদ সদস্য জয়নাল আবদীন ফারম্নক তাঁর (ওসি) মোবাইলে ফোন করেন। ফোনে সংসদ সদস্য জয়নাল আবদীন ফারম্নক জনতার হাতে আটক হওয়া প্রদীপকে না ছেড়ে দিতে আমাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। বলেন, প্রদীপ বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত। তাকে গ্রেফতার করম্নন।
গোয়েন্দারা বলছে, ঘটনার পর পরই সংসদ সদস্য জয়নাল আবদীন ফারম্নকের এ ধরনের নির্দেশ রহস্যজনক। ঘটনার সঙ্গে তিনিও জড়িত থাকতে পারেন।
No comments