ভেজাল ওষুধ- ভেজাল ওষুধের মাধ্যমে দেশের কোটি মানুষকে নীরবে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে
ভেজাল ও নকল ওষুধ গণস্বাস্থ্যের জন্য
রীতিমতো হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোপূর্বে ফরমালিন ও রাসায়নিকযুক্ত মাছ ও
শাকসবজির বিষয়ে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে।
রাজধানীর কিছু
কিছু বাজারে কর্তৃপক্ষে খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে তৎপর হয়েছে। কর্তৃপক্ষ
ইতোমধ্যে রাজধানীর কিছুু কাঁচাবাজার ফরমালিনমুক্ত ঘোষণা করেছে। একদিক
সামলাতে গিয়ে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত বেসামাল হয়ে গেছে। জানা গেছে,
রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ পাইকারি ওষুধের বাজার থেকে ভেজাল ওষুধ অবাধে
দেশের সর্বত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। দীর্ঘকাল ধরে ভেজাল খাদ্য খেয়ে সুস্থ
মানুষ নানা ধরনের জটিল অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন রোগ সারাতে গিয়ে ভেজাল
ওষুধ খেয়ে তারা আরও বেশি অসুস্থ হচ্ছেন। নকল ও ভেজাল ওষুধ খেয়ে তাদের রোগের
জটিলতা বাড়ছে। তবে সরকার জনস্বার্থে কল্যাণে পদক্ষেপ নিচ্ছে। সীমিত সম্পদ
সত্ত্বেও দেশে সরকারী হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিবছরই প্রত্যন্ত
গ্রামাঞ্চলে নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হচ্ছে। ডাক্তাররা যাতে
বাধ্যতামূলকভাবে গ্রামে তাদের কর্মস্থলে থাকেন এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু কিছু ভেজাল ওষুধ ব্যবসায়ীর কারণে তা
ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত
জনগণের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
কোটি কোটি টাকার এই ভেজাল ওষুধের ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত আছে কয়েকটি সুসংগঠিত
অপরাধী চক্র। গণমানুষের শত্রু এই অপরাধীদের শনাক্ত করা তেমন কঠিন কিছু নয়।
ভেজাল ওষুধের মাধ্যমে দেশের কোটি মানুষকে নীরবে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে; কিন্তু এক জন্য দায়ী অপরাধী চক্র সর্বাদাই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। একটি অনুসন্ধানে জানা গেছে, গর্ভবতী মায়েদের প্রয়োজনীয় ইনজেকশন নকলসহ সব ধরনের দরকারী ওষুধ নকল করা হয়। এসব নকল ইনজেকশন গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে মা জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন, অসুস্থ শিশুর জন্ম দিচ্ছেন। একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশের ২৬৭টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৪০টির ওষুধ মানসম্মত। সম্প্রতি ইটের গুঁড়ার সঙ্গে নানা ধরনের কেমিক্যাল মিশিলয়ে ভেজাল ওষুধ তৈরির খবরও উদঘাটিত হয়েছে।
ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো জরুরী।
ভেজাল ওষুধের মাধ্যমে দেশের কোটি মানুষকে নীরবে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে; কিন্তু এক জন্য দায়ী অপরাধী চক্র সর্বাদাই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। একটি অনুসন্ধানে জানা গেছে, গর্ভবতী মায়েদের প্রয়োজনীয় ইনজেকশন নকলসহ সব ধরনের দরকারী ওষুধ নকল করা হয়। এসব নকল ইনজেকশন গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে মা জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন, অসুস্থ শিশুর জন্ম দিচ্ছেন। একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশের ২৬৭টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৪০টির ওষুধ মানসম্মত। সম্প্রতি ইটের গুঁড়ার সঙ্গে নানা ধরনের কেমিক্যাল মিশিলয়ে ভেজাল ওষুধ তৈরির খবরও উদঘাটিত হয়েছে।
ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো জরুরী।
No comments