যে কোন সময় শিবিরের নয়া কার্যকরী পরিষদ ঘোষণা- নির্বাচন নিয়ে রহস্য
দেশব্যাপী শিবির নেতাদের গণপদত্যাগের মধ্যে কোথায় কিভাবে নির্বাচন হয়েছে তার কোন খরব নেই। কারা ভোট দিয়েছে তারও হদিস নেই। কিন্তু তার পরও নতুন কার্যকরী পরিষদ গঠনের কাজ শেষ।
যে কোন সময় ঘোষণা করা হবে শিবিরের নতুন কার্যকরী পরিষদ। সভাপতি হিসেবে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের আশীর্বাদপুষ্ট রেজাউল করিমই থাকছেন। এদিকে পদত্যাগ করলেও জামায়াত-শিবির নেতাদের সামনে 'তওবা' করে শিবিরে ফিরে এসেছেন কয়েকজন কার্যকরী পরিষদ সদস্য। অন্যদিকে বিদ্রোহীরা দাবি করেছেন, সারাদেশে কার্যকরী পরিষদ (কাপ) নির্বাচনে অংশ নেয়নি অধিকাংশ সদস্য। সভাপতি রেজাউল করিম নিজের মতো কাপ গঠন করেছেন। রেজাউল করিমের দাবি, সদস্যগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেছে।জানা গেছে, সেক্রেটারিসহ কার্যকরী পরিষদের ২৬ সদস্যের গণপদত্যাগের পর সঙ্কট সমাধানে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর তত্ত্বাবধানে দ্রম্নত শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশব্যাপী সদস্যদের পদত্যাগের মধ্যেই নির্বাচন হয়েছে বলে দাবি করছেন জামায়াত-শিবির নেতারা। কেউ শিকার না করলেও জানা গেছে, সভাপতি হিসেবে রেজাউল করিমকেই রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতেও ভোট গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। সূত্র জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। তবে ঘোষণার পর আবারও সঙ্কটের আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যনত্ম সিদ্ধানত্ম চূড়ানত্ম করতে পারেনি সংগঠনটি। শিবিরের অফিস বৃহস্পতিবারও ছিল প্রায় ফাঁকা। সভাপতির মোবাইল ছিল যথারীতি বন্ধ। অফিসে ফোন করলে বলা হয় বাইরে আছেন। তবে রাতে সভাপতি এক বিবৃতিতে শিবিরের বিরম্নদ্ধে গণমাধ্যমের অপপ্রচারণার অভিযোগ এনেছেন। বলেছেন, ২৫ ফেব্রম্নয়ারি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিয়ে অব্যাহত অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রেজাউল করিম। বিবৃতিতে তিনি বলেন, কিছু কিছু মিডিয়া আমাদের গঠনমূলক কার্যক্রম প্রচার না করে আমাদের দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা অভ্যনত্মরী সৌন্দর্যকে নষ্ট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। পত্রিকায় যে সব কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাখা দায়িত্বশীলের নাম পদত্যাগী হিসেবে উলেস্নখ করা হয়েছে অথচ তাদের অনেকেই স্বীয় দায়িত্ব সংগঠনের আনুগত্যের মধ্য থেকে পালন করে যাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সারাদেশে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরম্নদ্ধে যখন আওয়ামী সরকারের দমন-নিপীড়ন চলছে সে সময় সদস্যগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেছে, এ জন্য আমরা মহান আলস্নাহ রাব্বুল আলামীনের শুকরিয়া আদায় করছি এবং সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অন্যদিকে বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, সারাদেশে কোথাও কাপ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না সদস্যরা, বিভিন্ন শাখা থেকে পদত্যাগ করছে শত শত সদস্য। রেজাউল করিম নিজের মতো কাপ গঠন করতে যাচ্ছে।
No comments