মুজাহিদের সিদ্ধান্তে প্ল্যান করে শিবির রাবিতে হত্যাকা- ঘটিয়েছে- রফিকুল, বুলবুল ও রেজাউলের মোবাইল জব্দের দাবি খোদ শিবিরের একাংশের
রাবির বর্বরতার জন্য জামায়াত নেতা আলী আহসা মোহাম্মদ মুজাহিদ, রফিকুল ইসলাম খান, নুরম্নল ইসলাম বুলবুল এবং শিবির সভাপতি রেজাউল করিমকে দায়ী করেছে শিবিরের বিদ্রোহীরা।
'সেভ শিবিরের' ব্যাপারে অন্দোলনরত বিদ্রোহীরা একই সঙ্গে বর্বরতার দায়ে অভিযুক্ত ঐ নেতাদের গ্রেফতার করে তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করার দাবি জানিয়েছেন। র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রৰাকারী বাহিনীর প্রতি সাধারণ শিবির সদস্যদের নির্যাতন না করার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছেন, মুজাহিদের নেয়া সিদ্ধানত্ম বাসত্মবায়ন করতেই রফিকুল ইসলাম খান, নুরম্নল ইসলাম বুলবুল ও রেজাউল করিম পস্নান করে রাবিতে হত্যাকা- ঘটিয়েছে। এই তিনজনই এক সময় রাবি শিবিরের সভাপতি ছিলেন। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করে এই ব্যক্তিদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করম্নন। আর ঘটনার দিন তাদের মোবাইল নম্বর থেকে কোথায় কোথায় ফোন করা হয়েছে তা খুঁজে দেখলেই সব কিছু জানা যাবে।বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার রাতে রাবির বর্বরতার তথ্য তুলে ধরে বিভিন্ন সাংবাদিকের কাছে মেইল পাঠিয়ে প্রশাসনের কাছে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মেইলে 'সেভ শিবিরের' ব্যানারে আন্দোলনরত রাজশাহী কলেজের এক শিবির সদস্য বলেছেন, 'রাবির শিবির নেতা নোমানী ভাইয়ের হত্যাকারীকে পাওয়া গেছে'_ এই বলে সেই রাতে ছাত্রলীগের ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছিল। জানা গেছে, প্রকাশ্যে না এলেও মেইল, ফ্যাক্স এবং টেলিফোনে সাংবাদিকদের সঙ্গে শিবিরের এই অংশের যোগাযোগে রীতিমতো অস্থিরতার মধ্যে পড়েছে জামায়াত ও শিরির নেতারা। যদিও শিবির সভাপতির সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, দলে কোন বিরোধ নেই। এসব আমাদের প্রতিপৰের তথ্যসন্ত্রাসের অংশ। জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রম্নরয়ারি শিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জামায়াত নেতারা শিবির সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানোর পর কিছুটা নমনীয় অবস্থানে ছিল গোপনে সংগঠিত হওয়া শিবিরের এই গ্রম্নপটি। যদিও ভেতরে ভেতরে ুদ্ধ ছিল মাঠপর্যায়ের এই নেতাকর্মীরা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগে পাঠানো একটি মেইলকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের অস্থিরতায় পড়েছিল জামায়াত নেতারা। কারণ অভিযোগ ছিল খোদ জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, ঢাকা মহানগর আমীর রফিকুল ইসলাম খান এবং শিবিরের সভাপতি রেজাউল করিমের বিরম্নদ্ধেই। সেভ শিবিরের পৰে বলা হয়, 'সেভ শিবিরের' ঠিকানা থেকে। যেখানে বলা হয়েছে, আমরা ইসলামের দুশমন রেজাউল করিমের পদত্যাগ চাই। আমরা আলস্নার কাছে দোয়া করি, আলস্নাহ তুমি রেজাউল করিম, আলী আহসা মোহাম্মদ মুজাহিদ, রফিকুল ইসলাম খানসহ যারা শিবিরের ৰতি করল দুনিয়াতেই তুমি তাদের শাসত্মি দিও। বলা হয়েছে, সারাদেশের শিবিরের হাজার হাজার সমর্থক, কর্মী, সাথী, সদস্য আমাদের সঙ্গে আছে। এরপর আরও একটি মেইল পাঠিয়ে জামায়াত নেতাদের রীতিমতো আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়েছে, শিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগেই অভিযুক্তদের হাত থেকে শিবিরকে রৰা করতে হবে। কারণ কোন দুর্নীতিবাজ লোক ইসলামী রাজনীতি করতে পারে না। গত ৬ ফেব্রম্নয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পর থেকে বাকি সময়টা অনেকটা নীরবই ছিল আন্দোলনকারীরা। তবে ভেতরে ভেতরে সবসময়ই ছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু রাজশাহীর বর্বরতার পর আবার নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল তারা।
এবার একই ব্যানার থেকে রাজশাহীর ঘটনার জন্য সরাসরি জামায়াত নেতাদের দায়ী করেছে রাজশাহী কলেজের এক শিবির সদস্য। তবে এবার শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় এবং রাবি সভাপতি নুরম্নল ইসলাম বুলবুলকেও দায়ী করা হয়েছে। মেইলে আইনশৃঙ্খলা রৰাকারী বাহিনীর কাছে অভিযুক্তদের আটক করা ছাড়াও বলা হয়েছে, এদের কারণেই শিবিরের আজ এই সঙ্কট। আমরা এই শয়তানগুলোর পদত্যাগ চাই। কঠিন শাসত্মি চাই। জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, আপনাকে জানাতে চাই, কয়েকটা ব্যক্তির জন্যই আপনার দল আজ শেষ হয়ে যাচ্ছে। মেইলের শেষে শিবির থেকে দুর্নীতিবাজ ও ৰমতা লোভীদের অপসারণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
No comments