'ভারতের ডিএনএ বয়ে চলেছে কংগ্রেস'
রাজনীতিতে রাহুল গান্ধীর অভিষেক বেশ আগেই। ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজনীতির ময়দানে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হলো তাঁর। আর অভিষেক ভাষণেই রীতিমতো ছক্কা হাঁকালেন তিনি।
গত রবিবার রাতে দেওয়া ওই ভাষণে রাহুল বলেছেন, 'ভারতের ডিএনএ বয়ে চলেছে কংগ্রেস। এ কারণেই কিছু ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতায় এসেছে দল। কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনগণই এখন আমার জীবন।' ভাষণে দেশ ও দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনার কথা বলেছেন তিনি। বলেছেন তরুণদের কথা, জানিয়েছেন নারী অধিকারের পক্ষে নিজ অবস্থানের কথা। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, তাঁর নিজের পরিবার_কোনো কিছুই বাদ পড়েনি।
দলের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে ৪২ বছর বয়সী ক্যামব্রিজ ও অক্সফোর্ড শিক্ষিত রাহুলের নাম ঘোষণা করা হয় গত শনিবার জয়পুরে অনুষ্ঠিত দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে। পরদিন মঞ্চে ওঠেন তিনি। দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, 'সবটুকু সাধ্য দিয়ে দেশ ও দলের জন্য লড়ব আমি। আপনারা সবাই এই লড়াইয়ে শরিক হোক। মুষ্টিমেয় লোকের হাতে রাজনীতি সীমাবদ্ধ থাকবে, তা হতে পারে না। এখন দুর্নীতিবাজরাই দুর্নীতি নির্মূলের কথা বলেন। যাঁরা নারীদের হেনস্থা করেন তাঁরাই মুখে নারী উন্নয়নের খই ফোটান।' তিনি যোগ্য ব্যক্তিদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। তরুণদের রাজনীতিতে আসার আহবান জানান তিনি। ভাষণ দেওয়ার সময় মা সোনিয়া গান্ধী ও বোন প্রিয়াংকাও মঞ্চে ছিলেন।
আট বছর ধরে ভারতের গ্রামাঞ্চল ঘুরে রাজনীতিতে শিক্ষনবিশী করার পর দারিদ্র্য প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, 'গরিবরা ক্ষমতাহীন এবং দারিদ্র্যের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। তাদের ভাগ্যোন্নয়নের সিদ্ধান্ত যাঁরা নেবেন তাঁরা ক্ষমতাসীন এবং অনেক দূরের মানুষ। এই দূরত্ব ঘোচাতে হবে।' ইংরেজি ও হিন্দি_দুই ভাষাতেই স্বাধীনতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, 'অহিংসার মাধ্যমে লড়াইয়ে ব্রিটিশদের তাড়িয়েছি আমরা।' ভাষণের এক পর্যায়ে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন তিনি। বললেন, দাদি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কথা। 'ছোটবেলায় দাদির দুই দেহরক্ষী আমাকে ব্যাডমিন্টন খেলা শিখিয়েছিলেন। একদিন শুনলাম, তাঁরাই দাদিকে হত্যা করেছেন।' তাঁর অত্যন্ত সাহসী বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকেও ওই সময় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখেছেন তিনি। সেই বাবাও আজ অতীত। হত্যাকাণ্ডের স্বীকার তিনিও।
নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর বহু মানুষ রাহুলকে অভিনন্দন জানিয়েছে। গত শনিবার রাতে সোনিয়া গান্ধী রাহুলের ঘরে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। রাহুলের ভাষায়, 'মা জানেন, ক্ষমতার মধ্যে বিষ থাকে।' রাহুলের ভাষণের সময়ও সোনিয়ার চোখে পানি দেখা গেছে।
ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং উঠে গিয়ে রাহুলকে জড়িয়ে ধরেন। দলের মধ্যে তো বটেই, বিরোধীরাও রাহুলের এই বক্তব্যের প্রশংসা করেছে। বলা হচ্ছে, এর মধ্যে দিয়েই রাহুল জানিয়ে দিলেন, তিনি তৈরি। বিরোধী ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র নির্মলা সীতারামন বলেন, 'রাহুল বিরোধী দলের নেতাদের মতো কথা বলছিলেন।' আগামী বছরের নির্বাচনকে সামনে রেখে কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা সময়ই বলে দেবে। সূত্র : এএফপি, ডন, জিনিউজ, এনডিটিভি।
দলের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে ৪২ বছর বয়সী ক্যামব্রিজ ও অক্সফোর্ড শিক্ষিত রাহুলের নাম ঘোষণা করা হয় গত শনিবার জয়পুরে অনুষ্ঠিত দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে। পরদিন মঞ্চে ওঠেন তিনি। দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, 'সবটুকু সাধ্য দিয়ে দেশ ও দলের জন্য লড়ব আমি। আপনারা সবাই এই লড়াইয়ে শরিক হোক। মুষ্টিমেয় লোকের হাতে রাজনীতি সীমাবদ্ধ থাকবে, তা হতে পারে না। এখন দুর্নীতিবাজরাই দুর্নীতি নির্মূলের কথা বলেন। যাঁরা নারীদের হেনস্থা করেন তাঁরাই মুখে নারী উন্নয়নের খই ফোটান।' তিনি যোগ্য ব্যক্তিদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। তরুণদের রাজনীতিতে আসার আহবান জানান তিনি। ভাষণ দেওয়ার সময় মা সোনিয়া গান্ধী ও বোন প্রিয়াংকাও মঞ্চে ছিলেন।
আট বছর ধরে ভারতের গ্রামাঞ্চল ঘুরে রাজনীতিতে শিক্ষনবিশী করার পর দারিদ্র্য প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, 'গরিবরা ক্ষমতাহীন এবং দারিদ্র্যের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। তাদের ভাগ্যোন্নয়নের সিদ্ধান্ত যাঁরা নেবেন তাঁরা ক্ষমতাসীন এবং অনেক দূরের মানুষ। এই দূরত্ব ঘোচাতে হবে।' ইংরেজি ও হিন্দি_দুই ভাষাতেই স্বাধীনতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, 'অহিংসার মাধ্যমে লড়াইয়ে ব্রিটিশদের তাড়িয়েছি আমরা।' ভাষণের এক পর্যায়ে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন তিনি। বললেন, দাদি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কথা। 'ছোটবেলায় দাদির দুই দেহরক্ষী আমাকে ব্যাডমিন্টন খেলা শিখিয়েছিলেন। একদিন শুনলাম, তাঁরাই দাদিকে হত্যা করেছেন।' তাঁর অত্যন্ত সাহসী বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকেও ওই সময় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখেছেন তিনি। সেই বাবাও আজ অতীত। হত্যাকাণ্ডের স্বীকার তিনিও।
নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর বহু মানুষ রাহুলকে অভিনন্দন জানিয়েছে। গত শনিবার রাতে সোনিয়া গান্ধী রাহুলের ঘরে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। রাহুলের ভাষায়, 'মা জানেন, ক্ষমতার মধ্যে বিষ থাকে।' রাহুলের ভাষণের সময়ও সোনিয়ার চোখে পানি দেখা গেছে।
ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং উঠে গিয়ে রাহুলকে জড়িয়ে ধরেন। দলের মধ্যে তো বটেই, বিরোধীরাও রাহুলের এই বক্তব্যের প্রশংসা করেছে। বলা হচ্ছে, এর মধ্যে দিয়েই রাহুল জানিয়ে দিলেন, তিনি তৈরি। বিরোধী ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র নির্মলা সীতারামন বলেন, 'রাহুল বিরোধী দলের নেতাদের মতো কথা বলছিলেন।' আগামী বছরের নির্বাচনকে সামনে রেখে কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা সময়ই বলে দেবে। সূত্র : এএফপি, ডন, জিনিউজ, এনডিটিভি।
No comments