আলজেরিয়া সরকারের দাবি-ইন আমেনাসে নিহতের সংখ্যা ৬৭
আলজেরিয়ায় ইন আমেনাস গ্যাস ক্ষেত্রে জিম্মির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৬৭-তে দাঁড়িয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবদেলমালেক সেল্লাল গতকাল এই তথ্য জানান। গত রবিবার উদ্ধারকর্মীরা নতুন ২৫টি দেহ খুঁজে পায়। তার পরই সরকার এই বিবৃতি দেয়। এর মধ্যে ৩৭ বিদেশি শ্রমিক ও ২৯ জঙ্গি রয়েছে।
তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে স্থানীয় নিরাপত্তাকর্মীদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ পত্রিকা টেলিগ্রাফ জানায়, গ্যাস ক্ষেত্রের অন্তত পাঁচ কর্মী অপহরণের ঘটনায় জড়িত ছিল।
গত শনিবার সেনা অভিযানে আলজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ইন আমেনাস গ্যাস ক্ষেত্রে জিম্মি ঘটনার সমাপ্তি ঘটে। বুধবার গ্যাস ক্ষেত্রে হামলার পর আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা প্রায় চার দিন অনির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রমিককে জিম্মি করে রাখে। মালিতে ফরাসি অভিযান বন্ধের দাবিতে গ্যাস ক্ষেত্রে হামলা চালিয়েছিল তারা। বৃহস্পতিবার এক অভিযানে প্রায় ৬৫০ শ্রমিককে মুক্ত করেন আলজেরিয়ার সেনারা। তবে জঙ্গিদের পুরোপুরি প্রতিহত করতে ব্যর্থ হন তাঁরা। শনিবার দ্বিতীয় দফা সেনা অভিযানে অবশিষ্ট ৩২ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়। রবিবার আলজেরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৫ জিম্মির মৃত্যুর তথ্য জানায় এবং নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে। পরে গ্যাস ক্ষেত্রে আরো ২৫টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে জঙ্গি ও সেনাদের পাল্টাপাল্টি হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়ার কারণে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। গতকালও উদ্ধার তৎপরতা চলছিল। ইন আমেনাসের ঘটনাকে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর জিম্মির ঘটনা বলে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ মঙ্গলবার নাগাদ গ্যাস ক্ষেত্রের স্বাভাবিক কাজ আবার শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন আলজেরিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী ইউসেফ ইউসুফি।
ছয় ব্রিটিশ নাগরিক ও ব্রিটেনে বসবাসকারী আরেক ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ জানান, ২২ ব্রিটিশ নাগরিক জঙ্গি হামলা থেকে বেঁচে দেশে ফিরেছেন। জাপান সরকার তাদের ৯ নাগরিকের মৃত্যুর তথ্য জানায়। নিহতদের মধ্যে ফিলিপাইনের ছয় নাগরিক রয়েছেন। দুই দফা সেনা অভিযানে ১০৭ বিদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। জঙ্গি হামলার সময় গ্যাস ক্ষেত্রে ১৩২ জন বিদেশি ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট দল সিগনেটরিজ ইন ব্লাডের নেতা মোখতার বেলমোখতার এক ভিডিওতে ইন আমেনাসে হামলার দায় স্বীকার করেছেন। মৌরিতানিয়ার ওয়েবসাইট সাহারা মিডিয়ায় ভিডিওটি প্রকাশিত হয়। এটি গত ১৭ জানুয়ারি ধারণ করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভিডিওতে বেলমোখতার বলেন, 'আল-কায়েদার পক্ষ থেকে আমরা এই অভিযানের দায় স্বীকার করছি। মালিতে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ হলে পশ্চিমা দেশগুলো ও আলজেরীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় রাজি আছি আমরা।' আলাদা এক বিবৃতিতে ফ্রান্স ও মালির জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে সাহায্যকারী আফ্রিকান ৯টি দেশের হামলার হুমকি দিয়েছে সিগনেটরিজ ইন ব্লাড। গত রবিবার ইন আমেনাসে উপস্থিত ৩২ জঙ্গির সবাইকে হত্যার দাবি করে আলজেরিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে বেলমোখতার হামলাকারীর সংখ্যা ৪০ বলে দাবি করেন। কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো অন্তত পাঁচ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে জীবিত গ্রেপ্তারের তথ্য জানায়। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ জানায়, ইন আমেনাসের অন্তত পাঁচ কর্মী জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। এর মধ্যে একজন ফরাসি নাগরিকও রয়েছে। কড়া পাহারা থাকার পরও গ্যাস ক্ষেত্রে হামলা ও বিদেশি শ্রমিকদের জিম্মি করার ব্যাপারে ভেতর থেকে সাহায্য করেছে তারা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, টেলিগ্রাফ।
গত শনিবার সেনা অভিযানে আলজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ইন আমেনাস গ্যাস ক্ষেত্রে জিম্মি ঘটনার সমাপ্তি ঘটে। বুধবার গ্যাস ক্ষেত্রে হামলার পর আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা প্রায় চার দিন অনির্দিষ্ট সংখ্যক শ্রমিককে জিম্মি করে রাখে। মালিতে ফরাসি অভিযান বন্ধের দাবিতে গ্যাস ক্ষেত্রে হামলা চালিয়েছিল তারা। বৃহস্পতিবার এক অভিযানে প্রায় ৬৫০ শ্রমিককে মুক্ত করেন আলজেরিয়ার সেনারা। তবে জঙ্গিদের পুরোপুরি প্রতিহত করতে ব্যর্থ হন তাঁরা। শনিবার দ্বিতীয় দফা সেনা অভিযানে অবশিষ্ট ৩২ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়। রবিবার আলজেরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৫ জিম্মির মৃত্যুর তথ্য জানায় এবং নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে। পরে গ্যাস ক্ষেত্রে আরো ২৫টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে জঙ্গি ও সেনাদের পাল্টাপাল্টি হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়ার কারণে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। গতকালও উদ্ধার তৎপরতা চলছিল। ইন আমেনাসের ঘটনাকে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর জিম্মির ঘটনা বলে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ মঙ্গলবার নাগাদ গ্যাস ক্ষেত্রের স্বাভাবিক কাজ আবার শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন আলজেরিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী ইউসেফ ইউসুফি।
ছয় ব্রিটিশ নাগরিক ও ব্রিটেনে বসবাসকারী আরেক ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ জানান, ২২ ব্রিটিশ নাগরিক জঙ্গি হামলা থেকে বেঁচে দেশে ফিরেছেন। জাপান সরকার তাদের ৯ নাগরিকের মৃত্যুর তথ্য জানায়। নিহতদের মধ্যে ফিলিপাইনের ছয় নাগরিক রয়েছেন। দুই দফা সেনা অভিযানে ১০৭ বিদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। জঙ্গি হামলার সময় গ্যাস ক্ষেত্রে ১৩২ জন বিদেশি ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট দল সিগনেটরিজ ইন ব্লাডের নেতা মোখতার বেলমোখতার এক ভিডিওতে ইন আমেনাসে হামলার দায় স্বীকার করেছেন। মৌরিতানিয়ার ওয়েবসাইট সাহারা মিডিয়ায় ভিডিওটি প্রকাশিত হয়। এটি গত ১৭ জানুয়ারি ধারণ করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভিডিওতে বেলমোখতার বলেন, 'আল-কায়েদার পক্ষ থেকে আমরা এই অভিযানের দায় স্বীকার করছি। মালিতে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ হলে পশ্চিমা দেশগুলো ও আলজেরীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় রাজি আছি আমরা।' আলাদা এক বিবৃতিতে ফ্রান্স ও মালির জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে সাহায্যকারী আফ্রিকান ৯টি দেশের হামলার হুমকি দিয়েছে সিগনেটরিজ ইন ব্লাড। গত রবিবার ইন আমেনাসে উপস্থিত ৩২ জঙ্গির সবাইকে হত্যার দাবি করে আলজেরিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে বেলমোখতার হামলাকারীর সংখ্যা ৪০ বলে দাবি করেন। কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো অন্তত পাঁচ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে জীবিত গ্রেপ্তারের তথ্য জানায়। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ জানায়, ইন আমেনাসের অন্তত পাঁচ কর্মী জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। এর মধ্যে একজন ফরাসি নাগরিকও রয়েছে। কড়া পাহারা থাকার পরও গ্যাস ক্ষেত্রে হামলা ও বিদেশি শ্রমিকদের জিম্মি করার ব্যাপারে ভেতর থেকে সাহায্য করেছে তারা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, টেলিগ্রাফ।
No comments