বি'বাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রাবাসে বোমা ৭ শিবির গ্রেফতার
বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রাবাসে বোমা বিষ্ফোরণ ঘটে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৭জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও প্রত্য্যদশর্ীরা জানায়, রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ৩নং ছাত্রা্বাসে প্রথমে ৩/৪টি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। পরে প্রচ- শব্দে আরও একটি বিস্ফোরণ হয়। এ সময় গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে পুলিশ হল সুপার মফিজুর রহমান (২৫), হলের সিকিউরিটি গার্ড আতিকুর রহমান (২৮), ছাত্র মোঃ রোমান (১৮), মাহমুদুল হাসান (১৮), মনিরম্নল ইসলাম (১৭), মুকিত সরকার (১৮), মোহামুদুল ইসলাম (১৮)কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। তাদের বিরম্নদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। প্রত্যদশর্ীরা জানায়, বোমা বিস্ফোরণে কেউ হতাহত না হলেও রম্নমের জানালার কাঁচ ও টিউব লাইট ভেঙ্গে পড়েছে। তবে পুরো ঘটনাটি রহস্য জনক বলে সংশিস্নষ্টরা মনে করছে। ঘটনার দীর্ঘণ পর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতর্া মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম দাবি করেছেন, গ্রেফতারকৃতরা ছাত্র শিবিরের কমর্ী। স্থানীয় সূএ জানায়, স্কুলের মালিকানা নিয়ে বিরোধের কারণে পরিকল্পিতভাবে এটি হয়ে থাকতে পারে। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজটি স্থানীয় জামায়াত নেতারা পরিচালনা করছেন।এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, বাইরে থেকে প্রথমে ছাত্রাবাসের জানালায় গুলি করা হয়। কমপ ে৫/৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। প্রত্যদশর্ীদের বরাত দিয়ে দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, প্রথমে যে শব্দ হয়েছে সে সব শব্দ গুলির। পরেরটি বোমার। ঘটনার পরপর সরকারী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সদর থানার এসআই ফেরদৌস জাহান বাদী হয়ে বিস্ফোরক উপাদানবলী ১৯০৮ আইন অনুসারে মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতর্া আরও জানায়, গ্রেফতারকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়। এদিকে স্কুলের মালিকানার সঙ্গে ভারতের এক নাগরিক বাংলাদেশের মিথ্যা পরিচয়ে যুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
No comments