জয় তব জয় - শিকদার মোহাম্মদ আলী
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সমগ্র জাতির অভাবনীয় প্রতীা আর দীর্ঘনিশ্বাসের সমাপ্তি হয়েছে গত ২৭ জানুয়ারিতে। এই পরম প্রাপ্তির মুহূর্তে সব রকম আনন্দ-বেদনায়,
সংগ্রামে ও জীবনে বাঙালীর পরম আশ্রয়দাতা কবিগুরুর 'নমস্কার' কবিতার পঙ্ক্তি দিয়ে লেখাটি শুরু করছি।আলোক যাহার
জ্বলিয়াছে বিদ্ধ করি দেশের অাঁধার
ধ্রুবতারকার মতো! জয় তব জয়!
কে আজি ফেলিবে অশ্রু, কে করিবে ভয় --
সত্যেরে করিবে খর্ব কোন্ কাপুরুষ
নিজেকে করিতে রা! কোন্ অমানুষ
তোমার বেদনা হতে না পাইবে বল!
১৯৪৭ সালে ভ্রান্ত দ্বি-জাতিতত্ত্বের মোহ এবং রাহুর কবলে পড়ে আমরা নিপতিত হয়েছিলাম একটা গভীর অন্ধকূপের ভিতর। এই কূপের ভিতর পড়ে দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত হাজারো সংগ্রামের মাধ্যমে এবং অগণিত প্রাণের বিনিময়ে সমগ্র বাঙালী জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই আলোর পথ ধরে তাঁরই নেতৃত্বে আরও ৩০ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অন্ধকূপের তস্কর ও দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাজিত করে নতুন সূর্যের নবদিগন্ত পাখা বিস্তার করে নবোদয় হয়েছিল বাঙালী জাতির। বাঙালী তাদের হাজার বছরের ইতিহাসে সর্বপ্রথম একটা পরিপূর্ণ স্বাধীন দেশ পেল_ বাংলাদেশ। তাই বাঙালী, বাংলাদেশ ও শেখ মুজিব এক ও অবিচ্ছেদ্য। বাঙালীর হৃদয়ে তিনি অবিনশ্বর এবং অনির্বাণ। কিন্তু একদল কুলভ্রষ্ট কুলাঙ্গার পুরনো সেই তস্করদের সহযোগিতায় স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করেছিল এই মহানায়ককে। ফলে একাত্তরে উদিত নবসূর্যের আলো ঢাকা পড়ে গিয়েছিল খুনীদের তরবারির ছায়ায়। পরবতর্ী ঘটনাপ্রবাহ ও কালো অধ্যায়ের ইতিহাস আমরা সকলেই এখন জানি। দেশে শুরু হয় সেনা স্বৈর শাসন। ধর্মান্ধ ও জঙ্গীবাদ জেঁকে বসে রাষ্ট্রের সর্বত্র। মিথ্যাচার আর রাজাকার কবলিত রাষ্ট্রযন্ত্র অনবরত বন্দনা করতে থাকে পরিত্যক্ত পাকিস্তানী চিন্তা-চেতনার। ইতিহাসের এই নির্মম ও জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক স্তব্ধতাকে ওই হত্যাকারী কুয়ার ব্যাঙসম কীটরা মনে করেছিল তাদের জয় হয়েছে। দম্ভোক্তি করে হত্যাকাণ্ডকে নিজেদের কৃতিত্ব বলে প্রচার করেছে এবং বলেছে, 'কারও মতা থাকলে যেন বিচার করে।' কিন্তু এসব কূপমণ্ডুক বুঝতে পারেনি যে, মুজিবের প্রতিটি রক্তের ফোঁটা থেকে বাংলার মাটিতে কোটি কোটি মুজিবের জন্ম হবে। সেই কোটি মুজিবের গগনবিদারী হৃঙ্কারের যে আওয়াজ হবে তা ওই আপাত নিস্তব্ধ কালো অধ্যায়ের আচ্ছাদনকে ভেদ করে ধ্রুবতারার মতো আলো ছড়াবে এবং সব মিথ্যাচার ও ভণ্ড প্রতারকদের মুখোশ উন্মোচন করে দেবে। তাই আজ দীর্ঘ ৩৪ বছর পর হলেও সত্যের জয় হয়েছে, ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পঁচাত্তরের অস্তগত সূর্য আরও শক্তিশালী আলোকরশ্মি নিয়ে নতুনভাবে উদিত হচ্ছে। পৃথিবীর ইতিহাসে রাষ্ট্রনায়কদের হত্যাকাণ্ডসমূহের যেভাবে বিচার হয়েছে, সে বিচারগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে সাধারণ ফৌজদারী আদালতে দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত বিচার প্রক্রিয়ার সকল ধাপ অতিক্রম করে মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ খুনীর মধ্যে আটককৃত পাঁচ খুনীর ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়েছে গত ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত্রি ১২ টার পর। সারাদেশের মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। ধর্ম-বর্ণ-দল-মত নির্বিশেষে আবালবৃদ্ধবনিতা থেকে শুরু করে পন্ডিত ও প্রাজ্ঞজন অভিমত ব্যক্ত করেছেন এই বলে যে, জাতির কলঙ্কমুক্তির যাত্রা শুরু হলো, দেশের অভ্যন্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হলো। বহির্বিশ্বে পুনরায় আমরা সভ্য জাতি হিসাবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে সম হলাম ইত্যাদি ইত্যাদি। নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, হিন্দুস্তান টাইমস, লন্ডনের ডেইলি মিররসহ বিশ্বের খ্যাতনামা পত্রিকাসমূহ এই বিচারকার্য ও ফাঁসির কার্যকরণের খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। বিবিসি ও আলজাজিরার মতো বিশ্বের সর্বোচ্চ জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক মিডিয়া এই ফাঁসির খবরকে ব্রেকিং নিউজ করেছে। অথচ এদেশেরই একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী সম্পূর্ণ নীরবতা পালন করছে। জামায়াতের কথা না বলার সঙ্গত কারণ আছে। তারা দল হিসাবে যুদ্ধাপরাধী। তাদের সকল শীর্ষ নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে এদেশের মানুষ দ্বারা অভিযুক্ত। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শেষ ও কার্যকরণের পর এখন তাদের পালা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের দাবিদার বিএনপির প থেকে এই লেখাটি শেষ হওয়া পর্যন্ত কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের থেকে কোন রকম প্রতিক্রিয়া না পাওয়াটা নিঃসন্দেহে সব শ্রেণীর মানুষের মনেই নানা প্রশ্নের উদ্রেক করবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বিএনপি নেতারা এক প্রকার পলায়নমুখ পরিস্থিতিতে ছিলেন। সব দেখেশুনে লেখার শুরুতে উদ্ধৃত রবীন্দ্রনাথের কবিতার পঙ্ক্তি পুনরুল্লেখ করতে হয়। "সত্যের করিবে খর্ব কোন্ কাপুরুষ নিজেরে করিতে রা।" ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পরপর ২৮ আগস্ট লন্ডনের খ্যাতনামা পত্রিকা 'দি লিসনার' মন্তব্য প্রতিবেদনে বলেছিল "শেখ মুজিব সরকারীভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং জনগণের হৃদয়ে উচ্চতম আসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবেন। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার, এটা যখন ঘটবে, তখন নিঃসন্দেহে বুলেটে তাঁর তবিত বাসগৃহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্মারকচিহ্ন এবং তাঁর কবরস্থান পুণ্যতীর্থে পরিণত হবে।" এই ভবিষ্যদ্বাণীটি আজ যে বাস্তবেই সত্যে পরিণত হয়েছে তা বোধকরি এখন আর বলার অপো রাখে না। জিয়া, এরশাদ এবং বেগম খালেদা জিয়া যে, খুনীদের শুধু আশ্রয় প্রশ্রয়-ই দেয়নি, পুরস্কৃত করেছে, বিদেশে রাষ্ট্রের প্রতিনিধি করে জাতিকে কলঙ্কিত করেছে; সেই খুনীদের মৃতদেহ ও কফিনের ওপর এদেশের মানুষ জুতা নিপে করেছে, থু-থু দিয়ে চরম ঘৃণা প্রকাশ করেছে। তাদের লাশ তাদেরই জন্মস্থানে তাদের এলাকার লোকজনই কবর দিতে বাধা দিয়েছে। খুনী কর্নেল ফারুকের লাশ দেখার জন্য বিদেশ থেকে তার স্ত্রী ও পুত্র পরিজন কেউ আসেনি। এখানে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে হয় যে, এই খুনীদের নেতা, বাংলার বেইমান খন্দকার মোশতাকের ১৯৯৬ সালে স্বাভাবিক মৃতু্যর পর তার ছেলেরা কেউ তার লাশ দেখতেও আসেনি, কবর দিতেও আসেনি। মোশতাকের আগামসি লেনের বাড়িতে মানুষ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে জুতা নিপে করে এবং থু-থু ফেলে। অন্যদিকে পাঁচ খুনীর ফাঁসি কার্যকরের খবর শুনে কনকনে শীত উপো করে রাত্রি দেড়টা থেকে মানুষের ঢল নেমেছে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে। বিশ্লেষকদের অনুমান, সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন এই খুনীদের খুন করার কাজে উৎসাহদাতা ও নীরব সমর্থনকারীদের মুখোশ জনতার কাছে উন্মোচিত হবে এবং মানুষ তাদের প্রতিও বেইমান মোশতাক ও খুনীদের মতো একই আচরণ করবে। তবে এখন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক এবং স্বাধীনতার সূর্যের আলোতে আলোকিত সমস্ত মানুষকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে এবং কোন রকম আত্মতুষ্টিকে প্রশ্রয় দেয়া চলবে না। সবেমাত্র পাঁচ খুনীর শাস্তি কার্যকর হয়েছে, এটি একটি জাতীয় ট্র্যাজেডির শেষ অধ্যায় নয়। ন্যায়বিচারের পথযাত্রা পাঁচটি ফাঁসির মাধ্যমেই সমাপ্তি ঘটেনি। বলা যায় সবেমাত্র শুরু। যেতে হবে অনেক দূরে। এখনও জীবিত ৬ খুনী বিভিন্ন দেশে আত্মগোপন করে আছে। এই খুনীরা তাদের জীবন রার্থে যে কোন বেপরোয়া পদপে নিতে দ্বিধাবোধ করবে না। কারণ তারা জানে, তাদের জন্য ফাঁসির কাষ্ঠ এখন অবধারিত। আর তাদের প্রতি সহানভূতিশীল ও পৃষ্ঠপোষকরা এদেশে আজ ধনেজনে সুপ্রতিষ্ঠিত। যদিও এই সহানুভূতিশীল ও পৃষ্ঠপোষক গোষ্ঠী জনরোষের ভয়ে আপাতদৃষ্টিতে স্তব্ধ ও নীরব হয়ে আছে। তারা হয়ত ভেবেছিল যে, তাদের বিদেশী মুরবি্বরা এই খুনীদের রা করতে সম হবে। কিন্তু বর্তমান সময়ের পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতির সমীকরণে এখন আর তা সম্ভব হয়নি। এ সত্যটিও ওই খুনীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দানকারী এদেশীয় গোষ্ঠী উপলদ্ধি করতে পেরে কৌশলগত আত্মরার পথ বেছে নেয়ার চেষ্টা করবে। আগামীতে প্রগতিশীল শক্তির যে কোন দুর্বলতা ও অসতর্কতার সুযোগ যদি তারা পায়, তাহলে সর্বশক্তি নিয়ে পুনরায় ওই অপশক্তি সম্মুখ সমরে যে ঝাঁপিয়ে পড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাই গ্রেট দার্শনিক মাও সেতুং-এর তত্ত্ব_ 'শত্রু যখন আত্মরার জন্য পিছু হটবে, তখন তাকে ধাওয়া করে পর্যদুস্ত করতে হবে।' তাই যত দ্রুত সম্ভব অন্য ৬ খুনীকে দেশে এনে দণ্ডাদেশ কার্যকর করতে হবে। একই সাথে অন্যান্য যে কলঙ্ক জাতির সামনে কালো ছায়া ফেলে রেখেছে তাও দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা নিতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জেলখানার ভিতর চার জাতীয় নেতা হত্যার বিচার, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা এবং চট্টগামে দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলার যদি সঠিক ও স্বচ্ছ বিচার হয় তাহলে জাতির ললাট থেকে সকল কলঙ্ক মুছে যাবে। আগামী ১০/১৫ বছরের ভিতর বাংলাদেশ তার সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি সম্মানজনক মধ্যম সারির উন্নত দেশে পরিণত হবে। যার ভবিষ্যদ্বাণীসহ বাস্তব রূপরেখাও দেশের খ্যাতনামা পণ্ডিত ও অর্থনীতিবিদগণ করে রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুকে যদি এভাবে জীবন দিতে না হতো, তাহলে বাংলাদেশে এতদিনে যে পাশর্্ববতর্ী মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকেও এগিয়ে থাকত তাও দেশের গবেষকগণ গবেষণা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। তবে কঠিন সত্য হলো, বঙ্গবন্ধু শারীরিকভাবে আর কখনও আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন না। তবে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ সবোপরি তাঁর ত্যাগের যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তা সমগ্র বাঙালী জাতির মনে প্রোথিত হয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু আজ আর কোন দলের নয়, সমগ্র জাতির উৎসাহ, প্রেরণা ও এগিয়ে যাওয়ার জাগ্রত শক্তি। ১৯৭০ সালের ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু বেতার ও টেলিভিশনে নির্বাচনী ভাষণ দিয়েছিলেন। ভাষণের এক পর্যায়ে তিনি বলেছিলেন, "জীবনে আমি যদি একলাও হয়ে যাই, মিথ্যা আগরতলা ষড়যন্ত্রের মতো আবারো যদি মৃতু্যর পরোয়ানা আমার সামনে দাঁড়ায় তাহলেও আমি শহীদের পবিত্র রক্তের সাথে বেঈমানী করবো না। আপনারা যে ভালবাসা আমার প্রতি আজও অুণ্ন রেখেছেন, জীবনে যদি কোন দিন প্রয়োজন হয় তবে আমার রক্ত দিয়ে হলেও আপনাদের এ ভালবাসার ঋণ পরিশোধ করবো (দৈনিক ইত্তেফাক ২৯ অক্টোবর ১৯৭০)। বঙ্গবন্ধু তাঁর কথা রেখেছেন। রক্ত দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, বাংলার মানুষের মুক্তির প্রশ্নে তিনি কোন আপোস করেননি। তাই তো আজ দেখি, ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মঞ্চে আগত সব খলনায়ক একে একে নিিেপত হচ্ছে ইতিহাসের অাঁস্তাকুড়ে। অপকর্মে জড়িত জ্ঞানপাপী মুর্খরা বোঝেনি যে, মুজিব শুধু একজন ব্যক্তির নাম নয়। মুজিব একটি চেতনা, একটি আদর্শ, একটি জীবন দর্শন এবং সারাবিশ্বের মুক্ত মানুষ ও মানবতার প্রতীক। আর তাঁর সবকিছুই হলো অবিনশ্বর ও সীমাহীন। সুতরাং জয় তব মুজিবেরই, অন্য কিছু বা কারও নয়। লেখাটি শুরু করেছিলাম রবীন্দ্রনাথের 'নমস্কার' কবিতার পঙ্ক্তি দিয়ে। শেষ করতে চাই জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশে রবীন্দ্রনাথের 'সুপ্রভাত' কবিতা থেকে কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করে :
জীবন সঁপিয়ে, জীবনেশ্বর,
পেতে হবে তব পরিচয়;
তোমার ডঙ্কা হবে যে বাজাতে
সকল শঙ্গা করি জয়।
No comments