২৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত আসর
বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০১৩-এর বিভাগীয় পর্যায়ের নির্বাচন শেষ। এতে ৮০০ শিক্ষার্থী বিজয়ী নির্বাচন করা হয়েছে। বিজয়ীরা ২৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করবে।
লিখেছেন আসিফ
সকাল ৮টা। কুয়াশায় ঢাকা পুরো জগৎ। ছুটে চলেছি গাজীপুর, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পেঁৗছে দেখলাম প্রবল শীতকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে আগত ৫৪৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরীক্ষা শেষে ডুয়েটের অডিটোরিয়ামে এক অংশগ্রহণকারী বলে উঠল, মহাবিশ্ব কেন প্রসারিত হয়, নিউটনের গতির সমীকরণে আদিবেগ শূন্য হয়ে গেলে সমীকরণটি কেমন নড়বড়ে হয়ে যায়। কেন? তখন একজন শিক্ষক সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বললেন, শেখার সময় ত্বরণ ও বেগ সংক্রান্ত ধারণাগুলোকে ঠিকমতো না শেখার কারণেই এই ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এ রকম অসংখ্য প্রশ্নই সেদিন বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে এসেছিল।
এভাবেই ১১ জানুয়ারি দেশজুড়ে হাজার হাজার প্রাণবন্ত কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী সমবেত হয়েছিল বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী ও সমকালের আয়োজনে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০১৩-এ। দেশের ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিভাগীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে ১০ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেক কেন্দ্রে বিজয়ী-বিজিতদের জয়-পরাজয়_ সব কিছুর ঊধর্ে্ব সবার উচ্চারণে এক ধ্বনি ছিল 'বিজ্ঞান শিখব-দেশকে গড়ব'। ৮০০ শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের মেডেল, সনদপত্র, টি-শার্ট দিয়ে উৎসাহিত ও পুরস্কৃত করা হয়। বিভাগীয় অলিম্পিয়াডে বিজয়ী এসব শিক্ষার্থী ২৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত আসরে বসবে।
বিজ্ঞান শিক্ষা জনপ্রিয় করার আন্দোলনের ঢেউ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে বিভাগীয় অলিম্পিয়াডগুলো অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ, গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বান্দরবান মাতামুহুরী ডিগ্রি কলেজ, খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ, মংলার দিগরাজ ডিগ্রি কলেজ, ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মানসিংহের আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ, পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, ঢাকা মহানগরীর নটর ডেম কলেজ, ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা সেন্ট জোসেফ স্কুল ও ঢাকার মিরপুর শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ।
২৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে বিজয়ী ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করবে তাদের যাতায়াত বাবদ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কৃর্তপক্ষ একটা সম্মানী প্রদান করবে। প্রশ্নপত্র আগের মতোই এমসিকিউ পদ্ধতিতেই হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে ১০ শিক্ষার্থীকে মনোনীত করা হবে। তাদের মেডেল, সনদপত্র ও অনুদান দিয়ে উৎসাহিত ও পুরস্কৃত করা হবে। অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার ভেতর দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের জগৎকেই শুধু জানবে না, নিজেকেও আবিষ্কার করবে তার অসীম সম্ভাবনায়। হ
সকাল ৮টা। কুয়াশায় ঢাকা পুরো জগৎ। ছুটে চলেছি গাজীপুর, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পেঁৗছে দেখলাম প্রবল শীতকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে আগত ৫৪৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরীক্ষা শেষে ডুয়েটের অডিটোরিয়ামে এক অংশগ্রহণকারী বলে উঠল, মহাবিশ্ব কেন প্রসারিত হয়, নিউটনের গতির সমীকরণে আদিবেগ শূন্য হয়ে গেলে সমীকরণটি কেমন নড়বড়ে হয়ে যায়। কেন? তখন একজন শিক্ষক সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বললেন, শেখার সময় ত্বরণ ও বেগ সংক্রান্ত ধারণাগুলোকে ঠিকমতো না শেখার কারণেই এই ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এ রকম অসংখ্য প্রশ্নই সেদিন বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে এসেছিল।
এভাবেই ১১ জানুয়ারি দেশজুড়ে হাজার হাজার প্রাণবন্ত কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী সমবেত হয়েছিল বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী ও সমকালের আয়োজনে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০১৩-এ। দেশের ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিভাগীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে ১০ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেক কেন্দ্রে বিজয়ী-বিজিতদের জয়-পরাজয়_ সব কিছুর ঊধর্ে্ব সবার উচ্চারণে এক ধ্বনি ছিল 'বিজ্ঞান শিখব-দেশকে গড়ব'। ৮০০ শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের মেডেল, সনদপত্র, টি-শার্ট দিয়ে উৎসাহিত ও পুরস্কৃত করা হয়। বিভাগীয় অলিম্পিয়াডে বিজয়ী এসব শিক্ষার্থী ২৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত আসরে বসবে।
বিজ্ঞান শিক্ষা জনপ্রিয় করার আন্দোলনের ঢেউ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে বিভাগীয় অলিম্পিয়াডগুলো অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ, গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বান্দরবান মাতামুহুরী ডিগ্রি কলেজ, খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ, মংলার দিগরাজ ডিগ্রি কলেজ, ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মানসিংহের আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ, পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, ঢাকা মহানগরীর নটর ডেম কলেজ, ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা সেন্ট জোসেফ স্কুল ও ঢাকার মিরপুর শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ।
২৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে বিজয়ী ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করবে তাদের যাতায়াত বাবদ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কৃর্তপক্ষ একটা সম্মানী প্রদান করবে। প্রশ্নপত্র আগের মতোই এমসিকিউ পদ্ধতিতেই হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে ১০ শিক্ষার্থীকে মনোনীত করা হবে। তাদের মেডেল, সনদপত্র ও অনুদান দিয়ে উৎসাহিত ও পুরস্কৃত করা হবে। অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার ভেতর দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের জগৎকেই শুধু জানবে না, নিজেকেও আবিষ্কার করবে তার অসীম সম্ভাবনায়। হ
No comments