ভাঙন ঠেকানোর ব্লক নৌকা-ট্রলারে!
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তৈরি করা ব্লক চুরি হয়ে যাচ্ছে। এই ঘাট থেকে চলাচলকারী ৩৫ থেকে ৪০টি নৌকা-ট্রলারের মাঝিরা এগুলো চুরি করে নৌকায় তুলে রাখছেন।
নৌকা-ট্রলারের মাঝিরা জানান, নৌকায় ব্লক রাখলে ব্লকের ভারে নৌকা বেশি পানির সংস্পর্শে আসে। এতে নৌকা ভালোভাবে চলতে পারে।
সরেজমিনে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে দেখা গেছে, মাঝিরা নৌকা ও ট্রলারে ব্লক তুলে রেখেছেন। ৩৫ থেকে ৪০টি নৌকা-ট্রলারের প্রতিটিতে ছয় থেকে সাতটি করে ব্লক রয়েছে। ঘাট এলাকায় তৈরি আরও প্রায় এক হাজার ব্লক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছরের জুনে ওই এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে পাউবো ঠিকাদারের মাধ্যমে ব্লক তৈরি করে। জুলাইয়ে সেখানে কিছু নদে ফেলা হয়। এগুলো তৈরির পর অব্যবহূত অবস্থায় পড়ে আছে। নৌকা-ট্রলারের মাঝিরা নদ থেকে ব্লক তুলে এবং ওই এলাকায় তৈরি করে রাখা ব্লক নিয়ে নৌকায় রাখেন। এ ছাড়া ভাঙন ঠেকাতে নদের তীরে ফেলে রাখা ব্লকও তাঁরা নিয়ে নৌকায় রাখেন।
মায়ের দোয়া ট্রলারের চালক জাকির হোসেন জানান, এখানে অন্তত ৪০টি নৌকা-ট্রলার চলাচল করে। প্রতিটিরই কমপক্ষে ছয় থেকে সাতটি ব্লক রয়েছে। ট্রলারচালক মো. রুবেল বলেন, ‘আমার ট্রলারে ছয়টি ব্লক রাখছি। নদে চলার সময় ট্রলারের পাখায় পানি পাওয়ার জন্য ওজন হিসেবে ওই ব্লক ব্যবহার করা হচ্ছে।’
মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের ইজারাদার আলতাফ হোসেন জানান, ব্লক কাউকে বলে কেউ উঠাচ্ছেন না। পাউবো বর্ষার সময় এগুলো ফেলে, যা স্রোতে ভেসে যায়। এখন নদ শান্ত। এখন ব্লক ফেলা হলে চুরি হতো না। অন্যদিকে ভাঙন প্রতিরোধ হতো। জানা গেছে, বড় একটি ব্লক তৈরি করতে প্রায় ৪০০ টাকা খরচ হয়।
ব্লক তৈরির ঠিকাদার আসাদুজ্জামান জানান, অনেক ব্লক চুরি হয়। এলাকার এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে ব্লক নেই। ট্রলারের চালকেরা চুরি করে এগুলো নিয়ে গেছেন। পাউবো শুধু এগুলো নির্মাণের পর গণনা করে যায়। এরপর চুরি বা খোয়া গেলে এর সব ব্যয় তাঁদের বহন করতে হয়।
পাউবো বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ জানান, সব জায়গা থেকেই ব্লক চুরি হয়। এ ব্যাপারে তাঁদের কিছু করার নেই। চুরি করলে বা নিয়ে গেলে সব দায় ঠিকাদারের। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বরাদ্দ না থাকায় ব্লকগুলো ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু হবে।
সরেজমিনে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে দেখা গেছে, মাঝিরা নৌকা ও ট্রলারে ব্লক তুলে রেখেছেন। ৩৫ থেকে ৪০টি নৌকা-ট্রলারের প্রতিটিতে ছয় থেকে সাতটি করে ব্লক রয়েছে। ঘাট এলাকায় তৈরি আরও প্রায় এক হাজার ব্লক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছরের জুনে ওই এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে পাউবো ঠিকাদারের মাধ্যমে ব্লক তৈরি করে। জুলাইয়ে সেখানে কিছু নদে ফেলা হয়। এগুলো তৈরির পর অব্যবহূত অবস্থায় পড়ে আছে। নৌকা-ট্রলারের মাঝিরা নদ থেকে ব্লক তুলে এবং ওই এলাকায় তৈরি করে রাখা ব্লক নিয়ে নৌকায় রাখেন। এ ছাড়া ভাঙন ঠেকাতে নদের তীরে ফেলে রাখা ব্লকও তাঁরা নিয়ে নৌকায় রাখেন।
মায়ের দোয়া ট্রলারের চালক জাকির হোসেন জানান, এখানে অন্তত ৪০টি নৌকা-ট্রলার চলাচল করে। প্রতিটিরই কমপক্ষে ছয় থেকে সাতটি ব্লক রয়েছে। ট্রলারচালক মো. রুবেল বলেন, ‘আমার ট্রলারে ছয়টি ব্লক রাখছি। নদে চলার সময় ট্রলারের পাখায় পানি পাওয়ার জন্য ওজন হিসেবে ওই ব্লক ব্যবহার করা হচ্ছে।’
মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের ইজারাদার আলতাফ হোসেন জানান, ব্লক কাউকে বলে কেউ উঠাচ্ছেন না। পাউবো বর্ষার সময় এগুলো ফেলে, যা স্রোতে ভেসে যায়। এখন নদ শান্ত। এখন ব্লক ফেলা হলে চুরি হতো না। অন্যদিকে ভাঙন প্রতিরোধ হতো। জানা গেছে, বড় একটি ব্লক তৈরি করতে প্রায় ৪০০ টাকা খরচ হয়।
ব্লক তৈরির ঠিকাদার আসাদুজ্জামান জানান, অনেক ব্লক চুরি হয়। এলাকার এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে ব্লক নেই। ট্রলারের চালকেরা চুরি করে এগুলো নিয়ে গেছেন। পাউবো শুধু এগুলো নির্মাণের পর গণনা করে যায়। এরপর চুরি বা খোয়া গেলে এর সব ব্যয় তাঁদের বহন করতে হয়।
পাউবো বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ জানান, সব জায়গা থেকেই ব্লক চুরি হয়। এ ব্যাপারে তাঁদের কিছু করার নেই। চুরি করলে বা নিয়ে গেলে সব দায় ঠিকাদারের। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বরাদ্দ না থাকায় ব্লকগুলো ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু হবে।
No comments