দুর্নীতিতে জনগণ অতিষ্ঠ নেতাদের তা বুঝতে হবে
ভারতের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী দলীয় নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দুর্নীতির কারণে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। বিষয়টি নেতাদের বুঝতে হবে। কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে না এবং এ কারণেই নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত বেশ কয়েকটি প্রদেশে ক্ষমতা হারিয়েছে।
জয়পুরে গতকাল শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই দিনের সম্মেলন উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। ২০১৪ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে দলের নীতিনির্ধারণই এ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো।
আজ শনিবার কংগ্রেসের কোর কমিটির দুই দিনের বৈঠকের শেষ দিন। এই বৈঠক চিন্তন শিবির নামেও পরিচিত। আগামীকাল একই স্থানে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। উদ্বোধনী বক্তব্যে দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেন, 'ভুল পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে নয়, বরং সুশৃঙ্খল ও সংঘবদ্ধ দল হিসেবে কাজ করতে না পারার কারণে জনতার কাছ থেকে প্রাপ্য অনেক সুযোগ নষ্ট করছি আমরা। আমরা এ কথা কেন ভুলে যাচ্ছি যে আমাদের প্রত্যেকের জয়ের মধ্যেই দলের জয় নিহিত রয়েছে।' প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি, রাহুল গান্ধী, অম্বিকা সোনিসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সোনিয়া আরো বলেন, 'দুর্নীতির কারণে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আমাদের এ বিষয়টি বুঝতে হবে। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে আমরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে পারি না।' ভারতের বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করতে দলের কর্মীদের আহ্বান জানান তিনি। 'জমি, বনাঞ্চল, পানি, জীবনযাত্রার ব্যয়, উপজাতি ও জেন্ডার ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা বিক্ষোভ, আন্দোলন হতে দেখেছি। এসব বিষয়ে আমাদের দলকে অবশ্যই সক্রিয় থাকতে হবে। পরিবর্তনশীল নতুন ভারত, আরো বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী, অসহিষ্ণু, অভিলাষী ও শিক্ষিত তরুণ সমাজকে আমাদের স্বীকৃতি দিতে হবে।' জয়পুরে সম্মেলন থেকে কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্বে বড় ধরনের রদবদল আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাহুল গান্ধীকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখার ব্যাপারে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দাবি তৈরি হয়েছে। উত্তর প্রদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিং বলেন, 'রাহুলের ব্যাপারে কর্মীদের আবেগ দলে গুরুত্বপূর্ণ ও গভীর প্রভাব রাখে। কিন্তু এ ব্যাপারে রাহুলের ওপর চাপ তৈরি করা উচিত নয়।' বড় পদের পরিবর্তে রাহুলকে অন্যদের ওপর প্রভাবশালী অবস্থানে দেখতে চান তিনি। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
পাকিস্তানের কাছে 'সভ্য আচরণ' দাবি
আজ শনিবার কংগ্রেসের কোর কমিটির দুই দিনের বৈঠকের শেষ দিন। এই বৈঠক চিন্তন শিবির নামেও পরিচিত। আগামীকাল একই স্থানে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। উদ্বোধনী বক্তব্যে দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেন, 'ভুল পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে নয়, বরং সুশৃঙ্খল ও সংঘবদ্ধ দল হিসেবে কাজ করতে না পারার কারণে জনতার কাছ থেকে প্রাপ্য অনেক সুযোগ নষ্ট করছি আমরা। আমরা এ কথা কেন ভুলে যাচ্ছি যে আমাদের প্রত্যেকের জয়ের মধ্যেই দলের জয় নিহিত রয়েছে।' প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি, রাহুল গান্ধী, অম্বিকা সোনিসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সোনিয়া আরো বলেন, 'দুর্নীতির কারণে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আমাদের এ বিষয়টি বুঝতে হবে। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে আমরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে পারি না।' ভারতের বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করতে দলের কর্মীদের আহ্বান জানান তিনি। 'জমি, বনাঞ্চল, পানি, জীবনযাত্রার ব্যয়, উপজাতি ও জেন্ডার ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা বিক্ষোভ, আন্দোলন হতে দেখেছি। এসব বিষয়ে আমাদের দলকে অবশ্যই সক্রিয় থাকতে হবে। পরিবর্তনশীল নতুন ভারত, আরো বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী, অসহিষ্ণু, অভিলাষী ও শিক্ষিত তরুণ সমাজকে আমাদের স্বীকৃতি দিতে হবে।' জয়পুরে সম্মেলন থেকে কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্বে বড় ধরনের রদবদল আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাহুল গান্ধীকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখার ব্যাপারে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দাবি তৈরি হয়েছে। উত্তর প্রদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিং বলেন, 'রাহুলের ব্যাপারে কর্মীদের আবেগ দলে গুরুত্বপূর্ণ ও গভীর প্রভাব রাখে। কিন্তু এ ব্যাপারে রাহুলের ওপর চাপ তৈরি করা উচিত নয়।' বড় পদের পরিবর্তে রাহুলকে অন্যদের ওপর প্রভাবশালী অবস্থানে দেখতে চান তিনি। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
পাকিস্তানের কাছে 'সভ্য আচরণ' দাবি
No comments