বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গায়েব করা হলো মেয়েটিকে
ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর ওরা এবার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে নির্যাতিত কিশোরীটিকে। এমপির এপিএস পরিচয়ধারী কাজল মোল্লার অনুগত ইউপি মেম্বার কানিজ ফাতেমা রুহিতা গতকাল শুক্রবার তাকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছেন। গতকাল গভীর রাত পর্যন্তও তার সন্ধান মেলেনি।
সন্তানের খোঁজ না পেয়ে ভেঙে পড়েছেন মা-বাবা।
কাপাসিয়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ও সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার কানিজ ফাতেমা রুহিতা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে এমন স্বীকারোক্তির পরও তাঁকে না ধরে পুলিশ মেয়েটির খোঁজে গতকাল কাপাসিয়ার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালায়। পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, নির্যাতিত মেয়েটির পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছে। তবে মেয়েটি সশরীরে থানায় আসেনি। জিডির কপিটি মেম্বার রুহিতা থানায় নিয়ে যান বলে সূত্র জানিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরেও মেয়েটিকে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান এই মেম্বার। পরে সেখান থেকে বাবাসহ তাকে হাজির করা হয় কাজল মোল্লার সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে বাবাকে বলতে বাধ্য করা হয়, তাঁর মেয়েকে কাজল মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী নির্যাতন করেননি। একই সঙ্গে নির্যাতিতাকে কোনো কথা বলতে না দিয়ে তার সই করা একটি কাগজ সাংবাদিকদের ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে নির্যাতিতার পক্ষ থেকে গত রাতে থানায় জিডি করতে গেলেও তা সম্ভব হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক এমপি মো. শহিদুল্লাহসহ সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে জিডি না করেই ফিরে এসেছেন জাতীয় মহিলা আইনজীবী পরিষদের নির্বাহী পরিচালকের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট সোহেল রানা ও মেয়েটির বাবা।
কাপাসিয়ার বড়টেক গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা গতকাল জানায়, মেম্বার রুহিতা শুক্রবার ভোরে মোটরসাইকেল চালিয়ে ওই বাড়িতে যান। এর আগেই কাজল মোল্লার ক্যাডাররা বাড়ির চারপাশে অবস্থান নেয়। ১৫-২০ মিনিট পর মেম্বার রুহিতা মোটরসাইকেলের পেছনে মেয়েটিকে বসিয়ে দ্রুত কাপাসিয়া শহরের দিকে চলে যান। এ সময় মেয়েটিকে তারা কাঁদতে দেখেছে।
জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বিকেলে ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে পায়নি। এ সময় তার মা-বাবা তাদেরকে জানান, মেম্বার কানিজ ফাতেমা রুহিতা চিকিৎসার কথা বলে জবরদস্তি করে তাঁদের মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছেন। কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁরা জানেন না। মেয়েকে ফেরত চেয়ে তাঁরা অঝোরে কাঁদতে থাকেন।
আইনজীবী দলটি ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা মেয়ের ওপর কাজল মোল্লা ও তাঁর স্ত্রীর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। মা বলেন, 'আমার মেয়ের হাত-পাসহ শরীরের সব স্পর্শকাতর অঙ্গে নির্যাতনের দাগ রয়েছে। যন্ত্রণার কারণে বাড়িতে আসার পর টানা চার-পাঁচ দিন স্বাভাবিকভাবে প্রাতঃক্রিয়া সারতে পারেনি। পরদিন কাপাসিয়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে একই গ্রামের যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে দুই দফায় ১৫ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে ধর্ষণ-নির্যাতনের ব্যাপারে মুখ খুলতে নিষেধ করেন। ভয়ে আমরা মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারিনি। বিচার চাইতেও যেতে পারিনি।'
এ সময় উপস্থিত এলাকাবাসীও এমন জঘন্য ঘটনার বিচার ও মেয়েটিকে উদ্ধারের দাবি জানায়। গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন (৬৫) বলেন, 'জীবনে এমন ঘটনা শুনিনি, দেখিওনি। এ ধরনের জঘন্য নির্যাতন করা ঠিক হয়নি।'
অ্যাডভোকেট সোহেল রানা কালের কণ্ঠকে জানান, যুব মহিলা লীগের নেত্রী কানিজ ফাতেমা রুহিতার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি মেয়েটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। রুহিতা তাঁকে বলেন, 'মেয়েটির অবস্থা ভালো নয়। তাই তাকে নিরাপদ জায়গায় রেখে এসেছি। সে কারো সঙ্গে কথা বলবে না।' অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি না করে অজ্ঞাত স্থানে কেন রেখেছেন জানতে চাইলে 'এখন আমি বাসে ঢাকা যাচ্ছি, পরে কথা বলব' বলে রুহিতা ফোনের লাইন কেটে দেন। পরে অনেকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের আইনি সহায়তার আশ্বাসে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেয়ের বাবা অভিযোগ করতে কাপাসিয়া থানায় যান। সঙ্গে আইনজীবী সমিতির সদস্যরাও ছিলেন। কিন্তু তাঁদের রাত ৯টা পর্যন্ত বসিয়ে রেখেও জিডি গ্রহণ করেনি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়ে তাঁরা ফিরে আসেন।
অ্যাডভোকেট সোহেল রানা জানান, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় প্রকৃত ঘটনা জানতে পুলিশি সহায়তা চেয়ে গতকাল সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে কৌশলে তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়। এ সময় ওসি দেলোয়ার হোসেন থানায় ছিলেন না। রাত সাড়ে ৭টার দিকে সাধারণ ডায়েরির আবেদনটি তাঁরা সেকেন্ড অফিসার রাহাত খানকে দিলে তিনি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাপাসিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ তাঁকে মোবাইলে ফোন করে জিডি করার এখতিয়ার আছে কি না সে প্রশ্ন তুলে তাঁকে থানা থেকে চলে যেতে বলেন। ফোন রাখার ১০-১৫ মিনিট পরই মো. শহিদুল্লাহ কয়েকটি গাড়িতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে থানায় আসেন। সেকেন্ড অফিসার রাহাত খানও এ সময় ফিরে আসেন।
সোহেল রানা জানান, থানায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও বলতে থাকে, 'সাধারণ ডায়েরি করার প্রয়োজন নেই। আপনারা চলে যান। তিন-চার দিন পর মেয়ের সঙ্গে আমরা আপনাকে কথা বলিয়ে দিব।' এ পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে মেয়ের বাবাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি থানা থেকে চলে আসেন।
ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, 'মেয়েটিকে উদ্ধারে সহযোগিতা করতে সাবেক এমপি শহিদুল্লাহ সাহেব থানায় এসেছিলেন। শনিবার সকাল ১০টায় তিনি মেয়েটিকে আমাদের সামনে উপস্থিত করবেন বলে জানিয়েছেন। মেয়েটি উপস্থিত হলে তার কথা সবাই শুনে ব্যবস্থা নিব।'
অ্যাডভোকেট সালমা আলীর বক্তব্য : জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পুলিশ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আইনি সহায়তা দিয়ে মেয়েটির পাশে দাঁড়ায়নি। এখন আমরা মেয়েটিকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। উদ্ধার হলে তার বক্তব্য শুনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।' তিনি বলেন, 'যেটকু শুনেছি, তা খুবই জঘন্য। একজন নারী বা শিশুকে শুধু নির্যাতন করাও বড় ধরনের অপরাধ।'
কাপাসিয়া উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ও সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার কানিজ ফাতেমা রুহিতা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে এমন স্বীকারোক্তির পরও তাঁকে না ধরে পুলিশ মেয়েটির খোঁজে গতকাল কাপাসিয়ার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালায়। পুলিশের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, নির্যাতিত মেয়েটির পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছে। তবে মেয়েটি সশরীরে থানায় আসেনি। জিডির কপিটি মেম্বার রুহিতা থানায় নিয়ে যান বলে সূত্র জানিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরেও মেয়েটিকে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান এই মেম্বার। পরে সেখান থেকে বাবাসহ তাকে হাজির করা হয় কাজল মোল্লার সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে বাবাকে বলতে বাধ্য করা হয়, তাঁর মেয়েকে কাজল মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী নির্যাতন করেননি। একই সঙ্গে নির্যাতিতাকে কোনো কথা বলতে না দিয়ে তার সই করা একটি কাগজ সাংবাদিকদের ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে নির্যাতিতার পক্ষ থেকে গত রাতে থানায় জিডি করতে গেলেও তা সম্ভব হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক এমপি মো. শহিদুল্লাহসহ সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে জিডি না করেই ফিরে এসেছেন জাতীয় মহিলা আইনজীবী পরিষদের নির্বাহী পরিচালকের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট সোহেল রানা ও মেয়েটির বাবা।
কাপাসিয়ার বড়টেক গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা গতকাল জানায়, মেম্বার রুহিতা শুক্রবার ভোরে মোটরসাইকেল চালিয়ে ওই বাড়িতে যান। এর আগেই কাজল মোল্লার ক্যাডাররা বাড়ির চারপাশে অবস্থান নেয়। ১৫-২০ মিনিট পর মেম্বার রুহিতা মোটরসাইকেলের পেছনে মেয়েটিকে বসিয়ে দ্রুত কাপাসিয়া শহরের দিকে চলে যান। এ সময় মেয়েটিকে তারা কাঁদতে দেখেছে।
জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বিকেলে ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে পায়নি। এ সময় তার মা-বাবা তাদেরকে জানান, মেম্বার কানিজ ফাতেমা রুহিতা চিকিৎসার কথা বলে জবরদস্তি করে তাঁদের মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছেন। কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁরা জানেন না। মেয়েকে ফেরত চেয়ে তাঁরা অঝোরে কাঁদতে থাকেন।
আইনজীবী দলটি ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা মেয়ের ওপর কাজল মোল্লা ও তাঁর স্ত্রীর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। মা বলেন, 'আমার মেয়ের হাত-পাসহ শরীরের সব স্পর্শকাতর অঙ্গে নির্যাতনের দাগ রয়েছে। যন্ত্রণার কারণে বাড়িতে আসার পর টানা চার-পাঁচ দিন স্বাভাবিকভাবে প্রাতঃক্রিয়া সারতে পারেনি। পরদিন কাপাসিয়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে একই গ্রামের যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে দুই দফায় ১৫ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে ধর্ষণ-নির্যাতনের ব্যাপারে মুখ খুলতে নিষেধ করেন। ভয়ে আমরা মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারিনি। বিচার চাইতেও যেতে পারিনি।'
এ সময় উপস্থিত এলাকাবাসীও এমন জঘন্য ঘটনার বিচার ও মেয়েটিকে উদ্ধারের দাবি জানায়। গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন (৬৫) বলেন, 'জীবনে এমন ঘটনা শুনিনি, দেখিওনি। এ ধরনের জঘন্য নির্যাতন করা ঠিক হয়নি।'
অ্যাডভোকেট সোহেল রানা কালের কণ্ঠকে জানান, যুব মহিলা লীগের নেত্রী কানিজ ফাতেমা রুহিতার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি মেয়েটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। রুহিতা তাঁকে বলেন, 'মেয়েটির অবস্থা ভালো নয়। তাই তাকে নিরাপদ জায়গায় রেখে এসেছি। সে কারো সঙ্গে কথা বলবে না।' অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি না করে অজ্ঞাত স্থানে কেন রেখেছেন জানতে চাইলে 'এখন আমি বাসে ঢাকা যাচ্ছি, পরে কথা বলব' বলে রুহিতা ফোনের লাইন কেটে দেন। পরে অনেকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের আইনি সহায়তার আশ্বাসে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেয়ের বাবা অভিযোগ করতে কাপাসিয়া থানায় যান। সঙ্গে আইনজীবী সমিতির সদস্যরাও ছিলেন। কিন্তু তাঁদের রাত ৯টা পর্যন্ত বসিয়ে রেখেও জিডি গ্রহণ করেনি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়ে তাঁরা ফিরে আসেন।
অ্যাডভোকেট সোহেল রানা জানান, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় প্রকৃত ঘটনা জানতে পুলিশি সহায়তা চেয়ে গতকাল সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে কৌশলে তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়। এ সময় ওসি দেলোয়ার হোসেন থানায় ছিলেন না। রাত সাড়ে ৭টার দিকে সাধারণ ডায়েরির আবেদনটি তাঁরা সেকেন্ড অফিসার রাহাত খানকে দিলে তিনি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাপাসিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ তাঁকে মোবাইলে ফোন করে জিডি করার এখতিয়ার আছে কি না সে প্রশ্ন তুলে তাঁকে থানা থেকে চলে যেতে বলেন। ফোন রাখার ১০-১৫ মিনিট পরই মো. শহিদুল্লাহ কয়েকটি গাড়িতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে থানায় আসেন। সেকেন্ড অফিসার রাহাত খানও এ সময় ফিরে আসেন।
সোহেল রানা জানান, থানায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও বলতে থাকে, 'সাধারণ ডায়েরি করার প্রয়োজন নেই। আপনারা চলে যান। তিন-চার দিন পর মেয়ের সঙ্গে আমরা আপনাকে কথা বলিয়ে দিব।' এ পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে মেয়ের বাবাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি থানা থেকে চলে আসেন।
ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, 'মেয়েটিকে উদ্ধারে সহযোগিতা করতে সাবেক এমপি শহিদুল্লাহ সাহেব থানায় এসেছিলেন। শনিবার সকাল ১০টায় তিনি মেয়েটিকে আমাদের সামনে উপস্থিত করবেন বলে জানিয়েছেন। মেয়েটি উপস্থিত হলে তার কথা সবাই শুনে ব্যবস্থা নিব।'
অ্যাডভোকেট সালমা আলীর বক্তব্য : জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পুলিশ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আইনি সহায়তা দিয়ে মেয়েটির পাশে দাঁড়ায়নি। এখন আমরা মেয়েটিকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। উদ্ধার হলে তার বক্তব্য শুনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।' তিনি বলেন, 'যেটকু শুনেছি, তা খুবই জঘন্য। একজন নারী বা শিশুকে শুধু নির্যাতন করাও বড় ধরনের অপরাধ।'
No comments