দীর্ঘজীবন লাভের সন্ধান by এমএ ওহাব
এ পৃথিবীতে মানুষ জন্মগ্রহণ করে স্বাভাবিকভাবেই শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক এবং বৃদ্ধ হয়, এভাবেই একদিন মৃত্যুবরণ করে। যদিও মানুষের মৃত্যুবরণের নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই, নানা কারণে যে কোনো বয়সেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। তাই জন্ম ও মৃত্যু যেন এক সূূত্রে গাঁথা।
তবুও এই সুন্দর পৃথিবীর আলো-বাতাসে বিচরণ করে কেউই এ মায়া ত্যাগ করতে চায় না। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থেকে এবং যথাসম্ভব দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানী, জীববিজ্ঞানী এবং এ বিষয়ে গবেষণারতরা সম্মিলিতভাবে কম বয়সে মানুষের মৃত্যুর কারণ এবং দীর্ঘজীবী হওয়ার নানা উপায় ও কৌশল নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি মানুষের জীবনধারা ও আয়ুষ্কাল নিয়ে গবেষণারত দক্ষিণ কোরিয়ার একদল গবেষক বলেছেন, নপুংসক বা কোনোভাবে পুরুষত্বহীনতা ঘটলে পুরুষের আয়ুষ্কাল কিছুদিন হলেও বৃদ্ধি পায়। তাদের মতে পুরুষরা দীর্ঘজীবী হওয়ার ইচ্ছা করলে, এমনকি স্বাভাবিক আয়ুষ্কালের চেয়েও অন্তত ২০ বছর বেশি জীবন লাভ করতে পারে, যদি খুব সাধারণ এবং ছোট একটা অপারেশনের মাধ্যমে নপুংসকে রূপান্তর হয়।
উদ্ভিদ ও প্রাণির ক্রমবিকাশের ধারা সংক্রান্ত বিজ্ঞান বা জিনিঅ্যালর্জি বিষয়ে এক গবেষণায় বলা হয়, কোরিয়ায় ৫০০ বছর আগে বিবাহ ও প্রণয় বিষয়ের ডাটা থেকে দেখা যায়, যেসব পুরুষ বংশবিস্তারে অক্ষম, তারা সাধারণদের চেয়ে ১৪ থেকে ১৯ বছর বেশি আয়ু লাভ করত। ১৩১২ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত সময়কালের বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর জীবনধারা সংক্রান্ত রেকর্ডগুলো পর্যবেক্ষণ এবং এ বিষয়ে জরিপ থেকেও প্রমাণ পাওয়া যায়, নপুংসক হিসেবে যারা জীবন পরিচালনা করেছে তাদের অনেকেই ১০০ বছরের বেশি বেঁচে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বব্যাপী জরিপ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, পুরুষের তুলনায় নারী বেশিদিন বাঁচে অর্থাৎ নারীর গড় আয়ু বেশি। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, পুরুষের জন্য তাদের যৌন হরমোনই দীর্ঘ আয়ুষ্কাল না পাওয়ার জন্য দায়ী। আর যৌন হরমোনের ঘাটতির কারণেই সাধারণভাবে নপুংসকরা দীর্ঘজীবী হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দীর্ঘ সময় ধরে নানা ধরনের পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দীর্ঘ জীবন লাভের বিষয়ে এসব সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মানুষের দীর্ঘজীবী হওয়ার সঙ্গে দেহের কিছু জৈবিক ক্রিয়া ও বায়োলজিক্যাল বিষয়ও সম্পর্কযুক্ত। আর সে বিষয়গুলো উদঘাটনে ব্যাপক গবেষণা চলছে। বিজ্ঞান যেভাবে এগোচ্ছে, সেই সঙ্গে জীববিজ্ঞানগত গবেষণায় যে ধরনের সাফল্য আসছে, তাতে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, অচিরেই মানুষের দীর্ঘ জীবন লাভের অন্য কারণগুলো সুনির্দিষ্টভাবেই উদঘাটিত হবে এবং আগামী দিনে মানুষের আয়ুষ্কাল কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে। হ
সম্প্রতি মানুষের জীবনধারা ও আয়ুষ্কাল নিয়ে গবেষণারত দক্ষিণ কোরিয়ার একদল গবেষক বলেছেন, নপুংসক বা কোনোভাবে পুরুষত্বহীনতা ঘটলে পুরুষের আয়ুষ্কাল কিছুদিন হলেও বৃদ্ধি পায়। তাদের মতে পুরুষরা দীর্ঘজীবী হওয়ার ইচ্ছা করলে, এমনকি স্বাভাবিক আয়ুষ্কালের চেয়েও অন্তত ২০ বছর বেশি জীবন লাভ করতে পারে, যদি খুব সাধারণ এবং ছোট একটা অপারেশনের মাধ্যমে নপুংসকে রূপান্তর হয়।
উদ্ভিদ ও প্রাণির ক্রমবিকাশের ধারা সংক্রান্ত বিজ্ঞান বা জিনিঅ্যালর্জি বিষয়ে এক গবেষণায় বলা হয়, কোরিয়ায় ৫০০ বছর আগে বিবাহ ও প্রণয় বিষয়ের ডাটা থেকে দেখা যায়, যেসব পুরুষ বংশবিস্তারে অক্ষম, তারা সাধারণদের চেয়ে ১৪ থেকে ১৯ বছর বেশি আয়ু লাভ করত। ১৩১২ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত সময়কালের বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর জীবনধারা সংক্রান্ত রেকর্ডগুলো পর্যবেক্ষণ এবং এ বিষয়ে জরিপ থেকেও প্রমাণ পাওয়া যায়, নপুংসক হিসেবে যারা জীবন পরিচালনা করেছে তাদের অনেকেই ১০০ বছরের বেশি বেঁচে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বব্যাপী জরিপ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, পুরুষের তুলনায় নারী বেশিদিন বাঁচে অর্থাৎ নারীর গড় আয়ু বেশি। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, পুরুষের জন্য তাদের যৌন হরমোনই দীর্ঘ আয়ুষ্কাল না পাওয়ার জন্য দায়ী। আর যৌন হরমোনের ঘাটতির কারণেই সাধারণভাবে নপুংসকরা দীর্ঘজীবী হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দীর্ঘ সময় ধরে নানা ধরনের পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দীর্ঘ জীবন লাভের বিষয়ে এসব সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মানুষের দীর্ঘজীবী হওয়ার সঙ্গে দেহের কিছু জৈবিক ক্রিয়া ও বায়োলজিক্যাল বিষয়ও সম্পর্কযুক্ত। আর সে বিষয়গুলো উদঘাটনে ব্যাপক গবেষণা চলছে। বিজ্ঞান যেভাবে এগোচ্ছে, সেই সঙ্গে জীববিজ্ঞানগত গবেষণায় যে ধরনের সাফল্য আসছে, তাতে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, অচিরেই মানুষের দীর্ঘ জীবন লাভের অন্য কারণগুলো সুনির্দিষ্টভাবেই উদঘাটিত হবে এবং আগামী দিনে মানুষের আয়ুষ্কাল কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে। হ
No comments