জেলা প্রশাসনের নির্দেশে অবৈধ ভাটাগুলো চালু!
পরিবেশ অধিদপ্তরের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়নের অজুহাত দেখিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে বন্ধ করে দেওয়া অবৈধ ড্রাম চিমনির ইটভাটাগুলো আবার চালু করা হয়েছে। ভাটামালিকদের দাবি, জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এগুলো চালু করা হয়েছে।
জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির অভিযোগ, জেলা প্রশাসন অবৈধ ভাটার মালিকদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ভাটাগুলো চালুর অনুমতি দিয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা প্রশাসক মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস।
জানা গেছে, ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন-২০০১-এর ৩ (খ)-এর-১ উপধারা অনুযায়ী ‘লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ব্যক্তি ইটের ভাটা স্থাপন করতে পারবেন না বা ইট প্রস্তুত বা ইট পোড়াতে পারবেন না।’ ওই আইন প্রয়োগে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের একটি চিঠিকে সূত্র দেখিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে জেলা প্রশাসন জেলার সব ইটভাটা মালিককে প্রয়োজনীয় শর্তাবলি পূরণ করে হালনাগাদ ছাড়পত্র ও অনুমোদন নেওয়ার জন্য চিঠি দেয়। অনুমতির পর জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ভাটায় আগুন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না থাকা এবং ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে ও কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগে গত নভেম্বরে বেশ কয়েকটি ভাটা বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর ড্রাম চিমনির ভাটার মালিকেরা ভাটা টিকিয়ে রাখতে জেলা প্রশাসন, রাজনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। অবশেষে জেলা প্রশাসন ১৫ জানুয়ারি থেকে অবৈধ ড্রাম চিমনির ভাটা চালু করার মৌখিক অনুমতি দেয়। এরপর একযোগে ২৭টি ভাটায় ইট পোড়ানো শুরু হয়।
জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি মুরাদ হোসেন অভিযোগ করেন, জেলায় ৭৪টি ভাটায় নিয়মিত ইট পোড়ানো হয়। এর মধ্যে ২৭টির পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র ও অনুমোদন নেই। সেসব ভাটার মালিকেরা ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে ইট তৈরি করছেন। জেলা প্রশাসন অবৈধ ড্রাম চিমনির ভাটা বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ার পর আবার সেগুলো চালু করতে অনুমতি দিয়েছে।
জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার পর ভাটায় আগুন দেওয়া প্রসঙ্গে ড্রাম চিমনির ভাটার মালিক মানিক সরকার বলেন, প্রশাসনের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে ভাটায় আগুন দেওয়া হয়েছে। এর জন্য জেলা প্রশাসনকে কত টাকা দিতে হয়েছে—এমন এক প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাটা চালু রাখতে সব সময়ই কিছু না কিছু দিতে হয়।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা সুকুমার সাহা জানান, ড্রাম চিমনির ইটভাটা সম্পূর্ণ অবৈধ, কোনো কর্তৃপক্ষ এসব ভাটা চালু রাখার অনুমতি দিতে পারে না। অবৈধ ভাটা চালু রাখার সঙ্গে তারা (জেলা প্রশাসন) সম্পৃক্ত হয়ে গেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের করার কিছুই থাকে না।
জেলা প্রশাসক মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি এতটাই বিরক্ত যে, কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না। আমাকে এ বছর সুযোগ দেন, আগামী বছর আপনাদের প্রশ্নের জবাব দেব। এত কিছুর পরও আমরা তিন মাস ড্রাম চিমনির হাত থেকে পরিবেশ রক্ষা করতে পেরেছি। এটাই তো বড় অর্জন।’
জানা গেছে, ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন-২০০১-এর ৩ (খ)-এর-১ উপধারা অনুযায়ী ‘লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ব্যক্তি ইটের ভাটা স্থাপন করতে পারবেন না বা ইট প্রস্তুত বা ইট পোড়াতে পারবেন না।’ ওই আইন প্রয়োগে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের একটি চিঠিকে সূত্র দেখিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে জেলা প্রশাসন জেলার সব ইটভাটা মালিককে প্রয়োজনীয় শর্তাবলি পূরণ করে হালনাগাদ ছাড়পত্র ও অনুমোদন নেওয়ার জন্য চিঠি দেয়। অনুমতির পর জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ভাটায় আগুন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না থাকা এবং ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে ও কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগে গত নভেম্বরে বেশ কয়েকটি ভাটা বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর ড্রাম চিমনির ভাটার মালিকেরা ভাটা টিকিয়ে রাখতে জেলা প্রশাসন, রাজনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। অবশেষে জেলা প্রশাসন ১৫ জানুয়ারি থেকে অবৈধ ড্রাম চিমনির ভাটা চালু করার মৌখিক অনুমতি দেয়। এরপর একযোগে ২৭টি ভাটায় ইট পোড়ানো শুরু হয়।
জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি মুরাদ হোসেন অভিযোগ করেন, জেলায় ৭৪টি ভাটায় নিয়মিত ইট পোড়ানো হয়। এর মধ্যে ২৭টির পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র ও অনুমোদন নেই। সেসব ভাটার মালিকেরা ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে ইট তৈরি করছেন। জেলা প্রশাসন অবৈধ ড্রাম চিমনির ভাটা বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ার পর আবার সেগুলো চালু করতে অনুমতি দিয়েছে।
জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার পর ভাটায় আগুন দেওয়া প্রসঙ্গে ড্রাম চিমনির ভাটার মালিক মানিক সরকার বলেন, প্রশাসনের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে ভাটায় আগুন দেওয়া হয়েছে। এর জন্য জেলা প্রশাসনকে কত টাকা দিতে হয়েছে—এমন এক প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাটা চালু রাখতে সব সময়ই কিছু না কিছু দিতে হয়।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা সুকুমার সাহা জানান, ড্রাম চিমনির ইটভাটা সম্পূর্ণ অবৈধ, কোনো কর্তৃপক্ষ এসব ভাটা চালু রাখার অনুমতি দিতে পারে না। অবৈধ ভাটা চালু রাখার সঙ্গে তারা (জেলা প্রশাসন) সম্পৃক্ত হয়ে গেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের করার কিছুই থাকে না।
জেলা প্রশাসক মুকেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি এতটাই বিরক্ত যে, কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না। আমাকে এ বছর সুযোগ দেন, আগামী বছর আপনাদের প্রশ্নের জবাব দেব। এত কিছুর পরও আমরা তিন মাস ড্রাম চিমনির হাত থেকে পরিবেশ রক্ষা করতে পেরেছি। এটাই তো বড় অর্জন।’
No comments