'ইরানকে নজরে রাখতে অন্য সব হারাচ্ছে ইসরায়েল'
আগামী মঙ্গলবারের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের পর ইরানের পরমাণু ইস্যুর ওপরই হয়তো সবচেয়ে বেশি নজর দেবে ইসরায়েল। তবে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রগতি থেমে থাকায় ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অসন্তুষ্টি কুড়িয়েছে তারা।
বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিনের সঙ্গে পুনরায় শান্তি আলোচনার টেবিলে বসতে না পারলে ইসরায়েলকে হয়তো বহির্বিশ্বের কূটনৈতিক বিরোধিতা এমনকি নিষেধাজ্ঞারও সম্মুখীন হতে হবে।
চার বছরেরও বেশি সময়ে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংঘাত নিরসনে কোনো অগ্রগতি ঘটাতে পারেনি ইসরায়েলের দক্ষিণপন্থী জোট সরকার। বিপরীতে ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় বাড়ি নির্মাণ ও বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে পশ্চিমারা। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রশ্নে নেতানিয়াহুর অনড় অবস্থান ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন করেছে। এ ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে তাঁর একাধিকবার বিরোধও দেখা দিয়েছে।
ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেল আবিবের সম্পর্কের টানাপড়েনের বিষয়টি গত সপ্তাহে নতুন করে সামনে আসে। বিশ্বখ্যাত ব্লুমবার্গ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে দাবি করা হয়, নেতানিয়াহুকে 'রাজনৈতিক কাপুরুষ' মনে করেন ওবামা। ফলে আগামী দিনগুলোতে ইরানসহ অন্যান্য ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের 'গাঁটছড়া' টিকিয়ে রাখার ব্যাপারটি নেতানিয়াহুর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবেই বলে মনে করা হচ্ছে। ব্লুমবার্গের ওই নিবন্ধের লেখক জেফরি গোল্ডবার্গ স্পষ্টই বলেছেন, 'মার্কিন কূটনৈতিক সমর্থনের প্রশ্নে ইসরায়েলকে হয়তো শিগগিরই ব্যাপক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।'
মঙ্গলবারের নির্বাচনে নেতানিয়াহু ফের জিতবেন_বিভিন্ন জনজরিপে এমন চিত্রই পাওয়া যাচ্ছে। তবে গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত নির্বাচন-পূর্ব সর্বশেষ জরিপে তাঁর জনপ্রিয়তা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম দেখা গেছে। এর পরও এদিনই প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঠেকানোই হবে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের 'সবচেয়ে অগ্রাধিকারের' বিষয়। আর অধিকৃত এলাকায় বাড়ি নির্মাণ ও বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা থেকেও তিনি একচুল পিছু হটবেন না।
তেল আবিবের বার ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আইতান গিলবাও বলেন, 'সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা অবশ্যই ইরান।' তবে পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার রাখাও জরুরি মনে করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিষয়ে এ বিশেষজ্ঞের মতে, তেল আবিব-ওয়াশিংটনের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পর্কের অগ্রগতি ঘটবে যদি 'কমপক্ষে একটি মধ্যপন্থী দল নেতানিয়াহু তাঁর জোটে রাখতে পারেন'। গিলবাও জানান, মধ্যপন্থী কারো হাতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণলায় সামলানোর ভার দিলে হয়তো সুফল পাওয়া যাবে।
জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলফ্রেড তোভিয়াস জানান, ফিলিস্তিন ইস্যুতে নেতানিয়াহু সরকারের নীতির ব্যাপারটি ইউরোপীয়রা 'গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু' বিবেচনা করে। তোভিয়াসের মতে, শান্তি আলোচনা থেমে থাকার একটি কারণ হলো, ব্যাপারটিকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার অভাব। ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার আশঙ্কা, শান্তি আলোচনার জট না খুললে ইউরোপ তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। তাঁর মতে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো কঠিন পথও বেছে নিতে পারে ইউরোপ। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
চার বছরেরও বেশি সময়ে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংঘাত নিরসনে কোনো অগ্রগতি ঘটাতে পারেনি ইসরায়েলের দক্ষিণপন্থী জোট সরকার। বিপরীতে ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় বাড়ি নির্মাণ ও বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে পশ্চিমারা। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রশ্নে নেতানিয়াহুর অনড় অবস্থান ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন করেছে। এ ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে তাঁর একাধিকবার বিরোধও দেখা দিয়েছে।
ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেল আবিবের সম্পর্কের টানাপড়েনের বিষয়টি গত সপ্তাহে নতুন করে সামনে আসে। বিশ্বখ্যাত ব্লুমবার্গ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে দাবি করা হয়, নেতানিয়াহুকে 'রাজনৈতিক কাপুরুষ' মনে করেন ওবামা। ফলে আগামী দিনগুলোতে ইরানসহ অন্যান্য ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের 'গাঁটছড়া' টিকিয়ে রাখার ব্যাপারটি নেতানিয়াহুর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবেই বলে মনে করা হচ্ছে। ব্লুমবার্গের ওই নিবন্ধের লেখক জেফরি গোল্ডবার্গ স্পষ্টই বলেছেন, 'মার্কিন কূটনৈতিক সমর্থনের প্রশ্নে ইসরায়েলকে হয়তো শিগগিরই ব্যাপক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।'
মঙ্গলবারের নির্বাচনে নেতানিয়াহু ফের জিতবেন_বিভিন্ন জনজরিপে এমন চিত্রই পাওয়া যাচ্ছে। তবে গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত নির্বাচন-পূর্ব সর্বশেষ জরিপে তাঁর জনপ্রিয়তা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম দেখা গেছে। এর পরও এদিনই প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঠেকানোই হবে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের 'সবচেয়ে অগ্রাধিকারের' বিষয়। আর অধিকৃত এলাকায় বাড়ি নির্মাণ ও বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা থেকেও তিনি একচুল পিছু হটবেন না।
তেল আবিবের বার ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আইতান গিলবাও বলেন, 'সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা অবশ্যই ইরান।' তবে পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার রাখাও জরুরি মনে করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিষয়ে এ বিশেষজ্ঞের মতে, তেল আবিব-ওয়াশিংটনের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পর্কের অগ্রগতি ঘটবে যদি 'কমপক্ষে একটি মধ্যপন্থী দল নেতানিয়াহু তাঁর জোটে রাখতে পারেন'। গিলবাও জানান, মধ্যপন্থী কারো হাতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণলায় সামলানোর ভার দিলে হয়তো সুফল পাওয়া যাবে।
জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলফ্রেড তোভিয়াস জানান, ফিলিস্তিন ইস্যুতে নেতানিয়াহু সরকারের নীতির ব্যাপারটি ইউরোপীয়রা 'গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু' বিবেচনা করে। তোভিয়াসের মতে, শান্তি আলোচনা থেমে থাকার একটি কারণ হলো, ব্যাপারটিকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার অভাব। ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার আশঙ্কা, শান্তি আলোচনার জট না খুললে ইউরোপ তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। তাঁর মতে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো কঠিন পথও বেছে নিতে পারে ইউরোপ। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
No comments