মিয়ানমারে কাচিন বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই বন্ধের প্রস্তাব পাস
কাচিন বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই বন্ধ ও যুদ্ধবিরতি আলোচনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মিয়ানমারের পার্লামেন্ট। গতকাল বুধবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্যদের কণ্ঠ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়।
প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন ইউনিটি অ্যান্ড ডেমোক্রেসি পার্টির কাচিন প্রদেশের পার্লামেন্ট সদস্য দোইবু। প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর পার্লামেন্টের স্পিকার ও সাবেক জেনারেল শুয়ে মান বলেন, 'শান্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতেই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে, যাতে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও সরকার শিগগিরই লড়াই বন্ধের পর যত দ্রুত সম্ভব শান্তি আলোচনা শুরু করতে পারে।' তবে কবে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও আইনসভায় সেনাবাহিনীরই প্রভাব বেশি।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন প্রদেশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে কাচিন ইনডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের (কেআইও) সামরিক শাখা কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সংঘাত সম্প্রতি তীব্র আকার নেয়। অনেকেই এর পেছনে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলাকে দায়ী করছেন। প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সরকার বলছে, বছরখানেক আগে সরকারের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর বিদ্রোহীদের ওপর হামলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সংঘাত কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
এদিকে গত সোমবার কেআইএ অভিযোগ করেছে, চীনের সীমান্তের কাছে সেনাবাহিনীর হামলায় তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। যদিও সরকার এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। কেআইএর অভিযোগ, সরকার কেবল অস্ত্রবিরতি এবং সেনা প্রত্যাহারের ভিত্তিতে শান্তি আলোচনার কথা বলছে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা অধিকতর রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নটিকে তারা অবহেলা করছে।
২০১১ সালের জুনে সরকার ও কেআইএর মধ্যে দীর্ঘ ১৭ বছর অস্ত্রবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে। এরপর সরকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নৃগোষ্ঠীর বিদ্রোহীদের সঙ্গে পরীক্ষামূলক অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হলেও বেশ কয়েকটি আলোচনায় বাস্তব অগ্রগতি ঘটেনি। সূত্র : এএফপি।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন প্রদেশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে কাচিন ইনডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের (কেআইও) সামরিক শাখা কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সংঘাত সম্প্রতি তীব্র আকার নেয়। অনেকেই এর পেছনে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলাকে দায়ী করছেন। প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সরকার বলছে, বছরখানেক আগে সরকারের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর বিদ্রোহীদের ওপর হামলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সংঘাত কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
এদিকে গত সোমবার কেআইএ অভিযোগ করেছে, চীনের সীমান্তের কাছে সেনাবাহিনীর হামলায় তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। যদিও সরকার এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। কেআইএর অভিযোগ, সরকার কেবল অস্ত্রবিরতি এবং সেনা প্রত্যাহারের ভিত্তিতে শান্তি আলোচনার কথা বলছে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা অধিকতর রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নটিকে তারা অবহেলা করছে।
২০১১ সালের জুনে সরকার ও কেআইএর মধ্যে দীর্ঘ ১৭ বছর অস্ত্রবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে। এরপর সরকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নৃগোষ্ঠীর বিদ্রোহীদের সঙ্গে পরীক্ষামূলক অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হলেও বেশ কয়েকটি আলোচনায় বাস্তব অগ্রগতি ঘটেনি। সূত্র : এএফপি।
No comments