যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করে আসামি- সেই ছয় অভিভাবকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ডামোশ গ্রামে ছয় স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করে ছয় অভিভাবক দেড় মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
গত ৫ ডিসেম্বর এক বখাটের বাবার দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁরা আত্মগোপনে থাকলেও পুলিশ ছয় অভিভাবককে অভিযুক্ত করে ২ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
গত ৫ ডিসেম্বর এক বখাটের বাবার দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁরা আত্মগোপনে থাকলেও পুলিশ ছয় অভিভাবককে অভিযুক্ত করে ২ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
গত বুধবার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করার পর প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বিব্রত হন।
অভিযুক্ত অভিভাবকেরা হলেন: ডামোশ গ্রামের বোরহান উদ্দিন, আমিরুল ইসলাম, মো. রশিদ, মানিক উদ্দিন, মিজানুর রহমান ও আতিয়ার রহমান।
জানা গেছে, ডামোশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় ছাত্রী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে ২৮ নভেম্বর বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। পথে বেলগাছি গ্রামের আহার আলীর ছেলে তরিকুল ইসলামসহ পাঁচ-ছয়জন তাদের উত্ত্যক্ত করেন। একপর্যায়ে তাঁরা এক ছাত্রী ও দুই ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনা দেখে অভিভাবকদের খবর দেয়। বিক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। এ সময় গ্রামবাসীর পিটুনিতে তরিকুল আহত হন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষয়টি জানার পর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের পরিদর্শক আবু তাহের ও শিক্ষক আবুল কাশেম মোল্লাকে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পাঠান। তাঁরা ঘটনার সত্যতা পান ও ছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়।
অভিভাবকেরা জানান, ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় না এনে বিষয়টি মীমাংসা করতে বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। চেয়ারম্যানের পরামর্শে ওই ছাত্রীদের পরিবার থেকে কেউ মামলাও করেননি।
কিন্তু তরিকুল ইসলামের বাবা আহার আলী বাদী হয়ে ওই ছয় অভিভাবককে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছয় অভিভাবককে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তরিকুলকে হত্যা প্রচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই থেকে অভিভাবকেরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মালেক ২ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত বুধবার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তারা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন। সভায় জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন আলমডাঙ্গার ইউএনওর কাছে বিষয়টি জানতে চান। এ সময় ইউএনও আনজুমান আরা বেগম বলেন, ‘বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার উদ্যোগের কথা জানালে আমি তাতে সমঞ্চতি দিই। কিন্তু পরে একটি পক্ষ আদালতে মামলা করে। বিষয়টি এখন আদালত থেকেই নিষ্পত্তি হবে।’
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ছালেহ উদ্দিন জানান, বিষয়টি বিস্তারিত অনুসন্ধান করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত অভিভাবকেরা হলেন: ডামোশ গ্রামের বোরহান উদ্দিন, আমিরুল ইসলাম, মো. রশিদ, মানিক উদ্দিন, মিজানুর রহমান ও আতিয়ার রহমান।
জানা গেছে, ডামোশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় ছাত্রী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে ২৮ নভেম্বর বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। পথে বেলগাছি গ্রামের আহার আলীর ছেলে তরিকুল ইসলামসহ পাঁচ-ছয়জন তাদের উত্ত্যক্ত করেন। একপর্যায়ে তাঁরা এক ছাত্রী ও দুই ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনা দেখে অভিভাবকদের খবর দেয়। বিক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। এ সময় গ্রামবাসীর পিটুনিতে তরিকুল আহত হন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষয়টি জানার পর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের পরিদর্শক আবু তাহের ও শিক্ষক আবুল কাশেম মোল্লাকে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পাঠান। তাঁরা ঘটনার সত্যতা পান ও ছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়।
অভিভাবকেরা জানান, ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় না এনে বিষয়টি মীমাংসা করতে বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। চেয়ারম্যানের পরামর্শে ওই ছাত্রীদের পরিবার থেকে কেউ মামলাও করেননি।
কিন্তু তরিকুল ইসলামের বাবা আহার আলী বাদী হয়ে ওই ছয় অভিভাবককে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছয় অভিভাবককে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তরিকুলকে হত্যা প্রচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই থেকে অভিভাবকেরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মালেক ২ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত বুধবার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তারা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন। সভায় জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন আলমডাঙ্গার ইউএনওর কাছে বিষয়টি জানতে চান। এ সময় ইউএনও আনজুমান আরা বেগম বলেন, ‘বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার উদ্যোগের কথা জানালে আমি তাতে সমঞ্চতি দিই। কিন্তু পরে একটি পক্ষ আদালতে মামলা করে। বিষয়টি এখন আদালত থেকেই নিষ্পত্তি হবে।’
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ছালেহ উদ্দিন জানান, বিষয়টি বিস্তারিত অনুসন্ধান করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments