'আলজেরিয়ায় জিম্মি নাটক শেষ হয়নি'
আলজেরিয়ার ইন আমেনাস গ্যাসক্ষেত্রে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হাতে আটক শ্রমিকদের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে আছে। গত বৃহস্পতিবার সেনা অভিযানে ৩৫ অপহৃত ও ১৫ জঙ্গির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
তবে বিদেশিসহ বেশ কিছুসংখ্যক শ্রমিক গতকাল শুক্রবারও জঙ্গিদের হাতে জিম্মি ছিল। আলোচনা বা কোনো ধরনের পূর্বাভাস না দিয়ে গ্যাসক্ষেত্রে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য আলজেরিয়ার সরকারের সমালোচনা করেছে বিদেশি সরকারগুলো। জিম্মি নাটক শেষ হয়নি বলে দাবি করেছে ব্রিটেন।
আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা গত বুধবার বিকেলে আলজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ইন আমেনাস গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালায়। মালিতে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ফরাসি সামরিক অভিযান অবসানের দাবিতে অন্তত ৪১ বিদেশিসহ বহু আলজেরীয় শ্রমিককে জিম্মি করে তারা। বিদেশিদের মধ্যে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, ফ্রান্স, রোমানিয়া, কলম্বিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, আয়ারল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আর্মেনিয়ার নাগরিক ছিল। বুধবার কয়েক দফায় আলজেরীয় কয়েক ডজন শ্রমিককে মুক্তি দেওয়া হয়। সরকার অপহরণকারীদের সঙ্গে আলোচনায় অসম্মতি জানায় এবং সেনারা গ্যাসক্ষেত্রের চারপাশ ঘিরে ফেলে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হেলিকপ্টারে করে গ্যাসক্ষেত্রের ভেতর হামলা চালায় সেনারা।
আলজেরিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, সেনা অভিযানে প্রায় ৬০০ স্থানীয় ও চার বিদেশি শ্রমিক মুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুই ব্রিটিশ, এক ফরাসি ও এক কেনীয় রয়েছে। তবে জঙ্গিদের এক মুখপাত্র প্রতিবেশী দেশ মৌরিতানিয়ার এএনআই বার্তা সংস্থাকে জানায়, আলজেরীয় সেনাদের অভিযানে ৩৫ জিম্মি ও ১৫ জঙ্গি মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে দুই ব্রিটিশ ও দুই ফিলিপিনোসহ বেশ কয়েকজন পশ্চিমা শ্রমিক রয়েছে। বেঁচে যাওয়া জঙ্গিরা অপহৃতদের নিয়ে গ্যাসক্ষেত্রের কেন্দ্রস্থলে মূল গ্যাস কমপ্রেসরের কাছে আশ্রয় নেয়। জঙ্গিদের দাবি করা নিহতের সংখ্যাকে 'অবাস্তব' বলে উড়িয়ে দেয় সেনারা। উল্লেখ্য, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল কম্পানি সোনাট্রাচ, ব্রিটিশ তেল কম্পানি বিপি ও নরওয়ের তেল কম্পানি স্ট্যাটোয়েল মিলিতভাবে এই গ্যাসক্ষেত্র পরিচালনা করছিল।
ইন আমেনাসে যেসব দেশের নাগরিক রয়েছে, সেসব দেশের সঙ্গে আলোচনা না করে বা কোনো পূর্বঘোষণা না দিয়ে সেনা অভিযানের অনুমতি দেওয়ায় আলজেরীয় সরকারের সমালোচনা করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। ইন আমেনাসের পরিস্থিতিকে 'খুবই খারাপ' উল্লেখ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, 'আমরা এক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যুর খবর জানি। খুবই বিপজ্জনক, খুবই অনিশ্চিত ও অত্যন্ত অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়, আমাদের আরো খারাপ খবরের জন্য তৈরি থাকা উচিত।' জ্যেষ্ঠ এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, অপহৃতদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে আলজেরিয়ার প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা। পাঁচ মার্কিন শ্রমিক মুক্ত হয়ে আলজেরিয়া ছেড়ে গেছে। জাপান সেনা অভিযানের সমালোচনা করেছে এবং টোকিওতে নিযুক্ত আলজেরীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ অভিযানের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে। ইন আমেনাসে জাপানের ১৭ শ্রমিকের তিনজনের মুক্তির খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে আলজেরিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মোহাম্মদ সাইদ ওবেলাইদ বলেন, সেনা অভিযানে কিছু মানুষ মারা গেলেও অনেক লোককে মুক্ত করা গেছে। তিনি বলেন, 'জঙ্গিরা আলজেরিয়াকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, আমাদের মালির সংঘাতে জড়ানোর চেষ্টা করছে এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের অবকাঠামোর ক্ষতি করছে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা গত বুধবার বিকেলে আলজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ইন আমেনাস গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালায়। মালিতে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ফরাসি সামরিক অভিযান অবসানের দাবিতে অন্তত ৪১ বিদেশিসহ বহু আলজেরীয় শ্রমিককে জিম্মি করে তারা। বিদেশিদের মধ্যে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, ফ্রান্স, রোমানিয়া, কলম্বিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, আয়ারল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আর্মেনিয়ার নাগরিক ছিল। বুধবার কয়েক দফায় আলজেরীয় কয়েক ডজন শ্রমিককে মুক্তি দেওয়া হয়। সরকার অপহরণকারীদের সঙ্গে আলোচনায় অসম্মতি জানায় এবং সেনারা গ্যাসক্ষেত্রের চারপাশ ঘিরে ফেলে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হেলিকপ্টারে করে গ্যাসক্ষেত্রের ভেতর হামলা চালায় সেনারা।
আলজেরিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, সেনা অভিযানে প্রায় ৬০০ স্থানীয় ও চার বিদেশি শ্রমিক মুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুই ব্রিটিশ, এক ফরাসি ও এক কেনীয় রয়েছে। তবে জঙ্গিদের এক মুখপাত্র প্রতিবেশী দেশ মৌরিতানিয়ার এএনআই বার্তা সংস্থাকে জানায়, আলজেরীয় সেনাদের অভিযানে ৩৫ জিম্মি ও ১৫ জঙ্গি মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে দুই ব্রিটিশ ও দুই ফিলিপিনোসহ বেশ কয়েকজন পশ্চিমা শ্রমিক রয়েছে। বেঁচে যাওয়া জঙ্গিরা অপহৃতদের নিয়ে গ্যাসক্ষেত্রের কেন্দ্রস্থলে মূল গ্যাস কমপ্রেসরের কাছে আশ্রয় নেয়। জঙ্গিদের দাবি করা নিহতের সংখ্যাকে 'অবাস্তব' বলে উড়িয়ে দেয় সেনারা। উল্লেখ্য, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল কম্পানি সোনাট্রাচ, ব্রিটিশ তেল কম্পানি বিপি ও নরওয়ের তেল কম্পানি স্ট্যাটোয়েল মিলিতভাবে এই গ্যাসক্ষেত্র পরিচালনা করছিল।
ইন আমেনাসে যেসব দেশের নাগরিক রয়েছে, সেসব দেশের সঙ্গে আলোচনা না করে বা কোনো পূর্বঘোষণা না দিয়ে সেনা অভিযানের অনুমতি দেওয়ায় আলজেরীয় সরকারের সমালোচনা করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। ইন আমেনাসের পরিস্থিতিকে 'খুবই খারাপ' উল্লেখ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, 'আমরা এক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যুর খবর জানি। খুবই বিপজ্জনক, খুবই অনিশ্চিত ও অত্যন্ত অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়, আমাদের আরো খারাপ খবরের জন্য তৈরি থাকা উচিত।' জ্যেষ্ঠ এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, অপহৃতদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে আলজেরিয়ার প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছেন তাঁরা। পাঁচ মার্কিন শ্রমিক মুক্ত হয়ে আলজেরিয়া ছেড়ে গেছে। জাপান সেনা অভিযানের সমালোচনা করেছে এবং টোকিওতে নিযুক্ত আলজেরীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ অভিযানের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে। ইন আমেনাসে জাপানের ১৭ শ্রমিকের তিনজনের মুক্তির খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে আলজেরিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মোহাম্মদ সাইদ ওবেলাইদ বলেন, সেনা অভিযানে কিছু মানুষ মারা গেলেও অনেক লোককে মুক্ত করা গেছে। তিনি বলেন, 'জঙ্গিরা আলজেরিয়াকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, আমাদের মালির সংঘাতে জড়ানোর চেষ্টা করছে এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের অবকাঠামোর ক্ষতি করছে।' সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments