হুইপ পেটানোর পুরস্কার! by ওমর ফারুক ও রেজোয়ান বিশ্বাস
বিএনপি নেতা ও বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে পেটানো বর্তমানে লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) পাচ্ছেন। চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে ৬৭ জন পুলিশ সদস্যকে পদক দেওয়ার জন্য মনোনীত করেছে নির্বাচক কমিটি।
সেই তালিকায় হারুন অর রশিদের নাম রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আগামী ২২ জানুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ লাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই পদক পুরস্কৃতদের হাতে তুলে দেবেন বলে কথা রয়েছে।
২০১১ সালের ৬ ও ৭ জুলাই বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন ফারুকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে তাঁর মাথা ফেটে যায়, শরীরের বিভিন্ন অংশও জখম হয়। ওই সময় তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন হারুন অর রশিদ। তিনি ওই হামলায় নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে। একই কারণে সহকারী পুলিশ কমিশনার বিপ্লব সরকারকে নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হয়। এ ঘটনার পর পদোন্নতি পেয়ে হারুন অর রশিদ উপপুলিশ কমিশনার ও বিপ্লব সরকার অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হন।
চলতি বছর পুলিশ পদকে ভূষিত হওয়া ৫৯ জন পাচ্ছেন বিপিএম ও আটজন পাচ্ছেন পিপিএম পদক। একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পদক তালিকার শীর্ষে নাম রয়েছে হারুন অর রশিদের।
এদিকে পুলিশ পদক নিয়ে স্বজনপ্রীতির ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পুলিশের মাঠ পর্যায়ে বেশ অসন্তোষ চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদস্যরা অভিযোগ করেন, যাঁরা জীবন বাজি রেখে কঠোর পরিশ্রম করে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁদের বেশির ভাগই পুরস্কারের তালিকায় আসেন না। এ কারণে মাঠ পর্যায়ে ভালো কাজ করেও যুগ যুগ ধরে অবহেলিত রয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর সুনজরে থাকায় হারুন অর রশিদের নাম তালিকায় স্থান পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে আরো অনেক বিতর্কিত কর্মকর্তার নাম তালিকায় থাকায় অনেক পুলিক কর্মকর্তা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, বিতর্কিত ও সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের কারণে মাঠ পর্যায়ের ভালো কর্মকর্তারা পদক তালিকায় স্থান পাচ্ছেন না। এতে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, প্রতিবছর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বিভিন্ন বিভাগে পদক দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস। পুলিশে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) দেওয়া হয়।
গত বছর সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও আটজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বিপিএম সেবা এবং ১৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) দেওয়া হয়। অথচ মাঠ পর্যায়ে এমন অনেক কর্মকর্তা ছিলেন যাঁরা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন অথচ তাঁদের ভাগ্যে কোনো পদকই জোটেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পিপিএম ও বিপিএম পদক পাওয়ার আশায় থাকেন। কিন্তু ভালো কাজ করে যোগ্যতার বিচারে এগিয়ে থেকেও অনেকেই কখনো পদক পান না। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে পুলিশ বিভাগে। প্রতিবছরই পদক নিয়ে স্বজনপ্রীতি হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়।
২০১১ সালের ৬ ও ৭ জুলাই বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন ফারুকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে তাঁর মাথা ফেটে যায়, শরীরের বিভিন্ন অংশও জখম হয়। ওই সময় তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন হারুন অর রশিদ। তিনি ওই হামলায় নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে। একই কারণে সহকারী পুলিশ কমিশনার বিপ্লব সরকারকে নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হয়। এ ঘটনার পর পদোন্নতি পেয়ে হারুন অর রশিদ উপপুলিশ কমিশনার ও বিপ্লব সরকার অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হন।
চলতি বছর পুলিশ পদকে ভূষিত হওয়া ৫৯ জন পাচ্ছেন বিপিএম ও আটজন পাচ্ছেন পিপিএম পদক। একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পদক তালিকার শীর্ষে নাম রয়েছে হারুন অর রশিদের।
এদিকে পুলিশ পদক নিয়ে স্বজনপ্রীতির ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পুলিশের মাঠ পর্যায়ে বেশ অসন্তোষ চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদস্যরা অভিযোগ করেন, যাঁরা জীবন বাজি রেখে কঠোর পরিশ্রম করে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁদের বেশির ভাগই পুরস্কারের তালিকায় আসেন না। এ কারণে মাঠ পর্যায়ে ভালো কাজ করেও যুগ যুগ ধরে অবহেলিত রয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর সুনজরে থাকায় হারুন অর রশিদের নাম তালিকায় স্থান পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে আরো অনেক বিতর্কিত কর্মকর্তার নাম তালিকায় থাকায় অনেক পুলিক কর্মকর্তা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, বিতর্কিত ও সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের কারণে মাঠ পর্যায়ের ভালো কর্মকর্তারা পদক তালিকায় স্থান পাচ্ছেন না। এতে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, প্রতিবছর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বিভিন্ন বিভাগে পদক দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস। পুলিশে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) দেওয়া হয়।
গত বছর সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও আটজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বিপিএম সেবা এবং ১৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) দেওয়া হয়। অথচ মাঠ পর্যায়ে এমন অনেক কর্মকর্তা ছিলেন যাঁরা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন অথচ তাঁদের ভাগ্যে কোনো পদকই জোটেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পিপিএম ও বিপিএম পদক পাওয়ার আশায় থাকেন। কিন্তু ভালো কাজ করে যোগ্যতার বিচারে এগিয়ে থেকেও অনেকেই কখনো পদক পান না। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে পুলিশ বিভাগে। প্রতিবছরই পদক নিয়ে স্বজনপ্রীতি হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়।
No comments