অস্ত্র কেনায় চাই সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা- প্রধানমন্ত্রীর মস্কো সফর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মস্কো সফর নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। গত ৪০ বছরে এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমান রাশিয়া সফরে গেলেন।
ভুলে গেলে চলবে না, ঠান্ডাযুদ্ধ অবসানের পর রাজনীতির চেয়ে অর্থনৈতিক স্বার্থই দ্বিপক্ষীয় কূটনীতির চালিকাশক্তি এবং প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব পরস্পর বৈরীভাবাপন্ন দেশগুলোর সঙ্গে সদ্ভাব রেখেও জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করে থাকে। এ ক্ষেত্রে চীন-ভারত কিংবা মার্কিন-চীন সম্পর্কের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়।
এ সফরের সময় রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দুটি চুক্তি ও কয়েকটি প্রটোকল সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে আট হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনবে, যার সমুদয় অর্থই রাশিয়া ঋণ হিসেবে দেবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আরও চার হাজার কোটি টাকা ঋণ পাওয়া যাবে। প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে এক হাজার মেগাওয়াট করে দুটি চুল্লি থাকবে। এ ছাড়া সন্ত্রাস দমন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারেও দুই দেশ মতৈক্যে পৌঁছেছে।
রাশিয়ার দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ লাভবান হবে, এতে সন্দেহ নেই। বিশেষ করে দেশটিতে তৈরি পোশাক, পাটজাতপণ্যসহ বাংলাদেশি বিভিন্ন পণ্যের যে কদর আছে, আমরা তা সহজেই কাজে লাগাতে পারি। গ্যাটের সদস্য হিসেবে শিল্পোন্নত রাশিয়ার কাছ থেকে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধাও পেতে পারে। পশ্চিম ইউরোপের মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়াসহ পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোতে আমাদের বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
তবে ঋণের টাকায় রাশিয়া থেকে এত বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র কেনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়নের প্রয়োজন আছে বটে। কিন্তু সে জন্য কী অস্ত্র, কত দামে কোথা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তার উপযোগিতা কতটুকু, সেসব খতিয়ে দেখা উচিত। এর আগের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেনা মিগ-২৯ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। মামলাও হয়েছে। তাই সমরাস্ত্র কেনার বিষয়ে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকা উচিত। কোনো সরকারের ইচ্ছেমাফিক নয়, টেকসই প্রতিরক্ষানীতির আলোকে, যুক্তিসংগতভাবে বিদেশ থেকে অস্ত্র কেনা উচিত। এমন ব্যয়বহুল ও অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সংসদেই বা আলোচনা হবে না কেন?
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়েও বিতর্ক আছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে জনমনে শঙ্কা যেমন বেড়েছে, তেমনি অনেক দেশ পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিল করেছে। দেশের সার্বিক অগ্রগতির জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমাদের গ্যাসের মজুতও কমে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনই একমাত্র বিকল্প কি না, সে বিষয়টিও ভেবে দেখা প্রয়োজন। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ঝুঁকিমুক্ত করার সব প্রযুক্তি অর্জনের পরই এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া উচিত। এ প্রকল্পে ন্যূনতম ঝুঁকি থাকলে সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা আছে। অতএব, সবকিছু ভেবেচিন্তেই এগোতে হবে।
এ সফরের সময় রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দুটি চুক্তি ও কয়েকটি প্রটোকল সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে আট হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনবে, যার সমুদয় অর্থই রাশিয়া ঋণ হিসেবে দেবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আরও চার হাজার কোটি টাকা ঋণ পাওয়া যাবে। প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে এক হাজার মেগাওয়াট করে দুটি চুল্লি থাকবে। এ ছাড়া সন্ত্রাস দমন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারেও দুই দেশ মতৈক্যে পৌঁছেছে।
রাশিয়ার দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ লাভবান হবে, এতে সন্দেহ নেই। বিশেষ করে দেশটিতে তৈরি পোশাক, পাটজাতপণ্যসহ বাংলাদেশি বিভিন্ন পণ্যের যে কদর আছে, আমরা তা সহজেই কাজে লাগাতে পারি। গ্যাটের সদস্য হিসেবে শিল্পোন্নত রাশিয়ার কাছ থেকে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধাও পেতে পারে। পশ্চিম ইউরোপের মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়াসহ পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোতে আমাদের বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
তবে ঋণের টাকায় রাশিয়া থেকে এত বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র কেনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়নের প্রয়োজন আছে বটে। কিন্তু সে জন্য কী অস্ত্র, কত দামে কোথা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তার উপযোগিতা কতটুকু, সেসব খতিয়ে দেখা উচিত। এর আগের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেনা মিগ-২৯ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। মামলাও হয়েছে। তাই সমরাস্ত্র কেনার বিষয়ে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকা উচিত। কোনো সরকারের ইচ্ছেমাফিক নয়, টেকসই প্রতিরক্ষানীতির আলোকে, যুক্তিসংগতভাবে বিদেশ থেকে অস্ত্র কেনা উচিত। এমন ব্যয়বহুল ও অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সংসদেই বা আলোচনা হবে না কেন?
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়েও বিতর্ক আছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে জনমনে শঙ্কা যেমন বেড়েছে, তেমনি অনেক দেশ পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিল করেছে। দেশের সার্বিক অগ্রগতির জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমাদের গ্যাসের মজুতও কমে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনই একমাত্র বিকল্প কি না, সে বিষয়টিও ভেবে দেখা প্রয়োজন। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ঝুঁকিমুক্ত করার সব প্রযুক্তি অর্জনের পরই এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া উচিত। এ প্রকল্পে ন্যূনতম ঝুঁকি থাকলে সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা আছে। অতএব, সবকিছু ভেবেচিন্তেই এগোতে হবে।
No comments