তত্ত্বাবধায়ক সরকারে যাচ্ছে পাকিস্তান
নির্দলীয়, নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বেছে নিল পাকিস্তান। আগামী জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করতে যাচ্ছে দেশটি।
ধর্মীয় নেতা তাহির-উল-কাদরির বিক্ষোভ কর্মসূচির অবসান ঘটাতে গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় দেশ হিসেবে পাকিস্তান তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এ ব্যবস্থায় হয়েছে।
নির্বাচনী সংস্কার এবং সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে গত রবিবার করাচি থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেন তেহরিক-ই-মিনহাজ-উল-কোরআনের (টিএমকিউ) প্রধান তাহির-উল-কাদরি। সরকারের পতন ঘটাতে চার দিন ধরে তিনি এবং তাঁর সমর্থকরা রাজধানীতে অবস্থান ধর্মঘট করছিলেন। দাবি মেনে নেওয়ার জন্য তিনি দেশটির সরকারকে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। জোট সরকারের শরিক দলগুলোর ১১ জন প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার কাদরির সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারসহ কাদরির পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়। এরপর তিনি অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যহার করেন। কাদরি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির পদত্যাগের ব্যাপারে কোনো দাবি করেননি।
বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। এতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ, জোটের প্রতিনিধিরা এবং টিএমকিউর প্রধান তাহির-উল-কাদরি সই করেন।
সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, কাদরির রাজনৈতিক দল পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুজন সৎ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তির নাম ঘোষণা করবে মন্ত্রিসভা। এতে কাদরির আপত্তি থাকলে তা নিয়ে আবার আলোচনা হবে।
কাদরির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার আগেই আইনমন্ত্রী ফারুক নায়েক জানান, আগামী সোমবার থেকে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হবে।
আগামী ১৬ মার্চ বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, সরকার ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মাথায় নির্বাচনের আয়োজন করতে সরকার সম্মত হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন ও প্রধান বিরোধী দল চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা যেতে পারে। কিন্তু কাদরির এতে আপত্তি রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এতে ক্ষমতাসীন পিপিপি ও প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে পারে।
নির্বাচন কমিশন পরিবর্তনেরও দাবি করেছিলেন কাদরি। এ ব্যাপারে আগামী ২৭ জানুয়ারি সরকার এবং পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিকের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন। এ নিয়ে আইনমন্ত্রী ফারুক নায়েক আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া বৈঠকে গত রবিবারের লংমার্চ কর্মসূচির সময় সরকার ও কাদরির করা পাল্টাপাল্টি মামলা তুলে নিতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।
এরই মধ্যে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে কাদরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন টিএমকিউর তথ্য কর্মকর্তা কাজির ফাউজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, 'নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সংস্কার নিয়ে চুক্তির মধ্য দিয়ে আমরা এ সংস্কার-প্রক্রিয়ার অংশ হয়েছি। আমরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারি। তবে এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।' তবে এ বিষয়ে কাদরি কোনো মন্তব্য করেনি। সূত্র : জিনিউজ, দ্য নিউজ, রয়টার্স অনলাইন।
নির্বাচনী সংস্কার এবং সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে গত রবিবার করাচি থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেন তেহরিক-ই-মিনহাজ-উল-কোরআনের (টিএমকিউ) প্রধান তাহির-উল-কাদরি। সরকারের পতন ঘটাতে চার দিন ধরে তিনি এবং তাঁর সমর্থকরা রাজধানীতে অবস্থান ধর্মঘট করছিলেন। দাবি মেনে নেওয়ার জন্য তিনি দেশটির সরকারকে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। জোট সরকারের শরিক দলগুলোর ১১ জন প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার কাদরির সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারসহ কাদরির পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়। এরপর তিনি অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যহার করেন। কাদরি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির পদত্যাগের ব্যাপারে কোনো দাবি করেননি।
বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। এতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ, জোটের প্রতিনিধিরা এবং টিএমকিউর প্রধান তাহির-উল-কাদরি সই করেন।
সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, কাদরির রাজনৈতিক দল পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুজন সৎ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তির নাম ঘোষণা করবে মন্ত্রিসভা। এতে কাদরির আপত্তি থাকলে তা নিয়ে আবার আলোচনা হবে।
কাদরির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার আগেই আইনমন্ত্রী ফারুক নায়েক জানান, আগামী সোমবার থেকে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হবে।
আগামী ১৬ মার্চ বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, সরকার ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মাথায় নির্বাচনের আয়োজন করতে সরকার সম্মত হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন ও প্রধান বিরোধী দল চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা যেতে পারে। কিন্তু কাদরির এতে আপত্তি রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এতে ক্ষমতাসীন পিপিপি ও প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে পারে।
নির্বাচন কমিশন পরিবর্তনেরও দাবি করেছিলেন কাদরি। এ ব্যাপারে আগামী ২৭ জানুয়ারি সরকার এবং পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিকের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন। এ নিয়ে আইনমন্ত্রী ফারুক নায়েক আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া বৈঠকে গত রবিবারের লংমার্চ কর্মসূচির সময় সরকার ও কাদরির করা পাল্টাপাল্টি মামলা তুলে নিতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।
এরই মধ্যে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে কাদরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন টিএমকিউর তথ্য কর্মকর্তা কাজির ফাউজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, 'নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সংস্কার নিয়ে চুক্তির মধ্য দিয়ে আমরা এ সংস্কার-প্রক্রিয়ার অংশ হয়েছি। আমরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারি। তবে এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।' তবে এ বিষয়ে কাদরি কোনো মন্তব্য করেনি। সূত্র : জিনিউজ, দ্য নিউজ, রয়টার্স অনলাইন।
No comments