ফ্ল্যাট নির্মাণের নামে ভাগ-বাঁটোয়ারা চলতে পারে না- উত্তরা আবাসন প্রকল্প
যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প মানেই যেন সরকারি দলের লোকজনের লুটপাট ও ভাগ-বাঁটোয়ারার সুযোগ তৈরি হওয়া। আর হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হলে তো কথাই নেই। উত্তরার সরকারি আবাসন প্রকল্পের শুরু থেকেই চলছে এই প্রক্রিয়া।
এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ পাওয়া নিয়ে শুরু হয়ে গেছে জোর-জবরদস্তি, যেভাবেই হোক সরকারি দলের লোকজনকেই দিতে হবে কাজটি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে রাজউকের চেয়ারম্যানকে পদত্যাগের মতো চরম সিদ্ধান্তও নিতে হয়েছিল।
উত্তরার এই আবাসন প্রকল্পে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণীতে মোট ২০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মিত হওয়ার কথা। শুরু থেকেই এই প্রকল্প রাজনৈতিক ঠিকাদারদের খপ্পরে পড়েছে এবং সংগত কারণেই সরকারি দলের লোকজন এর সঙ্গে জড়িত। দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানি ‘ডোঙ্গা’কে সঙ্গে নিয়ে প্রথম দফায় ‘এ’ শ্রেণীর ফ্ল্যাটের কাজ পেয়েছে সরকারদলীয় সাংসদ এনামুল হকের প্রতিষ্ঠান। তাদের কাজ দেওয়ার পর অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো নয়। এখন ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণীর ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য সেই ডোঙ্গা জোট বেঁধেছে দুবাইয়ের এসকর্ন আর বাংলাদেশের শিকদার রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে। আর এই তিন প্রতিষ্ঠানের জোট যাতে কাজ পায়, তা নিয়ে মাঠে নেমেছেন সরকারদলীয় আরেক সাংসদ নসরুল হামিদ। তিনি এতটাই তৎপর যে, রাজউকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী ও ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদারের প্রতিনিধিদের বৈঠকও তাঁকে বাদ দিয়ে হতে পারেনি। এমনকি উল্লিখিত সংস্থা যাতে কাজটি পায়, সে ব্যাপারে তিনি রাজউকের চেয়ারম্যানকে চাপ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদার যে দরপত্র দিয়েছে, কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির বিবেচনায় তা ত্রুটিপূর্ণ, সংগত কারণেই রাজউকের চেয়ারম্যান মো. নূরুল হুদা এই গ্রুপকে কাজ দিতে রাজি হননি। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান ও সরকারদলীয় সাংসদ নসরুল হামিদ এ ব্যাপারে চাপ দিলে রাজউকের চেয়ারম্যান পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করায় পরিস্থিতি হয়তো আপাত সামাল দেওয়া গেছে; কিন্তু এই প্রকল্প নিয়ে কী চলছে, তা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণীতে ৭২টি করে ১৪৪টি ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বানের পর ৪৫টি আবেদনপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়েছে মাত্র ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদার গ্রুপের দরপত্র। আর কোনো দরপত্র জমা না পড়া বিস্ময়কর। আমরা মনে করি, দ্বিতীয় দরপত্র পড়ুক আর নাই বা পড়ুক কারিগরি কমিটির বিবেচনায় ত্রুটিপূর্ণ দরপত্রটি গ্রহণ করার সুযোগ নেই। বরং এটি বাতিল করা উচিত।
সংশ্লিষ্ট সবাই গতানুগতিকভাবে কোনো ধরনের অনিয়মে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করা হয়েছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন’ ‘অসত্য’ ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এসব বলা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ বিবেচনাবোধ থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে, পুরো প্রকল্প নিয়ে বড় ধরনের ভাগ-বাঁটোয়ারার খেলা চলছে।
সরকারি এই প্রকল্পকে কেউ ভাগ-বাঁটোয়ারার উপলক্ষ করে তুলবে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদের বিরুদ্ধে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, তাই দ্রুতই বিষয়টির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
উত্তরার এই আবাসন প্রকল্পে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণীতে মোট ২০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মিত হওয়ার কথা। শুরু থেকেই এই প্রকল্প রাজনৈতিক ঠিকাদারদের খপ্পরে পড়েছে এবং সংগত কারণেই সরকারি দলের লোকজন এর সঙ্গে জড়িত। দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানি ‘ডোঙ্গা’কে সঙ্গে নিয়ে প্রথম দফায় ‘এ’ শ্রেণীর ফ্ল্যাটের কাজ পেয়েছে সরকারদলীয় সাংসদ এনামুল হকের প্রতিষ্ঠান। তাদের কাজ দেওয়ার পর অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো নয়। এখন ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণীর ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য সেই ডোঙ্গা জোট বেঁধেছে দুবাইয়ের এসকর্ন আর বাংলাদেশের শিকদার রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে। আর এই তিন প্রতিষ্ঠানের জোট যাতে কাজ পায়, তা নিয়ে মাঠে নেমেছেন সরকারদলীয় আরেক সাংসদ নসরুল হামিদ। তিনি এতটাই তৎপর যে, রাজউকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী ও ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদারের প্রতিনিধিদের বৈঠকও তাঁকে বাদ দিয়ে হতে পারেনি। এমনকি উল্লিখিত সংস্থা যাতে কাজটি পায়, সে ব্যাপারে তিনি রাজউকের চেয়ারম্যানকে চাপ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদার যে দরপত্র দিয়েছে, কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির বিবেচনায় তা ত্রুটিপূর্ণ, সংগত কারণেই রাজউকের চেয়ারম্যান মো. নূরুল হুদা এই গ্রুপকে কাজ দিতে রাজি হননি। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান ও সরকারদলীয় সাংসদ নসরুল হামিদ এ ব্যাপারে চাপ দিলে রাজউকের চেয়ারম্যান পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করায় পরিস্থিতি হয়তো আপাত সামাল দেওয়া গেছে; কিন্তু এই প্রকল্প নিয়ে কী চলছে, তা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণীতে ৭২টি করে ১৪৪টি ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বানের পর ৪৫টি আবেদনপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়েছে মাত্র ডোঙ্গা-এসকর্ন-শিকদার গ্রুপের দরপত্র। আর কোনো দরপত্র জমা না পড়া বিস্ময়কর। আমরা মনে করি, দ্বিতীয় দরপত্র পড়ুক আর নাই বা পড়ুক কারিগরি কমিটির বিবেচনায় ত্রুটিপূর্ণ দরপত্রটি গ্রহণ করার সুযোগ নেই। বরং এটি বাতিল করা উচিত।
সংশ্লিষ্ট সবাই গতানুগতিকভাবে কোনো ধরনের অনিয়মে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করা হয়েছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন’ ‘অসত্য’ ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এসব বলা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ বিবেচনাবোধ থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে, পুরো প্রকল্প নিয়ে বড় ধরনের ভাগ-বাঁটোয়ারার খেলা চলছে।
সরকারি এই প্রকল্পকে কেউ ভাগ-বাঁটোয়ারার উপলক্ষ করে তুলবে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদের বিরুদ্ধে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, তাই দ্রুতই বিষয়টির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
No comments