দূরপাল্লার বাসভাড়া বৃদ্ধি-স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর বড় চাপ
দূরপাল্লার বাস তথা পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে আরো একবার স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর চাপ বাড়ল। রবিবার বিকেলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক সভায় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজের কাঁধে দায় নিয়ে ভাড়ার নতুন হার ঘোষণা করলেন।
সরকার নির্ধারিত দূরপাল্লার বাসভাড়া ছিল প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৩৫ পয়সা। আজ মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে ১ টাকা ৪৫ পয়সা, অর্থাৎ কিলোমিটার প্রতি ১০ পয়সা বৃদ্ধি পেল। জানা গেছে, ভাড়া পুনর্নির্ধারণ কমিটি প্রস্তাব করেছিল, প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৫৮ পয়সা ধার্য করতে। কিন্তু সেখান থেকে ১৩ পয়সা কর্তন করা হয়। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ কমিটি ওই প্রস্তাব রেখেছে। উল্লেখ্য, দেশে ১৩৭টি দূরপাল্লার বাসের রুট রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের ভাড়া প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি প্রদানের আগে বাড়ানো হবে না।
কিন্তু গলদ অন্যত্র। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ আছে, বাস মালিকরা তাঁদের খেয়ালখুশিমতো ভাড়া নির্ধারণ করে থাকেন। সে হিসেবে বহু রুটেই আগে থেকেই চলছে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়। যেকোনো ধরনের জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোনো নির্দেশের বা ভাড়া নির্ধারণের তোয়াক্কা না করেই তাঁরা ভাড়া বাড়িয়ে থাকেন। অন্যদিকে ভাড়া বৃদ্ধির প্রশ্নে যুক্তি দেওয়া হয়েছে নতুন গাড়ির দাম বৃদ্ধির। কিন্তু এই রুটগুলোতে যে গাড়িগুলো চলছে, তার শতকরা ৯০টিই পুরনো। অর্থাৎ আগের দামে কেনা। সুতরাং এটি ভাড়া বৃদ্ধির কোনো কারণ হতে পারে না। মোদ্দা কথা, শাঁখের করাতের মতো সব সিদ্ধান্তের চাপ গিয়ে পড়ছে সাধারণ ও স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর। এখন কথা হলো, ভাড়া যখন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছেই তা মেনে নেওয়াও হবে; কিন্তু সরকারকে সেই সঙ্গে অপরিহার্য একটি কাজ করতে হবে। তা হলো, বাড়তি ভাড়া আদায় রোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা বিশেষ করে যোগাযোগমন্ত্রী এবং নৌ-পরিবহনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শুধু এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেই নন, তিনি একজন পরিবহন শ্রমিকনেতাও। তাই তাঁকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা চাই, আজ থেকেই যেসব পরিবহনে ১০ কিলোমিটারের ভাড়ার স্থলে ১৫ কিলোমিটার ভাড়ার সমপরিমাণ আদায় করছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হোক। এতে অন্তত যাত্রীদের ওপর চাপ কিছুটা লাঘব হবে।
কিন্তু গলদ অন্যত্র। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ আছে, বাস মালিকরা তাঁদের খেয়ালখুশিমতো ভাড়া নির্ধারণ করে থাকেন। সে হিসেবে বহু রুটেই আগে থেকেই চলছে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়। যেকোনো ধরনের জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোনো নির্দেশের বা ভাড়া নির্ধারণের তোয়াক্কা না করেই তাঁরা ভাড়া বাড়িয়ে থাকেন। অন্যদিকে ভাড়া বৃদ্ধির প্রশ্নে যুক্তি দেওয়া হয়েছে নতুন গাড়ির দাম বৃদ্ধির। কিন্তু এই রুটগুলোতে যে গাড়িগুলো চলছে, তার শতকরা ৯০টিই পুরনো। অর্থাৎ আগের দামে কেনা। সুতরাং এটি ভাড়া বৃদ্ধির কোনো কারণ হতে পারে না। মোদ্দা কথা, শাঁখের করাতের মতো সব সিদ্ধান্তের চাপ গিয়ে পড়ছে সাধারণ ও স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর। এখন কথা হলো, ভাড়া যখন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছেই তা মেনে নেওয়াও হবে; কিন্তু সরকারকে সেই সঙ্গে অপরিহার্য একটি কাজ করতে হবে। তা হলো, বাড়তি ভাড়া আদায় রোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা বিশেষ করে যোগাযোগমন্ত্রী এবং নৌ-পরিবহনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শুধু এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেই নন, তিনি একজন পরিবহন শ্রমিকনেতাও। তাই তাঁকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা চাই, আজ থেকেই যেসব পরিবহনে ১০ কিলোমিটারের ভাড়ার স্থলে ১৫ কিলোমিটার ভাড়ার সমপরিমাণ আদায় করছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হোক। এতে অন্তত যাত্রীদের ওপর চাপ কিছুটা লাঘব হবে।
No comments