প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী মহিলা হওয়া সত্বেও আমরা অবহেলিতঃ ফরিদ
রাত পোহালেই শুরু হবে প্রথম রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন। এ নির্বাচনে ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন ফরিদা কালাম।
তিনি এর আগে রংপুর পৌর কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন দুইবার। ১৯৯৯ সালে রংপুর পৌরসভায় প্রথমবারের মতো মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচন চালু হলে তিনি নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে তিনি নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
রংপুর নতুন সিটি করপোরেশন হওয়া, নারী গণপ্রতিনিধি নির্বাচনসহ বিভিন্ন আলোচনা হয় তার সঙ্গে।
আলোচনায় ফরিদা কালাম বলেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা নারী হওয়া সত্ত্বেও আমরা অবহেলিত। ওনারা দেশের সবচেয়ে বড় রাজনীতিবিদ। নারী সমাজের অবহেলিত থাকা দুঃখজনক।”
রংপুর শহরের তাজহাটে নিজের বাড়িতে বাংলানিউজকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “মনে হয়, মহিলা হবার কারণে অনেক সুবিধা পাইনি। পুরুষ কাউন্সিলররা জোর করে নিয়ে নেন। আমরা চাইনা সরক্ষিত হয়ে অবহেলিত থাকতে। আমাদের নির্বাচিত করা হয়। আমরা একটি নয়, তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্বে। ফলে, আমাদের উপর চাপ বেশি। কিন্তু, আমরা বরাদ্দ পাই কম।”
ফরিদা কালাম বলেন, “নারী সমাজের অগ্রগতি হচ্ছে। আমি চেষ্টা করছি নারী সমাজ ও সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করতে।”
তিনি বলেন, “সরকারের উচিত নারী জনপ্রতিনিধিদের অগ্রাধিকার দেওয়া। আমরা নির্বাচিত কাউন্সিলর হয়ে আসি। কিন্ত তেমন কাজ করতে পারিনা। পুরুষ কাউন্সিলররা সুবিধা নেন বেশি।”
তিনি বলেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা মহিলা হওয়া সত্ত্বেও আমরা অনেক সুবিধা পাচ্ছি না। অনেক কষ্ট করে আসি, তারপরও মূল্যায়ন পাই না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় সমস্যা আছে। এখানে মহিলা প্রার্থীদের ৩১ হাজার ৫০০ টাকা মোট জামানত নেয় অথচ পুরুষদের মাত্র ১০ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হয়। কিন্ত আমরা বেতন-ভাতা সমান পাই। কোনো ধরনের বৈষম্য থাকা উচিত নয়।”
ফরিদা কালাম বলেন, “আমি ১৯৯৯ সাল থেকে জনসেবায় কাজ করছি। এরমধ্যে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি রাস্তা করেছি। আমি সবার জন্য ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করি।”
আফসোস করে তিনি বলেন, “মহিলা কমিশনারদের বড় বড় কাজ দেওয়া হয় না। প্রথম কমিশনার হয়ে অনেক সমস্যা মোকবেলা করেছি। এলাকার বিভিন্ন বিচারে অর্জন করেছি সাফল্য। ফলে, মামলা মোকদ্দমা কমেছে।
তিনি বলেন, “নারীদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি বাল্যবিবাহ, বয়স্কভাতা, বিয়ে-শাদীতে সহযোগিতা করেছি। এবার নির্বাচিত হলে আমার লক্ষ্য বাল্যবিবাহ, বয়স্কভাতা, শিক্ষার মানোন্নয়নসহ রাস্তাঘাটের কাজ করা।
রংপুর শহর পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে রূপান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, “জেলা শহর থেকে সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে মনে করি রাস্তাঘাট ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করা উচিত। এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কম। মেয়র যদি ভালো হয়, তাহলে আমরা ফল ভালো পাব। আমার তিনটি ওয়ার্ডই অবহেলিত বেশি।
প্রতিবেদকঃ আহমেদ রাজু, মনোয়ারুল ইসলাম, সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী
আলোচনায় ফরিদা কালাম বলেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা নারী হওয়া সত্ত্বেও আমরা অবহেলিত। ওনারা দেশের সবচেয়ে বড় রাজনীতিবিদ। নারী সমাজের অবহেলিত থাকা দুঃখজনক।”
রংপুর শহরের তাজহাটে নিজের বাড়িতে বাংলানিউজকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “মনে হয়, মহিলা হবার কারণে অনেক সুবিধা পাইনি। পুরুষ কাউন্সিলররা জোর করে নিয়ে নেন। আমরা চাইনা সরক্ষিত হয়ে অবহেলিত থাকতে। আমাদের নির্বাচিত করা হয়। আমরা একটি নয়, তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্বে। ফলে, আমাদের উপর চাপ বেশি। কিন্তু, আমরা বরাদ্দ পাই কম।”
ফরিদা কালাম বলেন, “নারী সমাজের অগ্রগতি হচ্ছে। আমি চেষ্টা করছি নারী সমাজ ও সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করতে।”
তিনি বলেন, “সরকারের উচিত নারী জনপ্রতিনিধিদের অগ্রাধিকার দেওয়া। আমরা নির্বাচিত কাউন্সিলর হয়ে আসি। কিন্ত তেমন কাজ করতে পারিনা। পুরুষ কাউন্সিলররা সুবিধা নেন বেশি।”
তিনি বলেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা মহিলা হওয়া সত্ত্বেও আমরা অনেক সুবিধা পাচ্ছি না। অনেক কষ্ট করে আসি, তারপরও মূল্যায়ন পাই না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় সমস্যা আছে। এখানে মহিলা প্রার্থীদের ৩১ হাজার ৫০০ টাকা মোট জামানত নেয় অথচ পুরুষদের মাত্র ১০ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হয়। কিন্ত আমরা বেতন-ভাতা সমান পাই। কোনো ধরনের বৈষম্য থাকা উচিত নয়।”
ফরিদা কালাম বলেন, “আমি ১৯৯৯ সাল থেকে জনসেবায় কাজ করছি। এরমধ্যে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি রাস্তা করেছি। আমি সবার জন্য ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করি।”
আফসোস করে তিনি বলেন, “মহিলা কমিশনারদের বড় বড় কাজ দেওয়া হয় না। প্রথম কমিশনার হয়ে অনেক সমস্যা মোকবেলা করেছি। এলাকার বিভিন্ন বিচারে অর্জন করেছি সাফল্য। ফলে, মামলা মোকদ্দমা কমেছে।
তিনি বলেন, “নারীদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি বাল্যবিবাহ, বয়স্কভাতা, বিয়ে-শাদীতে সহযোগিতা করেছি। এবার নির্বাচিত হলে আমার লক্ষ্য বাল্যবিবাহ, বয়স্কভাতা, শিক্ষার মানোন্নয়নসহ রাস্তাঘাটের কাজ করা।
রংপুর শহর পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে রূপান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, “জেলা শহর থেকে সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে মনে করি রাস্তাঘাট ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করা উচিত। এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কম। মেয়র যদি ভালো হয়, তাহলে আমরা ফল ভালো পাব। আমার তিনটি ওয়ার্ডই অবহেলিত বেশি।
প্রতিবেদকঃ আহমেদ রাজু, মনোয়ারুল ইসলাম, সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী
No comments