কোপ-১৮, দোহা, কাতার- সবুজের আহ্বান by মারুফা ইসহাক
বিশাল বড় একটা রাক্ষুসে মাকড়সা। এর সামনে মানুষগুলো পিঁপড়া ছাড়া আর কিছুই নয়। উহু্, কোনো জ্যান্ত মাকড়সা নয়। কাতার কনভেনশন সেন্টারের ভেতরে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক। বিশাল সেন্টারের এই জায়গাটা চেনেন না, এমন কেউ নেই।
এই কনভেনশন সেন্টারেই আয়োজিত হয়েছিল জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন ‘কোপ-১৮’। কোপ হলো কনফারেন্স অব পার্টিস। জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সবচেয়ে বড় সম্মেলন হচ্ছে এটি। জলবায়ু পরিবর্তন প্রাকৃতিক বিষয় হলেও মানবসৃষ্ট প্রযুক্তিবিদ্যার যাচ্ছেতাই প্রয়োগ এই পরিবর্তনকেই মানুষের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ করে তুলেছে।
এ বছর কোপ-১৮ শুরু হয়েছে ২৬ নভেম্বর থেকে এবং শেষ হয়েছে ৭ ডিসেম্বর। কোপ-১৮-তে বিভিন্ন দেশের পার্টির আলোচনা চলতে থাকে শুরুর দিন থেকেই। বিভিন্ন বিষয়ে নানা আলোচনা হয়তো সবার জন্য প্রযোজ্য বা বোধগম্য হয়ে ওঠে না। বিভিন্ন দেশের পার্টি, আইজিও, এনজিও, প্রেস—এই সবকিছুকে ছাপিয়ে একঝাঁক তরুণ প্রতিনিধি সম্মেলনকে অনেকাংশেই প্রাণবন্ত করে তোলেন। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা তরুণদের সবাই ইয়াংগো গ্রুপের সদস্য হয়ে যান অলিখিতভাবে। প্রায় প্রতিদিন সকালে সাইড ইভেন্ট রুমে চলে ইয়াংগো মিটিং। সেই মিটিংয়ে আলোচনা করা হয় নেগোসিয়েশনের বর্তমান অবস্থা, প্রতিদিনকার সাইড ইভেন্টের অনুষ্ঠানসূচি। এমনকি গত দিন কে কোন সাইড ইভেন্টে গেছেন, কোথায় কী চলছে—এই সবকিছুর আপডেট পাওয়া যায় এই ইয়াংগো মিটিংয়ে। সম্মেলনজুড়ে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচিও পালন করেন এই তরুণ দলের সদস্যরা। এ ছাড়া রয়েছে এশিয়ান ইয়ুথ। এবারের কোপ-১৮-তে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এশিয়ান ইয়ুথ ওয়ার্ড ক্যাফে। এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিওনের তরুণ প্রতিনিধিরা সেখানে তাঁদের ডিক্লারেশন প্রদান করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে আসা তরুণ প্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাঁদের নিজ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
কোপ-১৮ সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে তিনজন শিক্ষার্থী—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে মারুফা ইসহাক, গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনল স্কুলের প্রিয়াঙ্কা বল ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের কামরুল ইসলাম এ সম্মেলনে অংশ নেন। এই শিক্ষার্থীরা কোপ-১৮-তে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনটি সংস্থা থেকে। প্রিয়াঙ্কা বাংলাদেশের ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে, কামরুল ঘানার অ্যাবিদিম্যান ফাউন্ডেশন থেকে এবং মারুফা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (আইসিএমওডি) থেকে।
কামরুল দেশে কাজ করেন বাংলাদেশ ইয়ুথ মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেটের (বিওয়াইএমসি) সহকারী সমন্বয়কারী হিসেবে। তাঁর মতে, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকির দেশগুলোর একটি। তাই আমাদের কূটনৈতিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমরা তরুণেরা এখনো শিখছি। ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হচ্ছি। এ সম্মেলনে আমরা যা শিখেছি, তা দেশের তরুণদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই, যাতে তাঁরা নিজেরাও দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন।’
কোপ সম্মেলনের আরেক শিক্ষার্থী সদস্য প্রিয়াঙ্কা বল। সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এবারই প্রথম কোপ সম্মেলনে আসা। যতটা ভেবেছি, তার চেয়েও এটা অনেক বড় পরিসরে অনেক বড় একটি সম্মেলন। প্রথম দিন বুঝতেই পারছিলাম না যে কোন ইভেন্টে যাব, কী করব। তবে নেগোসিয়েশন লক্ষ করার পাশাপাশি সাইড ইভেন্টগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে আমার কাছে।’ বাংলাদেশ থেকে যেসব তরুণ গেছেন, তাঁদের সবার জন্যই কোপ সম্মেলন একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। জলবায়ু পরিবর্তন ও বর্তমান বিশ্ব সম্পর্কে জানার সঙ্গে সঙ্গে দেশ-বিদেশের তরুণ ও জ্ঞানী-গুণীদের সঙ্গে পরিচিত হওয়াটা নিঃসন্দেহে একটা বাড়তি পাওয়া, এমনটা বলেন বাংলাদেশ থেকে আসা তরুণেরা।
আজকের তরুণেরাই হচ্ছেন আগামী দিনের নেতা। তাঁদের চিন্তা ও বিশ্লেষণক্ষমতার ওপরই নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ বিশ্বের সিদ্ধান্ত ও কর্মপরিকল্পনা। ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য কোপ সম্মেলন নিঃসন্দেহে তরুণদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম।
এ বছর কোপ-১৮ শুরু হয়েছে ২৬ নভেম্বর থেকে এবং শেষ হয়েছে ৭ ডিসেম্বর। কোপ-১৮-তে বিভিন্ন দেশের পার্টির আলোচনা চলতে থাকে শুরুর দিন থেকেই। বিভিন্ন বিষয়ে নানা আলোচনা হয়তো সবার জন্য প্রযোজ্য বা বোধগম্য হয়ে ওঠে না। বিভিন্ন দেশের পার্টি, আইজিও, এনজিও, প্রেস—এই সবকিছুকে ছাপিয়ে একঝাঁক তরুণ প্রতিনিধি সম্মেলনকে অনেকাংশেই প্রাণবন্ত করে তোলেন। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা তরুণদের সবাই ইয়াংগো গ্রুপের সদস্য হয়ে যান অলিখিতভাবে। প্রায় প্রতিদিন সকালে সাইড ইভেন্ট রুমে চলে ইয়াংগো মিটিং। সেই মিটিংয়ে আলোচনা করা হয় নেগোসিয়েশনের বর্তমান অবস্থা, প্রতিদিনকার সাইড ইভেন্টের অনুষ্ঠানসূচি। এমনকি গত দিন কে কোন সাইড ইভেন্টে গেছেন, কোথায় কী চলছে—এই সবকিছুর আপডেট পাওয়া যায় এই ইয়াংগো মিটিংয়ে। সম্মেলনজুড়ে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচিও পালন করেন এই তরুণ দলের সদস্যরা। এ ছাড়া রয়েছে এশিয়ান ইয়ুথ। এবারের কোপ-১৮-তে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এশিয়ান ইয়ুথ ওয়ার্ড ক্যাফে। এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিওনের তরুণ প্রতিনিধিরা সেখানে তাঁদের ডিক্লারেশন প্রদান করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে আসা তরুণ প্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাঁদের নিজ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
কোপ-১৮ সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে তিনজন শিক্ষার্থী—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে মারুফা ইসহাক, গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনল স্কুলের প্রিয়াঙ্কা বল ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের কামরুল ইসলাম এ সম্মেলনে অংশ নেন। এই শিক্ষার্থীরা কোপ-১৮-তে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনটি সংস্থা থেকে। প্রিয়াঙ্কা বাংলাদেশের ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে, কামরুল ঘানার অ্যাবিদিম্যান ফাউন্ডেশন থেকে এবং মারুফা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (আইসিএমওডি) থেকে।
কামরুল দেশে কাজ করেন বাংলাদেশ ইয়ুথ মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেটের (বিওয়াইএমসি) সহকারী সমন্বয়কারী হিসেবে। তাঁর মতে, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকির দেশগুলোর একটি। তাই আমাদের কূটনৈতিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমরা তরুণেরা এখনো শিখছি। ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হচ্ছি। এ সম্মেলনে আমরা যা শিখেছি, তা দেশের তরুণদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই, যাতে তাঁরা নিজেরাও দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন।’
কোপ সম্মেলনের আরেক শিক্ষার্থী সদস্য প্রিয়াঙ্কা বল। সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এবারই প্রথম কোপ সম্মেলনে আসা। যতটা ভেবেছি, তার চেয়েও এটা অনেক বড় পরিসরে অনেক বড় একটি সম্মেলন। প্রথম দিন বুঝতেই পারছিলাম না যে কোন ইভেন্টে যাব, কী করব। তবে নেগোসিয়েশন লক্ষ করার পাশাপাশি সাইড ইভেন্টগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে আমার কাছে।’ বাংলাদেশ থেকে যেসব তরুণ গেছেন, তাঁদের সবার জন্যই কোপ সম্মেলন একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। জলবায়ু পরিবর্তন ও বর্তমান বিশ্ব সম্পর্কে জানার সঙ্গে সঙ্গে দেশ-বিদেশের তরুণ ও জ্ঞানী-গুণীদের সঙ্গে পরিচিত হওয়াটা নিঃসন্দেহে একটা বাড়তি পাওয়া, এমনটা বলেন বাংলাদেশ থেকে আসা তরুণেরা।
আজকের তরুণেরাই হচ্ছেন আগামী দিনের নেতা। তাঁদের চিন্তা ও বিশ্লেষণক্ষমতার ওপরই নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ বিশ্বের সিদ্ধান্ত ও কর্মপরিকল্পনা। ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য কোপ সম্মেলন নিঃসন্দেহে তরুণদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম।
No comments