বাড়িভাড়া বিড়ম্বনা-আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করুন
রাজধানী ঢাকায় পেশাগত কারণে অথবা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার স্বার্থে লাখ লাখ মানুষ বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। বাড়ির স্বল্পতা এবং বিকল্প না থাকায় এসব ভাড়াটিয়া সরাসরি বাড়িওয়ালাদের আর্থিক ও মানসিক অত্যাচারের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছে।
বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের তোয়াক্কা না করে এই বিশাল ঘনবসতিপূর্ণ শহরের প্রায় প্রত্যেক বাড়িওয়ালা স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অস্বাভাবিক ভাড়া আদায় করছে, যা অমানবিক অত্যাচারের পর্যায়ে পেঁৗছে গেছে। শুধু ভাড়া আদায়ই নয়, প্রতিনিয়ত ইচ্ছামাফিক অপমানকর সব শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভাড়াটিয়াদের ওপর। বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত বিধিমালা থাকলেও তা মেনে চলে না কেউ। এই আইনি নির্দেশাবলি সম্পর্কে ধারণা রাখে না বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটিয়া কেউ-ই। সম্প্রতি বাড়িভাড়া বিষয়ে যোগ হয়েছে নতুন অত্যাচার। এক ভাড়াটিয়াকে নোটিশ দিয়ে উঠিয়ে দিয়ে এক বা দুই হাজার টাকা বাড়িয়ে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে ইউটিলিটিজের নামে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে অধিক হিসাবের একটি ফর্দ। অথচ সেই হারে বাড়ছে না ভাড়াটিয়াদের আয়। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী বাড়ি ভাড়া দেওয়ার আগে ভাড়াটিয়ার সঙ্গে চুক্তিপত্র করতে হবে এবং দুই বছরের মধ্যে ভাড়া বাড়ানো যাবে না। কিন্তু বাস্তবে কোথাও কোথাও ছয় মাস অন্তর ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে, থাকলে থাকো, নয়তো ভাগো। বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের ৭ নম্বর ধারায় আছে, কোনো বাড়ির ভাড়া মানসম্মত ভাড়ার বেশি বৃদ্ধি করা হলে ওই অতিরিক্ত ভাড়া কোনো চুক্তিতে ভিন্নরূপ কিছু থাকা সত্ত্বেও আদায়যোগ্য হবে না। এত সুস্পষ্ট কিছু নির্দেশনা থাকার পরও সরকারের যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্ব রয়েছে, তারা বছরের পর বছর ধরে নির্বিকার।
এ কথা ঠিক যে সময়ের সঙ্গে মিল রেখে বাড়িভাড়া বিষয়ক আইনের নানা ধরনের সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। ১৯৯১ সালের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে আজকের প্রেক্ষাপটে ভিন্নতা রয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট কোনো সেল থাকবে না কেন? ভাড়াটিয়াদের ৯০ শতাংশেরই জানা নেই_কোথায়, কার কাছে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। এই বিপুলসংখ্যক ভাড়াটিয়ার সঙ্গে সরকারের নানা ধরনের স্বার্থ সরাসরি জড়িয়ে আছে। বাড়িভাড়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছে দুর্নীতির বিষয়টিও। ঢাকায় বসবাসকারী অনেক চাকরিজীবীকে বাড়িভাড়া পরিশোধ করে মুখের আহার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়। ফলে বাধ্য হয়ে তারা দুর্নীতির আশ্রয় নেয়। তার পরও এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে সরকার উদাসীন ও নির্বিকার। অতিসত্বর আইনের সংশোধন এবং বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। দুই পক্ষকেই আইন অনুসরণে বাধ্য করতে হবে। সঙ্গে অবশ্যই বাড়িভাড়া-সংক্রান্ত নির্দেশাবলি জনগণকে জানানোর উদ্যোগ নিতে হবে। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং ঢাকা মহানগর ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
এ কথা ঠিক যে সময়ের সঙ্গে মিল রেখে বাড়িভাড়া বিষয়ক আইনের নানা ধরনের সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। ১৯৯১ সালের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে আজকের প্রেক্ষাপটে ভিন্নতা রয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট কোনো সেল থাকবে না কেন? ভাড়াটিয়াদের ৯০ শতাংশেরই জানা নেই_কোথায়, কার কাছে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। এই বিপুলসংখ্যক ভাড়াটিয়ার সঙ্গে সরকারের নানা ধরনের স্বার্থ সরাসরি জড়িয়ে আছে। বাড়িভাড়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছে দুর্নীতির বিষয়টিও। ঢাকায় বসবাসকারী অনেক চাকরিজীবীকে বাড়িভাড়া পরিশোধ করে মুখের আহার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়। ফলে বাধ্য হয়ে তারা দুর্নীতির আশ্রয় নেয়। তার পরও এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে সরকার উদাসীন ও নির্বিকার। অতিসত্বর আইনের সংশোধন এবং বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। দুই পক্ষকেই আইন অনুসরণে বাধ্য করতে হবে। সঙ্গে অবশ্যই বাড়িভাড়া-সংক্রান্ত নির্দেশাবলি জনগণকে জানানোর উদ্যোগ নিতে হবে। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং ঢাকা মহানগর ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
No comments