নিজ জেলার গৌরবগাথা by সজীব মিয়া
প্রথম আলো বন্ধুসভা সারা দেশে বিজয় দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস থেকে শুরু হয়েছে এই আয়োজন। চলবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এসব কর্মসূচির বেশকিছু আলোকচিত্র এ সংখ্যায় ছাপা হলো।
আ. রশিদ মাস্টার। একটি বই পড়তে গিয়ে নামটি দেখে চোখ আটকে গিয়েছিল। পরম শ্রদ্ধা ও গৌরবে আমার চোখ বন্ধ হয়ে এসেছিল। আ. রশিদ মাস্টার, তিনি আমার শিক্ষক। আমাদের হেড স্যার। স্যার সম্পর্কে শুধু জানা ছিল, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু যুদ্ধে তাঁর কাজের ক্ষেত্র কী ছিল, তা জানতাম না।
বইটির নাম জামালপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। বইয়ের লেখক ইতিহাস বয়ান করছেন এভাবে, ‘বকশীগঞ্জের আ. রশিদ মাস্টার, আব্দুল গণি ও জামালপুরের আ. আজিজ মাস্টার ভারতের তুরায় প্রশিক্ষণ শেষে গোয়েন্দা বিভাগে যোগদান করে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা বকশীগঞ্জ, কামালপুর, শেরপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও জামালপুর শহর থেকে সংবাদ সরবরাহ করে গোয়েন্দা বিভাগে প্রেরণ করতেন।’
কামালপুর রণাঙ্গন মুক্ত করতে তাঁদের গোয়েন্দা তথ্য অনস্বীকার্য। স্যারকে লেখা ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কমান্ডার ক্যাপ্টেন এস কে নাগির দুটি চিঠি দেওয়া আছে বইয়ে। চিঠিগুলোয় তিনি জানতে চেয়েছেন স্থানীয় স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড, হানাদার বাহিনীর সমরাস্ত্রের তথ্যসহ কামালপুর রণাঙ্গন আক্রমণের ছক আঁকতে কৌশলগত অনেক বিষয়। উল্লেখ্য, কামালপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরের অন্যতম কৌশলগত রণাঙ্গন। পাকিস্তানি বাহিনীর একটি দুর্ভেদ্য ঘাঁটি।
বইটি যতই পড়ছিলাম, আমার জেলার বীর সন্তানদের বীরত্বগাথা আমাকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করছিল। গর্ব বোধ করছি আমার শিক্ষকের অবদান পড়ে, অন্যদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা জেনে। আবার সেই শিক্ষকের কাছে কখনো আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা শোনা হয়নি ভেবে একটা অপরাধবোধও কাজ করছিল।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশ কিছু বই পড়েছি। প্রতিটি বই হয়তো নতুন অনেক বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে। পরিচয় ঘটিয়েছে জাতীয় অনেক বিষয়ের সঙ্গে, জাতীয় বীরদের অনেকের অবদান সম্পর্কে। কিন্তু আমার নিজ জেলার বীরদের আমি চিনতাম না, তাঁদের সম্পর্কে জানতাম না।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অঞ্চলভিত্তিক বইগুলো নিজ জেলার বীরত্বগাথা যেমন পরিচয় করিয়ে দেবে, তেমনি তুলে ধরবে মুক্তিযুদ্ধে অনেকের ভূমিকা। বন্ধুরা, আসুন, আমরা নিজ জেলার মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানি। নিজ জেলার মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা পড়ি।
বইটির নাম জামালপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। বইয়ের লেখক ইতিহাস বয়ান করছেন এভাবে, ‘বকশীগঞ্জের আ. রশিদ মাস্টার, আব্দুল গণি ও জামালপুরের আ. আজিজ মাস্টার ভারতের তুরায় প্রশিক্ষণ শেষে গোয়েন্দা বিভাগে যোগদান করে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা বকশীগঞ্জ, কামালপুর, শেরপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও জামালপুর শহর থেকে সংবাদ সরবরাহ করে গোয়েন্দা বিভাগে প্রেরণ করতেন।’
কামালপুর রণাঙ্গন মুক্ত করতে তাঁদের গোয়েন্দা তথ্য অনস্বীকার্য। স্যারকে লেখা ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কমান্ডার ক্যাপ্টেন এস কে নাগির দুটি চিঠি দেওয়া আছে বইয়ে। চিঠিগুলোয় তিনি জানতে চেয়েছেন স্থানীয় স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড, হানাদার বাহিনীর সমরাস্ত্রের তথ্যসহ কামালপুর রণাঙ্গন আক্রমণের ছক আঁকতে কৌশলগত অনেক বিষয়। উল্লেখ্য, কামালপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরের অন্যতম কৌশলগত রণাঙ্গন। পাকিস্তানি বাহিনীর একটি দুর্ভেদ্য ঘাঁটি।
বইটি যতই পড়ছিলাম, আমার জেলার বীর সন্তানদের বীরত্বগাথা আমাকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করছিল। গর্ব বোধ করছি আমার শিক্ষকের অবদান পড়ে, অন্যদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা জেনে। আবার সেই শিক্ষকের কাছে কখনো আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা শোনা হয়নি ভেবে একটা অপরাধবোধও কাজ করছিল।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশ কিছু বই পড়েছি। প্রতিটি বই হয়তো নতুন অনেক বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে। পরিচয় ঘটিয়েছে জাতীয় অনেক বিষয়ের সঙ্গে, জাতীয় বীরদের অনেকের অবদান সম্পর্কে। কিন্তু আমার নিজ জেলার বীরদের আমি চিনতাম না, তাঁদের সম্পর্কে জানতাম না।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অঞ্চলভিত্তিক বইগুলো নিজ জেলার বীরত্বগাথা যেমন পরিচয় করিয়ে দেবে, তেমনি তুলে ধরবে মুক্তিযুদ্ধে অনেকের ভূমিকা। বন্ধুরা, আসুন, আমরা নিজ জেলার মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানি। নিজ জেলার মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা পড়ি।
No comments