প্রধানমন্ত্রীর 'শান্তির মডেল' প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত
জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'শান্তির মডেল' প্রস্তাব। নিউ ইয়র্ক সময় গত সোমবার বিকেলে (বাংলাদেশ সময় গতকাল মঙ্গলবার ভোরে) সাধারণ অধিবেশনের এক সভায় ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সর্বসম্মত সমর্থনে প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়।
গতকাল নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অটিজমবিষয়ক বাংলাদেশের প্রস্তাবটিও সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানায়, ব্যক্তিবিশেষের অভিজ্ঞতাভিত্তিক এমন প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত হওয়ার নজির খুব কম। বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন 'জনগণের ক্ষমতায়ন' বা শান্তির মডেল প্রস্তাবের সাতটি বিশেষ উপাদান তুলে ধরে বলেন, এই তত্ত্ব রাষ্ট্র পরিচালনায় সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে 'দার্শনিক মাইলস্টোন' হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, রিও প্লাস টোয়েন্টি সম্মেলনে জাতীয় উন্নয়নে সবাইকে সম্পৃক্ত করার তাগিদ এসেছে। সেই তাগিদ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাব বিশেষভাবে কার্যকর।
জাতিসংঘের ৬৬ ও ৬৭তম সাধারণ অধিবেশনের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'জনগণের ক্ষমতায়ন' তত্ত্ব তুলে ধরেন। এতে তিনি সমাজ-রাষ্ট্রের সাতটি বিশেষ উপাদানের আন্তসম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ তৎপরতার মাধ্যমে মানুষের আ@ে@@@ান্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও স্থিতিশীল উন্নয়ন এবং শান্তি নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। শেখ হাসিনার এই তত্ত্বে মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই, বৈষম্য নিরসন, বঞ্চনা রোধ, সবার জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সমাজের বিশেষ নজরে আনা, শ্রমবাজারে আগতদের দক্ষ করে গড়ে তোলা, শিক্ষার প্রসার এবং শ্রেণী বিভাজনভিত্তিক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে সামগ্রিকভাবে সমগ্র জনগোষ্ঠীর সরকার পরিচালনায় ভূমিকা রাখার প্রয়াস চালানো এবং তাদের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার পাশাপাশি সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামী করে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
শান্তির সংস্কৃতিবিষয়ক প্রস্তাব গৃহীত : জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন গতকাল মঙ্গলবার আরো জানায়, শান্তির সংস্কৃতিবিষয়ক বাংলাদেশের আরেকটি প্রস্তাবও জাতিসংঘে গৃহীত হয়েছে। ওই প্রস্তাবটি আওয়ামী লীগ সরকারের আগের মেয়াদের শেষ দিকে ২০০১ সালে প্রথম উপস্থাপিত হয়। এর ভিত্তিতে 'শান্তির সংস্কৃতি দশক' বিশ্বব্যাপী উদ্যাপিত হয়। ২০০১ থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে আসছে এবং তা প্রতিবছরই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হচ্ছে। এ বছরের প্রস্তাবে শান্তির সংস্কৃতি বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক প্রতিবছর আয়োজন করার বিধান রাখা হয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানায়, ব্যক্তিবিশেষের অভিজ্ঞতাভিত্তিক এমন প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত হওয়ার নজির খুব কম। বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন 'জনগণের ক্ষমতায়ন' বা শান্তির মডেল প্রস্তাবের সাতটি বিশেষ উপাদান তুলে ধরে বলেন, এই তত্ত্ব রাষ্ট্র পরিচালনায় সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে 'দার্শনিক মাইলস্টোন' হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, রিও প্লাস টোয়েন্টি সম্মেলনে জাতীয় উন্নয়নে সবাইকে সম্পৃক্ত করার তাগিদ এসেছে। সেই তাগিদ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাব বিশেষভাবে কার্যকর।
জাতিসংঘের ৬৬ ও ৬৭তম সাধারণ অধিবেশনের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'জনগণের ক্ষমতায়ন' তত্ত্ব তুলে ধরেন। এতে তিনি সমাজ-রাষ্ট্রের সাতটি বিশেষ উপাদানের আন্তসম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ তৎপরতার মাধ্যমে মানুষের আ@ে@@@ান্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও স্থিতিশীল উন্নয়ন এবং শান্তি নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। শেখ হাসিনার এই তত্ত্বে মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই, বৈষম্য নিরসন, বঞ্চনা রোধ, সবার জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সমাজের বিশেষ নজরে আনা, শ্রমবাজারে আগতদের দক্ষ করে গড়ে তোলা, শিক্ষার প্রসার এবং শ্রেণী বিভাজনভিত্তিক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে সামগ্রিকভাবে সমগ্র জনগোষ্ঠীর সরকার পরিচালনায় ভূমিকা রাখার প্রয়াস চালানো এবং তাদের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার পাশাপাশি সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামী করে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
শান্তির সংস্কৃতিবিষয়ক প্রস্তাব গৃহীত : জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন গতকাল মঙ্গলবার আরো জানায়, শান্তির সংস্কৃতিবিষয়ক বাংলাদেশের আরেকটি প্রস্তাবও জাতিসংঘে গৃহীত হয়েছে। ওই প্রস্তাবটি আওয়ামী লীগ সরকারের আগের মেয়াদের শেষ দিকে ২০০১ সালে প্রথম উপস্থাপিত হয়। এর ভিত্তিতে 'শান্তির সংস্কৃতি দশক' বিশ্বব্যাপী উদ্যাপিত হয়। ২০০১ থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে আসছে এবং তা প্রতিবছরই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হচ্ছে। এ বছরের প্রস্তাবে শান্তির সংস্কৃতি বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক প্রতিবছর আয়োজন করার বিধান রাখা হয়েছে।
No comments