তালেবানের সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়ার রোডম্যাপ আফগান সরকারের
তালেবানের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের পাঁচ দফা রূপরেখা তৈরি করেছে আফগান সরকার। আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের আগেই ইসলামপন্থী জঙ্গিদের সঙ্গে সমঝোতার লক্ষ্যে এই রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
ন্যাটো সেনারা চলে যাওয়ার পর আবারও গৃহযুদ্ধ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে আশঙ্কায় শান্তিপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি এই সপ্তাহে আফগান সরকারের 'শান্তিপ্রক্রিয়ার রোডম্যাপ' হাতে পেয়েছে। গত সোমবার তারা পাঁচ দফা-বিশিষ্ট পরিকল্পনার মূল বিষয়গুলো প্রকাশ করে। এএফপি জানায়, আফগান সরকার ২০১৫ সালের মধ্যে তালেবান, হিজব-ই-ইসলাম ও অন্য সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে সহিংসতার পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে চায়। জঙ্গি তৎপরতা থেকে সরিয়ে এনে তাদের রাজনৈতিক দলে পরিণত করার পরিকল্পনা করছে সরকার। আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ও নির্বাচনসহ অন্যান্য সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় জঙ্গিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই এ পরিকল্পনার লক্ষ্য।
রোডম্যাপের প্রথম দফায় 'শান্তিপ্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করার' কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তানের কয়েকটি কারাগারে আটক তালেবান সদস্যদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসার বিষয়টিও রয়েছে এর মধ্যে। রোডম্যাপের দ্বিতীয় দফায় আগামী বছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যেই সৌদি আরবে তালেবানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘকে তালেবান ও অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছে। ২০১৩ সালের শেষ ছয় মাসের মধ্যেই জঙ্গিদের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে তৃতীয় দফায়। নির্বাচনসহ অন্য উপায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন স্তরে তালেবানের অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ২০১৪ সালের প্রথমার্ধের মধ্যেই আফগান যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ও দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে রোডম্যাপের শেষ দফায়।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আফগানিস্তান সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক আবদুল ওয়াহিদ ওয়াফা বলেন, 'এই রোডম্যাপ খুবই কল্পনাশ্রয়ী। আমরা শান্তিপ্রক্রিয়ার একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। সরকার তাদের চাহিদা মেটাতে পারবে না চিন্তা করে সরকারের সঙ্গে আলোচনায়ই বসতে চায় না তালেবান। তারা যুক্তরাষ্ট্রে ও অন্য পক্ষগুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে চায়।'
ন্যাটো যাওয়ার পর আফগানিস্তানের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে : বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা করছে, ২০১৪ সালে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হবে এবং উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। স্থানীয় ও প্রাদেশিক পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোর অভাবে উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো হুমকির মুখে পড়বে। বিশ্বব্যাংকের এক নিরীক্ষায় এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে জনস্বাস্থ্য, টেলিযোগাযোগ ও গোষ্ঠী উন্নয়নের ক্ষেত্রে 'সন্তোষজনক অগ্রগতি' হয়েছে। কিন্তু বেসামরিক পর্যায়ের অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র : এএফপি।
বার্তা সংস্থা এএফপি এই সপ্তাহে আফগান সরকারের 'শান্তিপ্রক্রিয়ার রোডম্যাপ' হাতে পেয়েছে। গত সোমবার তারা পাঁচ দফা-বিশিষ্ট পরিকল্পনার মূল বিষয়গুলো প্রকাশ করে। এএফপি জানায়, আফগান সরকার ২০১৫ সালের মধ্যে তালেবান, হিজব-ই-ইসলাম ও অন্য সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে সহিংসতার পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে চায়। জঙ্গি তৎপরতা থেকে সরিয়ে এনে তাদের রাজনৈতিক দলে পরিণত করার পরিকল্পনা করছে সরকার। আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ও নির্বাচনসহ অন্যান্য সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় জঙ্গিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই এ পরিকল্পনার লক্ষ্য।
রোডম্যাপের প্রথম দফায় 'শান্তিপ্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করার' কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তানের কয়েকটি কারাগারে আটক তালেবান সদস্যদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসার বিষয়টিও রয়েছে এর মধ্যে। রোডম্যাপের দ্বিতীয় দফায় আগামী বছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যেই সৌদি আরবে তালেবানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘকে তালেবান ও অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছে। ২০১৩ সালের শেষ ছয় মাসের মধ্যেই জঙ্গিদের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে তৃতীয় দফায়। নির্বাচনসহ অন্য উপায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন স্তরে তালেবানের অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ২০১৪ সালের প্রথমার্ধের মধ্যেই আফগান যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ও দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে রোডম্যাপের শেষ দফায়।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আফগানিস্তান সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক আবদুল ওয়াহিদ ওয়াফা বলেন, 'এই রোডম্যাপ খুবই কল্পনাশ্রয়ী। আমরা শান্তিপ্রক্রিয়ার একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। সরকার তাদের চাহিদা মেটাতে পারবে না চিন্তা করে সরকারের সঙ্গে আলোচনায়ই বসতে চায় না তালেবান। তারা যুক্তরাষ্ট্রে ও অন্য পক্ষগুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে চায়।'
ন্যাটো যাওয়ার পর আফগানিস্তানের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে : বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা করছে, ২০১৪ সালে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হবে এবং উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। স্থানীয় ও প্রাদেশিক পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোর অভাবে উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো হুমকির মুখে পড়বে। বিশ্বব্যাংকের এক নিরীক্ষায় এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে জনস্বাস্থ্য, টেলিযোগাযোগ ও গোষ্ঠী উন্নয়নের ক্ষেত্রে 'সন্তোষজনক অগ্রগতি' হয়েছে। কিন্তু বেসামরিক পর্যায়ের অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র : এএফপি।
No comments