সংবাদ সম্মেলনে তরিকুল ইসলাম- রামু বিশ্বজিৎ বিশ্বব্যাংক সবই উনারা ঘটিয়েছেন
রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, বিশ্বজিৎ দাসকে হত্যা, বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিলের ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অভিযোগ করেছেন, তার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছে বিএনপি। তবে দলটি এ সবের জন্য দায়ী করেছে সরকারকেই।
বিএনপির সমন্বয়কারী ও মুখপাত্র তরিকুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিমত দেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। রামুর ঘটনা উনারা ঘটিয়েছেন, বিশ্বজিৎকে উনারা খুন করেছেন, পদ্মা সেতু উনারা খেয়ে ফেলেছেন। সবই এক সূত্রে গাঁথা এবং সব উনারাই করেছেন।’
ধ্বংসাত্মক হরতাল পালনকারীদের সিপিবির হরতাল থেকে শিখতে হবে— স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তরিকুল বলেন, ‘আমরা দেখেছি, জনগণ দেখেছে, সাংবাদিকেরাও দেখেছেন; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাহিনী কীভাবে হরতাল করেছে।’ গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে আজ বুধবার বিএনপি আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা সমাবেশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সমাবেশে ‘দল-মত-জাতি-ধর্মনির্বিশেষে’ সব মুক্তিযোদ্ধাকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তরিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ নাট্যমঞ্চের বাইরের অংশ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তরিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়ে সরকার অন্ধ হিংসায় মেতে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বানের পর তাঁর অনুগত সশস্ত্র পদাতিক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ বাহিনী পাশবিক আক্রমণ চালিয়ে বিশ্বজিৎকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেছেন, বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের কয়েকজন বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জড়িত, এদের কারও আত্মীয় মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল।...আওয়ামী ওলামা লীগের নেতারা কী হার্ভার্ড, অক্সফোর্ডের ছাত্র?’
জামায়াত দাওয়াত পায়নি: সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মুখপাত্র তরিকুল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীকে দাওয়াত করার প্রশ্ন ওঠে না। যেসব পত্রিকা লিখেছে, তারা মনের মাধুরী দিয়ে মিথ্যাচার করেছে।’ মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা সমাবেশের আহ্বায়ক শাহজাহান ওমর বলেন, ‘এ সমাবেশ নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। আমাদের এ সমাবেশ সম্পূর্ণ নির্দলীয় নিরপেক্ষ। এতে ১৮ দল নেই। তথাকথিত রাজাকার, তথাকথিত জামায়াত, তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী নেই।’
শাহজাহান ওমর বলেন, তিনি নিজে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি হেলাল মোর্শেদ, সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ ও রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমসহ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ ছাড়া অন্য সব সেক্টর কমান্ডারদেরও দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সোহরাব উদ্দিন, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম প্রমুখ।
ধ্বংসাত্মক হরতাল পালনকারীদের সিপিবির হরতাল থেকে শিখতে হবে— স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তরিকুল বলেন, ‘আমরা দেখেছি, জনগণ দেখেছে, সাংবাদিকেরাও দেখেছেন; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাহিনী কীভাবে হরতাল করেছে।’ গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে আজ বুধবার বিএনপি আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা সমাবেশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সমাবেশে ‘দল-মত-জাতি-ধর্মনির্বিশেষে’ সব মুক্তিযোদ্ধাকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তরিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ নাট্যমঞ্চের বাইরের অংশ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তরিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়ে সরকার অন্ধ হিংসায় মেতে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বানের পর তাঁর অনুগত সশস্ত্র পদাতিক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ বাহিনী পাশবিক আক্রমণ চালিয়ে বিশ্বজিৎকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেছেন, বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের কয়েকজন বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জড়িত, এদের কারও আত্মীয় মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল।...আওয়ামী ওলামা লীগের নেতারা কী হার্ভার্ড, অক্সফোর্ডের ছাত্র?’
জামায়াত দাওয়াত পায়নি: সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মুখপাত্র তরিকুল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীকে দাওয়াত করার প্রশ্ন ওঠে না। যেসব পত্রিকা লিখেছে, তারা মনের মাধুরী দিয়ে মিথ্যাচার করেছে।’ মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা সমাবেশের আহ্বায়ক শাহজাহান ওমর বলেন, ‘এ সমাবেশ নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। আমাদের এ সমাবেশ সম্পূর্ণ নির্দলীয় নিরপেক্ষ। এতে ১৮ দল নেই। তথাকথিত রাজাকার, তথাকথিত জামায়াত, তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী নেই।’
শাহজাহান ওমর বলেন, তিনি নিজে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি হেলাল মোর্শেদ, সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ ও রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমসহ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ ছাড়া অন্য সব সেক্টর কমান্ডারদেরও দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সোহরাব উদ্দিন, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম প্রমুখ।
No comments