পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ হচ্ছে by সাখাওয়াত হোসেন
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনারা আক্রমণ চালায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসেও। সেখানে তারা নির্বিচারে হত্যা করে বহু পুলিশকে। এতে দমে বা ধ্বংস হয়ে যায়নি এ বাহিনী। যাঁরা জীবিত ছিলেন তাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং বীরত্ব প্রদর্শন করেন।
স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে এ বাহিনী দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা পালন করে আসছে। সে আলোকে আপনিও জননিরাপত্তা বিধান ও সেবার মহান ব্রত নিয়ে এ বাহিনীতে যোগ দিতে পারেন। সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (নারী-পুরুষ) পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এ জন্য সারা দেশ থেকে মোট তিন হাজার ৫০০ জন প্রার্থী বাছাই করা হবে। এর মধ্যে ৫২৫ জন (মোট নিয়োগের ১৫ শতাংশ) নারী প্রার্থী সুযোগ পাবেন। দেশের ৬৪ জেলায় আগামী ১ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বাছাই-প্রক্রিয়া।
প্রাথমিক যোগ্যতা: আবেদনকারী বা প্রার্থীকে ন্যূনতম মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। উচ্চতা পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি (পুরুষ প্রার্থী) এবং পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি (নারী প্রার্থী)। উচ্চতার সঙ্গে ওজন ও অন্যান্য শারীরিক যোগ্যতা থাকতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিন্নতা রয়েছে। অধূমপায়ীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নিজ জেলার নির্ধারিত স্থান ও তারিখে সকাল নয়টায় উপস্থিত থাকতে হবে।
নিয়োগ-প্রক্রিয়া: জানা যায়, প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার কনস্টেবল নিয়োগ-প্রক্রিয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে নির্ধারিত সময়ে ওই সব স্থানে প্রথমে প্রার্থীর শারীরিক পরীক্ষা অনুিষ্ঠত হবে। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের একই দিনে ৪০ নম্বরের দেড় ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এতে প্রশ্ন থাকবে মাধ্যমিক বা সমমানের বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত থেকে।লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা দিতে হয়। এই পরীক্ষায় মূলত সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বুদ্ধি যাচাই করা হয়। তাই ফল ভালো করতে হলে লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য জোর প্রস্তুতি নিতে হবে।
চূড়ান্ত নির্বাচন: পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের জেলা পুলিশ সুপার কর্তৃক সরবরাহ করা আবেদন ফরম পূরণের সঙ্গে পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকার ট্রেজারি চালান, দুই কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত পুনর্বাছাই কমিটি কর্তৃক শারীরিকসহ অন্যান্য যোগ্যতা যাচাইয়ের পর প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হবে। প্রার্থীরা প্রথমে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (নারী-পুরুষ) হিসেবে ছয় মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।
সুযোগ-সুবিধা: পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আরও জানা যায়, প্রশিক্ষণকালে প্রত্যেকে বিনা মূল্যে পোশাকসামগ্রী, থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা-সুবিধাসহ মাসিক ৩০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী ৪৫০০-২৪০*৭-৬১৮০-ইবি-২৬৫*১১-৯০৯৫ টাকা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। রয়েছে স্বল্প মূল্যে রেশনের ব্যবস্থা। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পেতে পারেন পদোন্নতি। রয়েছে বিদেশে জাতিসংঘ মিশনে অংশ নেওয়ার সুযোগও। একজন কনস্টেবলের পদোন্নতি পেয়ে দ্বিতীয় ও প্রথম শ্রেণীর পুলিশ কর্মকর্তা পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ আছে।
পেশার দায়দায়িত্ব: সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সাধারণত একজন উপ পরিদর্শকের নেতৃত্বে পুলিশ কনস্টেবলরা প্রাথমিক ও মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ ছাড়া আসামি ধরার বিভিন্ন অভিযানেও যেতে হয়।
এ পেশায় ভালো করতে: দেশ ও জনগণের প্রত্যক্ষভাবে সেবা করার সুযোগ রয়েছে এ পেশায়। এখানে ভালো করতে সততা, নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া প্রচলিত আইনের বিভিন্ন ধারা সম্পর্কে জানতে হবে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া উচিত। তাহলে নিয়মানুযায়ী পরীক্ষা দিয়ে পদোন্নতির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করেন এ বাহিনীতে কর্মরত অনেকেই।
প্রাথমিক যোগ্যতা: আবেদনকারী বা প্রার্থীকে ন্যূনতম মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। উচ্চতা পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি (পুরুষ প্রার্থী) এবং পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি (নারী প্রার্থী)। উচ্চতার সঙ্গে ওজন ও অন্যান্য শারীরিক যোগ্যতা থাকতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিন্নতা রয়েছে। অধূমপায়ীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নিজ জেলার নির্ধারিত স্থান ও তারিখে সকাল নয়টায় উপস্থিত থাকতে হবে।
নিয়োগ-প্রক্রিয়া: জানা যায়, প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার কনস্টেবল নিয়োগ-প্রক্রিয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে নির্ধারিত সময়ে ওই সব স্থানে প্রথমে প্রার্থীর শারীরিক পরীক্ষা অনুিষ্ঠত হবে। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের একই দিনে ৪০ নম্বরের দেড় ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এতে প্রশ্ন থাকবে মাধ্যমিক বা সমমানের বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত থেকে।লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা দিতে হয়। এই পরীক্ষায় মূলত সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বুদ্ধি যাচাই করা হয়। তাই ফল ভালো করতে হলে লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য জোর প্রস্তুতি নিতে হবে।
চূড়ান্ত নির্বাচন: পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের জেলা পুলিশ সুপার কর্তৃক সরবরাহ করা আবেদন ফরম পূরণের সঙ্গে পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকার ট্রেজারি চালান, দুই কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। পুলিশ সদর দপ্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত পুনর্বাছাই কমিটি কর্তৃক শারীরিকসহ অন্যান্য যোগ্যতা যাচাইয়ের পর প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হবে। প্রার্থীরা প্রথমে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (নারী-পুরুষ) হিসেবে ছয় মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।
সুযোগ-সুবিধা: পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আরও জানা যায়, প্রশিক্ষণকালে প্রত্যেকে বিনা মূল্যে পোশাকসামগ্রী, থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা-সুবিধাসহ মাসিক ৩০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী ৪৫০০-২৪০*৭-৬১৮০-ইবি-২৬৫*১১-৯০৯৫ টাকা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। রয়েছে স্বল্প মূল্যে রেশনের ব্যবস্থা। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পেতে পারেন পদোন্নতি। রয়েছে বিদেশে জাতিসংঘ মিশনে অংশ নেওয়ার সুযোগও। একজন কনস্টেবলের পদোন্নতি পেয়ে দ্বিতীয় ও প্রথম শ্রেণীর পুলিশ কর্মকর্তা পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ আছে।
পেশার দায়দায়িত্ব: সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সাধারণত একজন উপ পরিদর্শকের নেতৃত্বে পুলিশ কনস্টেবলরা প্রাথমিক ও মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ ছাড়া আসামি ধরার বিভিন্ন অভিযানেও যেতে হয়।
এ পেশায় ভালো করতে: দেশ ও জনগণের প্রত্যক্ষভাবে সেবা করার সুযোগ রয়েছে এ পেশায়। এখানে ভালো করতে সততা, নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া প্রচলিত আইনের বিভিন্ন ধারা সম্পর্কে জানতে হবে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া উচিত। তাহলে নিয়মানুযায়ী পরীক্ষা দিয়ে পদোন্নতির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করেন এ বাহিনীতে কর্মরত অনেকেই।
No comments