ডেসটিনি গ্রুপের ৩১ প্রতিষ্ঠানের- নিবন্ধন বাতিল-প্রশাসক নিয়োগও হচ্ছে না! by আবুল কাশেম
ডেসটিনি গ্রুপের নিবন্ধিত ৩১টি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ইতিমধ্যে বাতিল করেছে যৌথ মূলধনী কম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)। প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রার ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিজন কুমার বৈশ্য ডেসটিনির ৩১ কম্পানির নিবন্ধন বাতিল করার কথা কালের কণ্ঠের কাছে স্বীকার করেছেন।
সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তদন্ত কমিটির সুপারিশ কতটুকু বাস্তবায়ন করেছে তা পর্যালোচনার জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৈঠক করবে ডেসটিনি-সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটি। বৈঠকের জন্য তৈরি করা কার্যপত্রে ডেসটিনি গ্রুপের ৩১ কম্পানির নিবন্ধন বাতিলের তথ্য উল্লেখ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বিজন কুমার বৈশ্য গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ডেসটিনি গ্রুপের ৩১টি কম্পানির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এসব কম্পানির বেশির ভাগই ছিল নিষ্ক্রিয়।'
আরজেএসসির সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ডেসটিনি গ্রুপের নিবন্ধন পাওয়া কম্পানির মোট সংখ্যা ছিল ৩৯টি। এর মধ্যে ডেসটিনি-২০০০, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যন্টেশন, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি, বেস্ট এভিয়েশন, বৈশাখী মিডিয়া, দৈনিক ডেসটিনি, ডেসটিনি প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ও ডেসটিনি প্রিন্টিং প্রেস বাদে বাকি ৩১টি কম্পানির নাম নিবন্ধন বহি থেকে কর্তন করা হয়েছে।
এদিকে ডেসটিনি গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের সম্পত্তি জব্দের আদেশ পাওয়ার পাশাপাশি প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের সাড়া না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'ডেসটিনি গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ না দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও সেখান থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। এ ছাড়া ইতিমধ্যে আদালত থেকেও ডেসটিনির সম্পদ বাজেয়াপ্তের রায়ও পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো এখনো একই সঙ্গে ডেসটিনি-সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ডেসটিনির অর্থপাচার-সংক্রান্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংক, অবৈধভাবে শেয়ারসহ সঞ্চয় আমানত আদায় এবং বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয়, বিভিন্ন প্রকল্পে মূলধন বিনিয়োগ, ঋণ দেওয়া ও অর্থ স্থানান্তরের বিরুদ্ধে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও এখনো তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ডেসটিনি কর্তৃপক্ষের আয়কর নথি পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব্ব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে দেওয়া হলেও এ বিষয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানা গেছে।
বিজন কুমার বৈশ্য গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ডেসটিনি গ্রুপের ৩১টি কম্পানির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এসব কম্পানির বেশির ভাগই ছিল নিষ্ক্রিয়।'
আরজেএসসির সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ডেসটিনি গ্রুপের নিবন্ধন পাওয়া কম্পানির মোট সংখ্যা ছিল ৩৯টি। এর মধ্যে ডেসটিনি-২০০০, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যন্টেশন, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি, বেস্ট এভিয়েশন, বৈশাখী মিডিয়া, দৈনিক ডেসটিনি, ডেসটিনি প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ও ডেসটিনি প্রিন্টিং প্রেস বাদে বাকি ৩১টি কম্পানির নাম নিবন্ধন বহি থেকে কর্তন করা হয়েছে।
এদিকে ডেসটিনি গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের সম্পত্তি জব্দের আদেশ পাওয়ার পাশাপাশি প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের সাড়া না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'ডেসটিনি গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ না দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও সেখান থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। এ ছাড়া ইতিমধ্যে আদালত থেকেও ডেসটিনির সম্পদ বাজেয়াপ্তের রায়ও পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো এখনো একই সঙ্গে ডেসটিনি-সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ডেসটিনির অর্থপাচার-সংক্রান্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংক, অবৈধভাবে শেয়ারসহ সঞ্চয় আমানত আদায় এবং বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয়, বিভিন্ন প্রকল্পে মূলধন বিনিয়োগ, ঋণ দেওয়া ও অর্থ স্থানান্তরের বিরুদ্ধে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও এখনো তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ডেসটিনি কর্তৃপক্ষের আয়কর নথি পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব্ব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে দেওয়া হলেও এ বিষয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানা গেছে।
No comments