পদ্মা সেতু নিয়ে অনিশ্চয়তা আর কত দিন- দুদকের প্রশ্নবিদ্ধ মামলা
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র অনুসন্ধানে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের মধ্য থেকে প্রভাবশালী দুজনকে বাদ দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করায় বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হলো। এর সঙ্গে যেহেতু পদ্মা সেতুর ভবিষ্যৎ জড়িত, তাই এ ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা রয়েই গেল।
কারণ, পদ্মা সেতুর ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ অবস্থান হচ্ছে, কেবল পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই এ প্রকল্পে তারা অর্থায়ন করবে।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ষড়যন্ত্র নিয়ে দুদক দ্বিতীয় দফা যে অনুসন্ধান শুরু করে, তা পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্বব্যাংক নিয়োজিত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল। দুদকের সেই অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে ১০ জনের নাম এসেছে। সেখান থেকে তিনজনের নাম বাদ দিয়ে সোমবার মামলা করেছে দুদক। মামলা থেকে সরকারের সাবেক দুই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সরকারদলীয় হুইপের ভাই বাদ পড়ায় এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে, দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মামলা থেকে শুধু রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনাই যে কাজ করেছে, এমন ধারণা করা অমূলক নয়। যদি তা-ই হয়ে থাকে, তবে দুদকের স্বাধীন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সেতু বিভাগের সচিবসহ তিন সরকারি কর্মকর্তা যখন মামলায় অভিযুক্ত হন, তখন সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাঁর কিছুই জানতেন না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন। মনে হচ্ছে সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটিয়েছে দুদক।
দুদকের অনুসন্ধান-প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তেমন আপত্তি না থাকলেও দুদক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে যে তাদের ভিন্নমত রয়েছে, সেটা পর্যবেক্ষকদের সফরের সময়ই স্পষ্ট হয়েছে। এটা দেখার বিষয় ছিল যে দুদক শেষ পর্যন্ত কী করে। প্রভাবশালী তিনজনকে বাদ দিয়ে দুদকের এই মামলা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের কতটুকু সন্তুষ্ট করতে পারবে, সেটাই দেখার বিষয়। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল যদি এ ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট হতে না পারে, তবে পদ্মা সেতুর ভবিষ্যৎ সেই অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যেই পড়বে—এমন আশঙ্কাই বেশি।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিভিন্নভাবে ১০ জনের নাম এসেছে। অনুসন্ধানে কারও নাম থাকার অর্থ এই নয় যে তিনি সত্যিই অপরাধ করেছেন। দুদক শুধু অনুসন্ধান করেছে, মামলার পর এখন তদন্ত হবে, এরপর বিচার। বিচার-প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হবে যে কারা অপরাধ করেছেন বা করেননি। ফলে এটাই প্রত্যাশিত ছিল যে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের সবার বিরুদ্ধেই মামলা হবে, কেউ যদি সত্যিই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না থাকেন, তবে তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তা প্রমাণিত হবে। ফলে প্রভাবশালীদের বাদ দিয়ে দুদকের এই মামলা দেশবাসীকে হতাশ করেছে। দুদকের এ অবস্থানের কারণে যদি পদ্মা সেতুর ভবিষ্যৎ সত্যিই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে, তবে বুঝতে হবে দু-তিনজন প্রভাবশালী ব্যক্তির স্বার্থ দেশ ও দেশের জনগণের স্বপ্নের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ষড়যন্ত্র নিয়ে দুদক দ্বিতীয় দফা যে অনুসন্ধান শুরু করে, তা পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্বব্যাংক নিয়োজিত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল। দুদকের সেই অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে ১০ জনের নাম এসেছে। সেখান থেকে তিনজনের নাম বাদ দিয়ে সোমবার মামলা করেছে দুদক। মামলা থেকে সরকারের সাবেক দুই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সরকারদলীয় হুইপের ভাই বাদ পড়ায় এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে, দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মামলা থেকে শুধু রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনাই যে কাজ করেছে, এমন ধারণা করা অমূলক নয়। যদি তা-ই হয়ে থাকে, তবে দুদকের স্বাধীন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সেতু বিভাগের সচিবসহ তিন সরকারি কর্মকর্তা যখন মামলায় অভিযুক্ত হন, তখন সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাঁর কিছুই জানতেন না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন। মনে হচ্ছে সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটিয়েছে দুদক।
দুদকের অনুসন্ধান-প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তেমন আপত্তি না থাকলেও দুদক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে যে তাদের ভিন্নমত রয়েছে, সেটা পর্যবেক্ষকদের সফরের সময়ই স্পষ্ট হয়েছে। এটা দেখার বিষয় ছিল যে দুদক শেষ পর্যন্ত কী করে। প্রভাবশালী তিনজনকে বাদ দিয়ে দুদকের এই মামলা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের কতটুকু সন্তুষ্ট করতে পারবে, সেটাই দেখার বিষয়। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল যদি এ ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট হতে না পারে, তবে পদ্মা সেতুর ভবিষ্যৎ সেই অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যেই পড়বে—এমন আশঙ্কাই বেশি।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিভিন্নভাবে ১০ জনের নাম এসেছে। অনুসন্ধানে কারও নাম থাকার অর্থ এই নয় যে তিনি সত্যিই অপরাধ করেছেন। দুদক শুধু অনুসন্ধান করেছে, মামলার পর এখন তদন্ত হবে, এরপর বিচার। বিচার-প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হবে যে কারা অপরাধ করেছেন বা করেননি। ফলে এটাই প্রত্যাশিত ছিল যে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের সবার বিরুদ্ধেই মামলা হবে, কেউ যদি সত্যিই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না থাকেন, তবে তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তা প্রমাণিত হবে। ফলে প্রভাবশালীদের বাদ দিয়ে দুদকের এই মামলা দেশবাসীকে হতাশ করেছে। দুদকের এ অবস্থানের কারণে যদি পদ্মা সেতুর ভবিষ্যৎ সত্যিই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে, তবে বুঝতে হবে দু-তিনজন প্রভাবশালী ব্যক্তির স্বার্থ দেশ ও দেশের জনগণের স্বপ্নের চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
No comments