ব্লগের সম্ভাবনা ও শক্তি by একরামুল হক শামীম
মত প্রকাশ ও লেখালেখির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম বল্গগ। সাইবার পরিসর মিথস্ক্রিয়ার যে সুযোগ করে দিয়েছে তারই সফল প্রয়োগ ঘটেছে এখানে। নিজের মতো করে লেখার স্বাধীনতা তৈরিতে ব্লগের অবদান স্বীকার করতেই হবে।
বল্গগ এমন একটি মাধ্যম, যেখানে মুক্তভাবে লেখালেখি করা যায়, যাতে মিথস্ক্রিয়ার চর্চা রয়েছে এবং যাতে যোগাযোগের তাৎক্ষণিকতা ও দ্বিমাত্রিকতা রয়েছে। বল্গগের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো যোগাযোগের তাৎক্ষণিকতা ও দ্বিমাত্রিকতা। এখানে যোগাযোগ দ্বিমাত্রিক। একজন বল্গগার একইসঙ্গে লেখক, সমালোচক ও পাঠক। ফলে বল্গগারকে নিজের লেখায় আসা মন্তব্যের জবাব দিতে হয় আবার সহ-বল্গগারদের লেখার মন্তব্য করতে হয়। এটি বল্গগ চর্চার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে। যার ফলে বল্গগে বল্গগারদের মন্তব্য আদান-প্রদান ঘটছে। বল্গগে লিখে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য জানা সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশে বল্গগ এখন জনপ্রিয় মাধ্যম। এরই মধ্যে বাংলাভাষী বল্গগারের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়েছে।
বল্গগের উৎপত্তি ঘটে অনলাইন দিনলিপি থেকে, যেখানে লোকেরা তাদের ব্যক্তিগত জীবনের বিবরণ রাখতেন। এ ধরনের বেশিরভাগ লোকই নিজেদের বলতেন ডায়েরিস্টস, জার্নালিস্টস কিংবা জুমালারস। সোয়ার্থমো কলেজের শিক্ষার্থী থাকার সময় জাস্টিন হল ১৯৯৪ সালে অনলাইন দিনলিপি লেখার আকারে বল্গগিং শুরু করেন। তাই তাকে আদি বল্গগার হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর জর্ন বার্জার প্রথম 'ওয়েবলগ' শব্দ ব্যবহার করেন। ১৯৯৯ সালের এপ্রিল বা মে মাসের দিকে পিটার মেরহোলজ তার বল্গগ পিটারমে ডট কম (চবঃবৎগব.পড়স)-এর সাইডবারে ওয়েবলগ (বিনষড়ম) শব্দটা ভেঙে উই বল্গগ (বি নষড়ম) হিসেবে লেখেন। পরবর্তীকালে ওয়েবলগের সংক্ষিপ্ত রূপ হয়ে যায় বল্গগ।
বাংলা বল্গগ কমিউনিটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে সামহ্যোয়ারইন বল্গগ। ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর সামহ্যোয়ারইন বল্গগ যাত্রা শুরু করে (আনুষ্ঠানিক তারিখ হিসেবে ১৬ ডিসেম্বরকে বিবেচনা করা হয়)। সামহ্যোয়ারইন বল্গগই প্রথম কমিউনিটি বাংলা বল্গগ। এমনকি সম্পূর্ণ বাংলায় তৈরি প্রথম বল্গগসাইট হিসেবে সামহ্যোয়রইন বল্গগকেই চিহ্নিত করা যায়। সামহ্যোয়ারইন বল্গগের পরে আরও বেশ কয়েকটি কমিউনিটি বাংলা বল্গগসাইট গড়ে ওঠে। সচলায়তন বল্গগ অনানুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ২০০৭ সালের মে মাস থেকে। তবে সচলায়তনের আনুষ্ঠানিক শুরুর তারিখ হিসেবে ২০০৭ সালের ১ জুলাই চিহ্নিত। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে 'আমার বল্গগ'। অন্যদিকে দৈনিক প্রথম আলোর বল্গগসাইট হিসেবে 'প্রথম আলো বল্গগ' যাত্রা শুরু করে ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর। এরপর আরও অনেক কমিউনিটি বাংলা বল্গগসাইট তৈরি হয়। এর মধ্যে রয়েছে নাগরিক বল্গগ, বিডিনিউজ বল্গগ, দৃষ্টিপাত, নির্মাণ, ক্যাডেট কলেজ বল্গগ, কম্পজগৎ বল্গগ, টেক টিউনস, চতুর্মাত্রিক, মুক্তমনা, আমরা বন্ধু, মুক্তবল্গগ, একুশে বল্গগ, সরব, শব্দনীড়, বকলম, বল্গগ বাংলা ইত্যাদি। বর্তমানে বাংলা ভাষায় ৪০টির বেশি কমিউনিটি বল্গগসাইট রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত বল্গগসাইট রয়েছে অনেক।
২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলা কমিউনিটি ব্লগিংয়ের যাত্রা শুরুর মাসকে বিবেচনায় রেখে ২০০৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো বাংলা ব্লগ দিবস পালিত হয়। এ বছরের ১৯ ডিসেম্বর চতুর্থবারের মতো বাংলা ব্লগ দিবস পালিত হচ্ছে। এবার ব্লগ দিবসের প্রতিপাদ্য_ বাকস্বাধীনতা, বাক-দায়িত্বশীলতা।
নতুন নতুন সম্ভাবনা সঙ্গে নিয়ে বাংলা বল্গগ এগিয়ে যাচ্ছে। কমিউনিটি বল্গগের মাধ্যমে মতামত খুব সহজেই আরও অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বাংলা বল্গগের সম্ভাবনার বড় জায়গাটি বিকল্প মিডিয়ার ক্ষেত্রে। বাংলা বল্গগ বিকল্প গণমাধ্যম চরিত্র নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। নানা ইস্যুতে বল্গগাররা সরব হয়েছেন বল্গগে। ঘটে যাওয়া অনেক খবর 'মূলধারার মিডিয়ার' আগে বল্গগে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা বল্গগ এমন একটি পল্গাটফর্ম, যেখানে একইসঙ্গে একজন বল্গগার লেখক, প্রকাশক, সম্পাদক, পাঠক, সমালোচক হয়ে উঠতে পারছেন।
বল্গগের উৎপত্তি ঘটে অনলাইন দিনলিপি থেকে, যেখানে লোকেরা তাদের ব্যক্তিগত জীবনের বিবরণ রাখতেন। এ ধরনের বেশিরভাগ লোকই নিজেদের বলতেন ডায়েরিস্টস, জার্নালিস্টস কিংবা জুমালারস। সোয়ার্থমো কলেজের শিক্ষার্থী থাকার সময় জাস্টিন হল ১৯৯৪ সালে অনলাইন দিনলিপি লেখার আকারে বল্গগিং শুরু করেন। তাই তাকে আদি বল্গগার হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর জর্ন বার্জার প্রথম 'ওয়েবলগ' শব্দ ব্যবহার করেন। ১৯৯৯ সালের এপ্রিল বা মে মাসের দিকে পিটার মেরহোলজ তার বল্গগ পিটারমে ডট কম (চবঃবৎগব.পড়স)-এর সাইডবারে ওয়েবলগ (বিনষড়ম) শব্দটা ভেঙে উই বল্গগ (বি নষড়ম) হিসেবে লেখেন। পরবর্তীকালে ওয়েবলগের সংক্ষিপ্ত রূপ হয়ে যায় বল্গগ।
বাংলা বল্গগ কমিউনিটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে সামহ্যোয়ারইন বল্গগ। ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর সামহ্যোয়ারইন বল্গগ যাত্রা শুরু করে (আনুষ্ঠানিক তারিখ হিসেবে ১৬ ডিসেম্বরকে বিবেচনা করা হয়)। সামহ্যোয়ারইন বল্গগই প্রথম কমিউনিটি বাংলা বল্গগ। এমনকি সম্পূর্ণ বাংলায় তৈরি প্রথম বল্গগসাইট হিসেবে সামহ্যোয়রইন বল্গগকেই চিহ্নিত করা যায়। সামহ্যোয়ারইন বল্গগের পরে আরও বেশ কয়েকটি কমিউনিটি বাংলা বল্গগসাইট গড়ে ওঠে। সচলায়তন বল্গগ অনানুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ২০০৭ সালের মে মাস থেকে। তবে সচলায়তনের আনুষ্ঠানিক শুরুর তারিখ হিসেবে ২০০৭ সালের ১ জুলাই চিহ্নিত। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে 'আমার বল্গগ'। অন্যদিকে দৈনিক প্রথম আলোর বল্গগসাইট হিসেবে 'প্রথম আলো বল্গগ' যাত্রা শুরু করে ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর। এরপর আরও অনেক কমিউনিটি বাংলা বল্গগসাইট তৈরি হয়। এর মধ্যে রয়েছে নাগরিক বল্গগ, বিডিনিউজ বল্গগ, দৃষ্টিপাত, নির্মাণ, ক্যাডেট কলেজ বল্গগ, কম্পজগৎ বল্গগ, টেক টিউনস, চতুর্মাত্রিক, মুক্তমনা, আমরা বন্ধু, মুক্তবল্গগ, একুশে বল্গগ, সরব, শব্দনীড়, বকলম, বল্গগ বাংলা ইত্যাদি। বর্তমানে বাংলা ভাষায় ৪০টির বেশি কমিউনিটি বল্গগসাইট রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত বল্গগসাইট রয়েছে অনেক।
২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলা কমিউনিটি ব্লগিংয়ের যাত্রা শুরুর মাসকে বিবেচনায় রেখে ২০০৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো বাংলা ব্লগ দিবস পালিত হয়। এ বছরের ১৯ ডিসেম্বর চতুর্থবারের মতো বাংলা ব্লগ দিবস পালিত হচ্ছে। এবার ব্লগ দিবসের প্রতিপাদ্য_ বাকস্বাধীনতা, বাক-দায়িত্বশীলতা।
নতুন নতুন সম্ভাবনা সঙ্গে নিয়ে বাংলা বল্গগ এগিয়ে যাচ্ছে। কমিউনিটি বল্গগের মাধ্যমে মতামত খুব সহজেই আরও অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বাংলা বল্গগের সম্ভাবনার বড় জায়গাটি বিকল্প মিডিয়ার ক্ষেত্রে। বাংলা বল্গগ বিকল্প গণমাধ্যম চরিত্র নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। নানা ইস্যুতে বল্গগাররা সরব হয়েছেন বল্গগে। ঘটে যাওয়া অনেক খবর 'মূলধারার মিডিয়ার' আগে বল্গগে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা বল্গগ এমন একটি পল্গাটফর্ম, যেখানে একইসঙ্গে একজন বল্গগার লেখক, প্রকাশক, সম্পাদক, পাঠক, সমালোচক হয়ে উঠতে পারছেন।
No comments