মুক্তিযোদ্ধার জীবনযুদ্ধ- কাঁপা কাঁপা হাতে ভ্যান চালান by বরুন রায়
একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে শক্ত হাতে রাইফেল ধরে যুদ্ধ করেছেন সফর আলী (৬৮)। সেই হাতে এখন আর আগের মতো শক্তি নেই। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়া শরীরটাও আর চলতে চায় না। তার পরও বাধ্য হয়ে ভ্যান চালাতে হয় তাঁকে।
শুকনো দুটি রুটি খেয়ে সকালে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে যান। ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়েই চলে চার সদস্যের সংসার।
পাবনার বেড়া পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়া মহল্লায় ছোট একটি ঘরে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বাস করেন সফর আলী। পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের বাবা তিনি। বড় তিন ছেলে বিয়ে করে আলাদা থাকেন। বাবার মতোই তাঁরাও রিকশা চালান। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।
সফর আলী বলেন, ‘শরীলডা এখন আর চলে না। ভ্যান চালাব্যার গেলি হাত কাঁপে। খুব কষ্ট হওয়ায় ঠিকমতো ভ্যান চালাইব্যার পারি না। তাই আয়-রোজগার কুইম্যা গেছে। ভাতার টাকা যা পাই তা চিকিৎসার খরচ আর ঋণ মেটাতেই শ্যাষ হয়া যায়। সংসার চালাইন্যা এখন খুব কষ্টের।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছোট দুই ছেলের বয়স আট ও দশ। খুব স্বপ্ন দেখছিল্যাম অন্তত এই দুজনকে লেখাপড়া শিখাব। কিন্তু অভাবের কারণে তা পারি নাই।’
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে সফর আলী জানান, ১৯৭১ সালে তাঁর বয়স ছিল ২৬ কি ২৭। বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। এপ্রিলের শুরুতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বেড়া থানা থেকে অস্ত্র লুট করে নগরবাড়ী ঘাটে গিয়ে অবস্থান নেন। হানাদার বাহিনীর হামলার মুখে সেখান থেকে পিছু হটে সাঁথিয়া উপজেলার শহীদনগরে এসে অবস্থান নেন। ১৯ এপ্রিল সেখানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। সেই দিন তাঁদের দলের ১৯ জন যোদ্ধা শহীদ হন।
সফর আলী আরও জানান, জুলাই মাসের শেষের দিকে তিনি ভারতের মালঞ্চি ও পতিরাম ক্যাম্পে গিয়ে এক মাসের প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে সিরাজগঞ্জের সোহাগপুর থানায় হামলা করেন। শাহাজাদপুরের ধিতপুর এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সমঞ্চুখ যুদ্ধে অংশ নেন।
বেড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ইসাহাক আলী বলেন, ‘একাত্তরে সফর আলী অনেক অভিযানে অংশ নিয়েছেন। আমার দেখা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ওই সময়ে অন্যতম সাহসী ছিলেন তিনি। এখন খুব কষ্টে দিন কাটে তাঁর। যতদূর পারি তাঁর খোঁজখবর নিই ও সহায়তা করি।’
পাবনার বেড়া পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়া মহল্লায় ছোট একটি ঘরে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বাস করেন সফর আলী। পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের বাবা তিনি। বড় তিন ছেলে বিয়ে করে আলাদা থাকেন। বাবার মতোই তাঁরাও রিকশা চালান। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।
সফর আলী বলেন, ‘শরীলডা এখন আর চলে না। ভ্যান চালাব্যার গেলি হাত কাঁপে। খুব কষ্ট হওয়ায় ঠিকমতো ভ্যান চালাইব্যার পারি না। তাই আয়-রোজগার কুইম্যা গেছে। ভাতার টাকা যা পাই তা চিকিৎসার খরচ আর ঋণ মেটাতেই শ্যাষ হয়া যায়। সংসার চালাইন্যা এখন খুব কষ্টের।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছোট দুই ছেলের বয়স আট ও দশ। খুব স্বপ্ন দেখছিল্যাম অন্তত এই দুজনকে লেখাপড়া শিখাব। কিন্তু অভাবের কারণে তা পারি নাই।’
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে সফর আলী জানান, ১৯৭১ সালে তাঁর বয়স ছিল ২৬ কি ২৭। বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। এপ্রিলের শুরুতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বেড়া থানা থেকে অস্ত্র লুট করে নগরবাড়ী ঘাটে গিয়ে অবস্থান নেন। হানাদার বাহিনীর হামলার মুখে সেখান থেকে পিছু হটে সাঁথিয়া উপজেলার শহীদনগরে এসে অবস্থান নেন। ১৯ এপ্রিল সেখানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। সেই দিন তাঁদের দলের ১৯ জন যোদ্ধা শহীদ হন।
সফর আলী আরও জানান, জুলাই মাসের শেষের দিকে তিনি ভারতের মালঞ্চি ও পতিরাম ক্যাম্পে গিয়ে এক মাসের প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে সিরাজগঞ্জের সোহাগপুর থানায় হামলা করেন। শাহাজাদপুরের ধিতপুর এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সমঞ্চুখ যুদ্ধে অংশ নেন।
বেড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ইসাহাক আলী বলেন, ‘একাত্তরে সফর আলী অনেক অভিযানে অংশ নিয়েছেন। আমার দেখা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ওই সময়ে অন্যতম সাহসী ছিলেন তিনি। এখন খুব কষ্টে দিন কাটে তাঁর। যতদূর পারি তাঁর খোঁজখবর নিই ও সহায়তা করি।’
No comments