চট্টগ্রামে তারুণ্য উৎসব- আলোকিত তারুণ্য by নিজাম সিদ্দিকী
‘সরকার ও বিরোধী দল উভয়কেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ, তারা এখানে পরস্পর কাদা-ছোড়াছুড়ি করেনি। ব্যক্তিগত আক্রমণ করেনি। যুক্তি ও তর্কের মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছে। সর্বোপরি, উভয়ে উভয়ের কথাগুলো শুনেছেন।
’ সংসদীয় বিতর্কে স্পিকারের বক্তব্যে এভাবেই বলেছেন সাংবাদিক ওমর কায়সার। কারণ, অসহিষ্ণু আর অস্থির রাজনীতির এ সময়ে বিতার্কিকেরা গণতন্ত্রের আচার মেনে এক উজ্জ্বল নজির গড়ে তোলেন। প্রাণবন্ত এ বিতর্কের আসর বসে চট্টগ্রামের শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে।
প্রথম আলো চট্টগ্রাম কার্যালয় আয়োজিত তারুণ্য উৎসবের শেষ দিনে ১২ ডিসেম্বর বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কের বিষয় ছিল ‘৭১-র মুক্তিযুদ্ধ একটি অসমাপ্ত যুদ্ধ।’ এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিরোধী দল ইস্পাহানী পাবলিক কলেজ দল। সরকারি দল হাজী মুহম্মদ মুহসীন কলেজ হয়েছে রানারআপ।
‘কনফিডেন্স সিমেন্ট-প্রথম আলো তারুণ্য উৎসব’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শুরু হয় ১১ ডিসেম্বর। এ উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল চট্টগ্রাম বন্ধুসভা।
দুই দিনেই শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে বসে তরুণের মেলা। অংশগ্রহণকারী ও দর্শক সারির বেশির ভাগই ছিলেন তরুণ। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
তারুণ্য উৎসবের শেষ দিনের শেষ আয়োজন ছিল আন্তবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। তাই প্রায় প্রতিটি দলই আবৃত্তি, গান ও অভিনয়ে মুক্তিযুদ্ধকে প্রাধান্য দিয়েছে। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পরিবেশনা সবচেয়ে উপভোগ্য ছিল। তাঁরা মূকাভিনয়ের মাধ্যমে আমাদের চলমান জীবনে মুঠোফোন নিয়ে নানা বিড়ম্বনার দিকটি তুলে ধরেন। যেমন হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষেও চিকিৎসকদের মুঠোফোন নিয়ে ব্যস্ততা। এভাবে একসময় রোগীর পেটের ভেতর মুঠোফোন রেখেই তাঁরা সেলাই করে ফেলেন। পরে সেলাই কেটে মুঠোফোন বের করে আনার পর আবারও তাঁরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন মুঠোফোনালাপে। তাঁরা দেখালেন, শবযাত্রীরা কীভাবে মৃত মানুষটিকে মাটিতে ফেলে রেখে মুঠোফোনে কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমনকি মুঠোফোনে সাড়া দিতে গিয়ে কখন যে বাবা-মা দুজনই ছোট শিশুটির কাছ থেকে সরে এসেছেন। ছোটখাটো এসব বিষয়কে হূদয়গ্রাহী করে ফুটিয়ে তোলেন চুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দলের পাহাড়ি নাচ, দেশের গান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক পরিবেশনা ভালো লেগেছে দর্শকদের। প্রশংসা পেয়েছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) ছাত্রীদের পরিবেশনা। এইউডব্লিউর পরিবেশনায় অংশ নিয়েছেন শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভারত, নেপালের শিক্ষার্থীরা।
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। দ্বিতীয় হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ।
আন্তকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ১৬টি কলেজ এবং আন্তবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
প্রথম আলো চট্টগ্রাম কার্যালয় আয়োজিত তারুণ্য উৎসবের শেষ দিনে ১২ ডিসেম্বর বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কের বিষয় ছিল ‘৭১-র মুক্তিযুদ্ধ একটি অসমাপ্ত যুদ্ধ।’ এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিরোধী দল ইস্পাহানী পাবলিক কলেজ দল। সরকারি দল হাজী মুহম্মদ মুহসীন কলেজ হয়েছে রানারআপ।
‘কনফিডেন্স সিমেন্ট-প্রথম আলো তারুণ্য উৎসব’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শুরু হয় ১১ ডিসেম্বর। এ উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল চট্টগ্রাম বন্ধুসভা।
দুই দিনেই শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে বসে তরুণের মেলা। অংশগ্রহণকারী ও দর্শক সারির বেশির ভাগই ছিলেন তরুণ। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
তারুণ্য উৎসবের শেষ দিনের শেষ আয়োজন ছিল আন্তবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। তাই প্রায় প্রতিটি দলই আবৃত্তি, গান ও অভিনয়ে মুক্তিযুদ্ধকে প্রাধান্য দিয়েছে। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পরিবেশনা সবচেয়ে উপভোগ্য ছিল। তাঁরা মূকাভিনয়ের মাধ্যমে আমাদের চলমান জীবনে মুঠোফোন নিয়ে নানা বিড়ম্বনার দিকটি তুলে ধরেন। যেমন হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষেও চিকিৎসকদের মুঠোফোন নিয়ে ব্যস্ততা। এভাবে একসময় রোগীর পেটের ভেতর মুঠোফোন রেখেই তাঁরা সেলাই করে ফেলেন। পরে সেলাই কেটে মুঠোফোন বের করে আনার পর আবারও তাঁরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন মুঠোফোনালাপে। তাঁরা দেখালেন, শবযাত্রীরা কীভাবে মৃত মানুষটিকে মাটিতে ফেলে রেখে মুঠোফোনে কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমনকি মুঠোফোনে সাড়া দিতে গিয়ে কখন যে বাবা-মা দুজনই ছোট শিশুটির কাছ থেকে সরে এসেছেন। ছোটখাটো এসব বিষয়কে হূদয়গ্রাহী করে ফুটিয়ে তোলেন চুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দলের পাহাড়ি নাচ, দেশের গান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক পরিবেশনা ভালো লেগেছে দর্শকদের। প্রশংসা পেয়েছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) ছাত্রীদের পরিবেশনা। এইউডব্লিউর পরিবেশনায় অংশ নিয়েছেন শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভারত, নেপালের শিক্ষার্থীরা।
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। দ্বিতীয় হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ।
আন্তকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ১৬টি কলেজ এবং আন্তবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
No comments