রসিক নির্বাচন- প্রথম নগরপিতা কেমন হবেন by শান্ত নুরুননবী ও তুহিন ওয়াদুদ
২০ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রংপুর শহরজুড়ে একমাত্র আলোচনার বিষয়, কে হচ্ছেন নগরপিতা? রংপুরের জন্য এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যিনি মেয়র হবেন, তাঁকে নতুন এই সিটি করপোরেশনের অনেকগুলো কাজের গোড়াপত্তন করতে হবে, অনেকগুলো কাজের সাংগঠনিক রূপ দিতে হবে শক্ত হাতে।
শুরুতে একটি কাজ দুর্বল হলে তাকে পুনর্বার শক্তভাবে দাঁড় করানো অত্যন্ত কঠিন। যাঁরা নির্বাচন করছেন, তাঁরাই যত রকম সম্ভব প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সেসব প্রতিশ্রুতি কতখানি বাস্তবসম্মত ও কতখানি জনকল্যাণকর, তা বিশ্লেষণ করার মধ্য দিয়ে জনগণ ভবিষ্যৎ রংপুর নগরের রূপ অনুমান করতে পারবেন। ভোটারদের জন্য একটি বড় সুবিধার দিক হচ্ছে, যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের অনেককেই বিগত সময়ে প্রার্থী হিসেবে দেখা গিয়েছিল, যাঁদের কেউ কেউ জনপ্রতিনিধিও ছিলেন। অতীতে তাঁরা দায়িত্বে থাকাকালে কতটা অবদান রাখতে পেরেছিলেন, সে সম্পর্কেও জ্ঞাত এখানকার সম্মানিত ভোটাররা। আবেগনির্ভর ভোটদানের বদলে অবশ্যই যুক্তিনির্ভর ভোটদান করবেন তাঁরা। রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা দলীয় সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করছেন না বটে, তবে তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে। স্থানীয় ক্ষমতাকাঠামোয় রাজনৈতিক সমর্থন না থাকলে যে উন্নয়ন ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ঐতিহ্যমণ্ডিত রংপুর!
রংপুর সিটি করপোরেশন ২০৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের। অধিকাংশ এলাকায় নাগরিক সুবিধা নেই। আমাদের দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কখনো ব্যক্তির প্রভাব, কখনো রাজনৈতিক প্রভাব ক্রিয়াশীল থাকে। রংপুরের উন্নয়নের ধীরগতির জন্য এখানকার স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সামান্য প্রভাব না থাকাটা কম দায়ী নয়। এই নগরে এমন একজন মেয়র প্রয়োজন, যিনি রাজনৈতিকভাবে রংপুরের উন্নয়নে আনুকূল্য লাভ করবেন অথবা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও যিনি সরকারের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিতে পারবেন এবং তা সততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
উত্তর জনপদের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নগর হচ্ছে রংপুর। এই নগরকে সাজাতে সম্ভাব্য নতুন নগরপিতাকে হতে হবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যিনি কমপক্ষে আগামী দুই দশকের মধ্যে একটি পরিচ্ছন্ন ও শান্তিপূর্ণ নাগরিকজীবন উপযোগী একটি নগরের পরিকল্পনা করতে সক্ষম হবেন। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, দলীয় পরিচয় ছাপিয়ে যিনি একটি আদর্শ নগরের স্বপ্ন দেখতে পারেন; যে নগরে ছিনতাই থাকবে না, মেয়েরা নিরাপদে সাহসের সঙ্গে চলাফেরা করবে, মাদকাসক্তি থাকবে না, থাকবে না অসহনীয় যানজট।
প্রায় একই সময়ে রংপুর বিভাগ এবং রংপুর সিটি করপোরেশন হওয়ায় রংপুরের বহুমাত্রিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। সেই কাজের প্রতি কর্তৃপক্ষের বিশেষভাবে আন্তরিক হওয়ার প্রয়োজন পড়বে। আমরা দেখছি, রংপুর শহরের প্রধান সড়কটি প্রশস্ত করে চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়েছে প্রায় দুই বছর হলো। নানা জটিলতায় সেটা আটকে আছে। উপরন্তু, সরু সড়কের মাঝ বরাবর স্ট্রিটল্যাম্পের খুঁটি বসানোয় তা আরও সরু হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। বর্ষাকালে নগরের নিম্নাঞ্চল সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। নগরের শ্যামাসুন্দরী খাল উন্নয়নের বহু পরিকল্পনার ওপর ধুলো জমেছে। কেডি খালের প্রতিও কোনো যত্ন নেই। রংপুর শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘাঘট নদী খনন করার উদ্যোগও নিতে হবে। রংপুর চিড়িয়াখানায় সপরিবারে প্রবেশ করা বেশ অস্বস্তির, সেখানকার জীর্ণ প্রাণীগুলো শিশুদেরও আহত করে। এই নগরে নেই কোনো শিশুপার্ক। শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনসহ একটি কমপ্লেক্স নির্মাণের সরকারি পরিকল্পনা নানা চক্রান্তে অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে।
রংপুরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিচর্চা অবকাঠামোগত অনটনে শ্বাসরুদ্ধকরভাবে এগিয়ে চলেছে। এখানকার শিল্প-সংস্কৃতি-সাহিত্য-প্রকাশনার পৃষ্ঠপোষকতায় নগর কর্তৃপক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে। নগরের পাড়ায় পাড়ায় নতুন যেসব বাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন গড়ে উঠছে, সেগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা না করা গেলে এই নগর অদূর ভবিষ্যতে একটি বৃহৎ বস্তিতে পরিণত হবে। রংপুর ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত। এখানে বর্তমানে যে অপরিকল্পিত বসতি গড়ে উঠছে, তা রোধ করে পরিকল্পিত নগর গড়ে তুলতে হবে। পণ্য বিপণনের বড় বড় মলের বদলে এই নগরে প্রয়োজন পরিবেশবান্ধব কর্মসংস্থান সৃষ্টির বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন। নগরের অনেক এলাকা এখনো কৃষিনির্ভর, ভাবতে হবে নগরীয় কৃষির রূপরেখা নিয়েও। রংপুর সিটি করপোরেশনের মধ্যে শতরঞ্জিপল্লি রয়েছে। সিটি করপোরেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় তা আরও সমৃদ্ধ হতে পারে। নকশিকাঁথা ও শতরঞ্জিশিল্পকে ঘিরে বিপুলসংখ্যক নারীর কর্মসংস্থান হতে পারে। রংপুরে শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অত্যন্ত অপ্রতুল। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত গড়ে তুলতে হবে।
রংপুরের সর্বস্তরের চিকিৎসায় ভয়াবহ বাণিজ্যিকীকরণ রোধে এবং স্বাস্থ্যসেবায় ধনী-গরিব সবার অধিকার নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। রংপুর নগরের মধ্যকার একাত্তরের গণহত্যাকেন্দ্র এবং বধ্যভূমিগুলোর সম্মানজনক সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন মেয়াদি একটি মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) থাকা জরুরি। সেই মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে বিকশিত হবে রংপুর নগর। নগর কেমন হবে তা অনেকটাই নির্ভর করবে সেখানকার মেয়রের শিল্পিত রুচি, সৎকর্মপরায়ণতা, নির্মোহ সাহসিকতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতার ওপর। উল্লিখিত কাজ ছাড়াও এ রকম অসং খ্য অবহেলিত কাজ রয়েছে, যেগুলো সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিতে হবে এই সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়রকে, যাঁকে জনগণ তাঁদের মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। সুতরাং, আগামী দিনের রংপুর নগর গঠনের দায়িত্ব এই মুহূর্তে রংপুর নগরের ভোটারদের ওপর। তাই কোনো প্রলোভনে প্রভাবিত না হয়ে, অন্ধ আবেগের বশবর্তী না হয়ে, নিরপেক্ষ ভাবনার দ্বারা একজন মেয়র নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা যেন বরাবরের মতো আগামী পাঁচ বছরেও এই বলে আক্ষেপ না করি যে আমরা প্রার্থী নির্বাচনে ভুল করেছি।
শান্ত নুরুননবী, উন্নয়নকর্মী।
shantonabi@gmail.com
তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
wadudtuhin@gmail.com
রংপুর সিটি করপোরেশন ২০৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের। অধিকাংশ এলাকায় নাগরিক সুবিধা নেই। আমাদের দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কখনো ব্যক্তির প্রভাব, কখনো রাজনৈতিক প্রভাব ক্রিয়াশীল থাকে। রংপুরের উন্নয়নের ধীরগতির জন্য এখানকার স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সামান্য প্রভাব না থাকাটা কম দায়ী নয়। এই নগরে এমন একজন মেয়র প্রয়োজন, যিনি রাজনৈতিকভাবে রংপুরের উন্নয়নে আনুকূল্য লাভ করবেন অথবা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও যিনি সরকারের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিতে পারবেন এবং তা সততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
উত্তর জনপদের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নগর হচ্ছে রংপুর। এই নগরকে সাজাতে সম্ভাব্য নতুন নগরপিতাকে হতে হবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যিনি কমপক্ষে আগামী দুই দশকের মধ্যে একটি পরিচ্ছন্ন ও শান্তিপূর্ণ নাগরিকজীবন উপযোগী একটি নগরের পরিকল্পনা করতে সক্ষম হবেন। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, দলীয় পরিচয় ছাপিয়ে যিনি একটি আদর্শ নগরের স্বপ্ন দেখতে পারেন; যে নগরে ছিনতাই থাকবে না, মেয়েরা নিরাপদে সাহসের সঙ্গে চলাফেরা করবে, মাদকাসক্তি থাকবে না, থাকবে না অসহনীয় যানজট।
প্রায় একই সময়ে রংপুর বিভাগ এবং রংপুর সিটি করপোরেশন হওয়ায় রংপুরের বহুমাত্রিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। সেই কাজের প্রতি কর্তৃপক্ষের বিশেষভাবে আন্তরিক হওয়ার প্রয়োজন পড়বে। আমরা দেখছি, রংপুর শহরের প্রধান সড়কটি প্রশস্ত করে চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়েছে প্রায় দুই বছর হলো। নানা জটিলতায় সেটা আটকে আছে। উপরন্তু, সরু সড়কের মাঝ বরাবর স্ট্রিটল্যাম্পের খুঁটি বসানোয় তা আরও সরু হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। বর্ষাকালে নগরের নিম্নাঞ্চল সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। নগরের শ্যামাসুন্দরী খাল উন্নয়নের বহু পরিকল্পনার ওপর ধুলো জমেছে। কেডি খালের প্রতিও কোনো যত্ন নেই। রংপুর শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘাঘট নদী খনন করার উদ্যোগও নিতে হবে। রংপুর চিড়িয়াখানায় সপরিবারে প্রবেশ করা বেশ অস্বস্তির, সেখানকার জীর্ণ প্রাণীগুলো শিশুদেরও আহত করে। এই নগরে নেই কোনো শিশুপার্ক। শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনসহ একটি কমপ্লেক্স নির্মাণের সরকারি পরিকল্পনা নানা চক্রান্তে অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে।
রংপুরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিচর্চা অবকাঠামোগত অনটনে শ্বাসরুদ্ধকরভাবে এগিয়ে চলেছে। এখানকার শিল্প-সংস্কৃতি-সাহিত্য-প্রকাশনার পৃষ্ঠপোষকতায় নগর কর্তৃপক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে। নগরের পাড়ায় পাড়ায় নতুন যেসব বাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন গড়ে উঠছে, সেগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা না করা গেলে এই নগর অদূর ভবিষ্যতে একটি বৃহৎ বস্তিতে পরিণত হবে। রংপুর ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত। এখানে বর্তমানে যে অপরিকল্পিত বসতি গড়ে উঠছে, তা রোধ করে পরিকল্পিত নগর গড়ে তুলতে হবে। পণ্য বিপণনের বড় বড় মলের বদলে এই নগরে প্রয়োজন পরিবেশবান্ধব কর্মসংস্থান সৃষ্টির বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন। নগরের অনেক এলাকা এখনো কৃষিনির্ভর, ভাবতে হবে নগরীয় কৃষির রূপরেখা নিয়েও। রংপুর সিটি করপোরেশনের মধ্যে শতরঞ্জিপল্লি রয়েছে। সিটি করপোরেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় তা আরও সমৃদ্ধ হতে পারে। নকশিকাঁথা ও শতরঞ্জিশিল্পকে ঘিরে বিপুলসংখ্যক নারীর কর্মসংস্থান হতে পারে। রংপুরে শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অত্যন্ত অপ্রতুল। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত গড়ে তুলতে হবে।
রংপুরের সর্বস্তরের চিকিৎসায় ভয়াবহ বাণিজ্যিকীকরণ রোধে এবং স্বাস্থ্যসেবায় ধনী-গরিব সবার অধিকার নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। রংপুর নগরের মধ্যকার একাত্তরের গণহত্যাকেন্দ্র এবং বধ্যভূমিগুলোর সম্মানজনক সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন মেয়াদি একটি মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) থাকা জরুরি। সেই মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে বিকশিত হবে রংপুর নগর। নগর কেমন হবে তা অনেকটাই নির্ভর করবে সেখানকার মেয়রের শিল্পিত রুচি, সৎকর্মপরায়ণতা, নির্মোহ সাহসিকতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতার ওপর। উল্লিখিত কাজ ছাড়াও এ রকম অসং খ্য অবহেলিত কাজ রয়েছে, যেগুলো সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিতে হবে এই সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়রকে, যাঁকে জনগণ তাঁদের মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। সুতরাং, আগামী দিনের রংপুর নগর গঠনের দায়িত্ব এই মুহূর্তে রংপুর নগরের ভোটারদের ওপর। তাই কোনো প্রলোভনে প্রভাবিত না হয়ে, অন্ধ আবেগের বশবর্তী না হয়ে, নিরপেক্ষ ভাবনার দ্বারা একজন মেয়র নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা যেন বরাবরের মতো আগামী পাঁচ বছরেও এই বলে আক্ষেপ না করি যে আমরা প্রার্থী নির্বাচনে ভুল করেছি।
শান্ত নুরুননবী, উন্নয়নকর্মী।
shantonabi@gmail.com
তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
wadudtuhin@gmail.com
No comments