ঢাকা মেডিকেল কলেজ- শহীদদের খোঁজে by সুচিত্রা সরকার
‘আমি মানবসেবায় জীবন উৎসর্গ করার শপথ করছি। কোনো ভয়ভীতির মুখেও আমি আমার চিকিৎসাজ্ঞান মানবতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করব না।...’ ইন্টার্নশিপ শুরুর প্রথম দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজের নতুন চিকিৎসকদের পড়ানো হয় এ রকম শপথবাক্য।
শপথবাক্য বুকে ধারণ করে চিকিৎসকেরা আর্তপীড়িতের পাশে দাঁড়ান। বাড়িয়ে দেন সেবার হাত। দেশের মুমূর্ষু অবস্থায়ও তাঁদের সেই প্রতিজ্ঞা অটুট থাকে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।
এই কলেজে ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী ও ডা. ফজলে রাব্বির মতো অনেক গুণী চিকিৎসক মুক্তিযুদ্ধকালে মানুষের পাশে ছিলেন। এ কারণেই তাঁরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা মেডিকেল কলেজে শহীদ হন ৬৯ জন চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ নাম না জানা অনেকে।
শুধু তা-ই নয়, তাঁদের মধ্যে অনেকে দেশমাতাকে বাঁচাতে স্টেথোস্কোপ আর সাদা অ্যাপ্রোনের সঙ্গে রাইফেলও কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। মাতৃভূমিকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে।
গবেষক ডা. এ কে এম আখতারুজ্জামানের কাছ থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিম আহমেদ, আবু ইউসুফ মিয়া, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মুজিবুল হক প্রমুখ। মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল অক্টোবরে মেডিকেল কলেজে গোপন অভিযান পরিচালনা করেন। দলটি কলেজের ডিসেকশন কক্ষে বোমা হামলা চালায়। তারপর অনেক দিন কলেজের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অনেক শিক্ষার্থী দেশের বিজয় পতাকা ছিনিয়ে আনতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। বরণ করছেন মৃত্যুকে। দিন ফুরোনোর আগেই অস্তাচলে গেছেন, আজ শোনা যাক তাঁদেরই কয়েকজনের বীরত্বগাথা।
হুমায়ুন ফরীদি। সবেমাত্র ভর্তি হয়েছেন এমবিবিএস প্রথম বর্ষে। কবিতা লিখতে ভালোবাসতেন। স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করবেন। সঙ্গী হবে কবিতার ঝুলি। তখন দেশে বাজছে যুদ্ধের দামামা। শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। হুমায়ুনের স্বপ্ন আর কবিতারা উদ্বেল হয়ে ওঠে। তিনি ছুটে যান দেশমাতাকে বাঁচাতে। কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহীদ হন।
আরেক স্বপ্নবান তরুণ স্বপন কুমার বসু। পড়তেন প্রথম বর্ষে। গ্রামের বাড়ি বরিশালের গৌরনদীর উত্তর চাঁদসী গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি গ্রামে চলে যান। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা তাঁর বাড়ি থেকে দুই বোনসহ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। স্বপন কুমার বসু ও তাঁর দুই বোনকে প্রায় ৭০০ জন বাঙালিসহ হত্যা করা হয়। ১৪ মে, ১৯৭১ তাঁদের মরদেহ পাওয়া যায় আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা গ্রামে একটি গণকবরে!
হুমায়ুন কবীর সবে এমবিবিএস পাস করেছেন। বাড়ি শরীয়তপুরে। তিনি মেডিকেল কলেজের বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তবলা ও গিটার বাজানোয় পারদর্শী ছিলেন। বিভিন্ন মঞ্চনাটকে অভিনয়ও করেছেন। ইন্টার্নি হিসেবে কাজে যোগ দেওয়া কথা ছিল ১৫ নভেম্বর। ওই দিন তিনি ডা. আজহারুল হকের সঙ্গে মেডিকেল কলেজে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন। মাঝপথে তাঁদের ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। ১৬ নভেম্বর তাঁদের দুজনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায় নটর ডেম কলেজের কালভার্টের নিচের নালায়।
আরেকজন ইন্টার্ন ডা. হাসিময় হাজরা। বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তিনি উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সত্তরের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় গোর্কির আক্রমণের পর ওষুধপথ্য নিয়ে ছুটে গেছেন উপকূলীয় এলাকার অসহায় মানুষের পাশে। তিনি এলএমএফ পাস করেন ১৯৭০ সালে। ১৯৭১ সালে তিনি ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সহপাঠী ডা. কাজী তামান্নাকে তিনি দিদি বলে ডাকতেন। কাজী তামান্না স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ২০ মে হাসিময় কলেজের ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেলে যায়। তারপর আর ফিরে আসেনি। পরে কাজী তামান্না জানতে পারেন, কলেজের এক বিদেশি শিক্ষার্থী তাঁকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেন। নীপা লাহিড়ী কে-২৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রী হলে থাকতেন। সে সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে রওনা দেন ভারতে। যাওয়ার পথে ঢাকার অদূরে ফতুল্লার কালীগঞ্জে নিহত হন।
আ ব ম সিরাজুল ইসলাম কে-২৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি হাসপাতালেই আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দিতেন। রাতে গোপনে হাসপাতালের ক্যানসার ওয়ার্ডে ঘুমাতেন। এই ওয়ার্ড থেকেই ১১ ডিসেম্বর রাতে আলবদর বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাঁর মরদেহ রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন হাসান শহীদ। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যুদ্ধে অংশ নিতে মাদারীপুরে চলে যান। সেখানে তিনি পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে গেরিলাযুদ্ধে শহীদ হন।
আর কজনের কথা বলব! কণ্ঠ যে রুদ্ধ হয়ে আসতে চায়। কত সহস্র তাজা প্রাণ ঝরে গেল! কত শহীদের বুকের লাল রক্ত গিয়ে মিলেছে ওই রক্তগঙ্গায়! শিকল ভাঙার গান গাইতে গাইতে যাঁরা প্রাণ দিলেন, তাঁরা কি হারিয়ে গেছেন চিরতরে? না, তাঁরা হারাননি! আকাশের লাল তারা হয়ে আছেন। উত্তর আকাশে ধ্রুবতারার কাছাকাছি একটি তারা আছে। নাম গার্নেট স্টার। এটা আকাশের সবচেয়ে লাল তারা। খালি চোখে খুব একটা দেখা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের শহীদেরাও বাংলাদেশের মুক্ত আকাশের একেকটি ‘গার্নেট স্টার’! আসুন, তাঁদের অনুভব করি চেতনায়। আর অন্যায়ের প্রতিবাদে হই সোচ্চার।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ: বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইতিহাস: ডা. এ কে এম আখতারুজ্জামান
এই কলেজে ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী ও ডা. ফজলে রাব্বির মতো অনেক গুণী চিকিৎসক মুক্তিযুদ্ধকালে মানুষের পাশে ছিলেন। এ কারণেই তাঁরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা মেডিকেল কলেজে শহীদ হন ৬৯ জন চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ নাম না জানা অনেকে।
শুধু তা-ই নয়, তাঁদের মধ্যে অনেকে দেশমাতাকে বাঁচাতে স্টেথোস্কোপ আর সাদা অ্যাপ্রোনের সঙ্গে রাইফেলও কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। মাতৃভূমিকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে।
গবেষক ডা. এ কে এম আখতারুজ্জামানের কাছ থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিম আহমেদ, আবু ইউসুফ মিয়া, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মুজিবুল হক প্রমুখ। মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল অক্টোবরে মেডিকেল কলেজে গোপন অভিযান পরিচালনা করেন। দলটি কলেজের ডিসেকশন কক্ষে বোমা হামলা চালায়। তারপর অনেক দিন কলেজের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অনেক শিক্ষার্থী দেশের বিজয় পতাকা ছিনিয়ে আনতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। বরণ করছেন মৃত্যুকে। দিন ফুরোনোর আগেই অস্তাচলে গেছেন, আজ শোনা যাক তাঁদেরই কয়েকজনের বীরত্বগাথা।
হুমায়ুন ফরীদি। সবেমাত্র ভর্তি হয়েছেন এমবিবিএস প্রথম বর্ষে। কবিতা লিখতে ভালোবাসতেন। স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করবেন। সঙ্গী হবে কবিতার ঝুলি। তখন দেশে বাজছে যুদ্ধের দামামা। শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। হুমায়ুনের স্বপ্ন আর কবিতারা উদ্বেল হয়ে ওঠে। তিনি ছুটে যান দেশমাতাকে বাঁচাতে। কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহীদ হন।
আরেক স্বপ্নবান তরুণ স্বপন কুমার বসু। পড়তেন প্রথম বর্ষে। গ্রামের বাড়ি বরিশালের গৌরনদীর উত্তর চাঁদসী গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি গ্রামে চলে যান। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা তাঁর বাড়ি থেকে দুই বোনসহ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। স্বপন কুমার বসু ও তাঁর দুই বোনকে প্রায় ৭০০ জন বাঙালিসহ হত্যা করা হয়। ১৪ মে, ১৯৭১ তাঁদের মরদেহ পাওয়া যায় আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা গ্রামে একটি গণকবরে!
হুমায়ুন কবীর সবে এমবিবিএস পাস করেছেন। বাড়ি শরীয়তপুরে। তিনি মেডিকেল কলেজের বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তবলা ও গিটার বাজানোয় পারদর্শী ছিলেন। বিভিন্ন মঞ্চনাটকে অভিনয়ও করেছেন। ইন্টার্নি হিসেবে কাজে যোগ দেওয়া কথা ছিল ১৫ নভেম্বর। ওই দিন তিনি ডা. আজহারুল হকের সঙ্গে মেডিকেল কলেজে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন। মাঝপথে তাঁদের ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। ১৬ নভেম্বর তাঁদের দুজনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায় নটর ডেম কলেজের কালভার্টের নিচের নালায়।
আরেকজন ইন্টার্ন ডা. হাসিময় হাজরা। বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তিনি উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সত্তরের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় গোর্কির আক্রমণের পর ওষুধপথ্য নিয়ে ছুটে গেছেন উপকূলীয় এলাকার অসহায় মানুষের পাশে। তিনি এলএমএফ পাস করেন ১৯৭০ সালে। ১৯৭১ সালে তিনি ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সহপাঠী ডা. কাজী তামান্নাকে তিনি দিদি বলে ডাকতেন। কাজী তামান্না স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ২০ মে হাসিময় কলেজের ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেলে যায়। তারপর আর ফিরে আসেনি। পরে কাজী তামান্না জানতে পারেন, কলেজের এক বিদেশি শিক্ষার্থী তাঁকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেন। নীপা লাহিড়ী কে-২৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রী হলে থাকতেন। সে সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে রওনা দেন ভারতে। যাওয়ার পথে ঢাকার অদূরে ফতুল্লার কালীগঞ্জে নিহত হন।
আ ব ম সিরাজুল ইসলাম কে-২৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি হাসপাতালেই আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দিতেন। রাতে গোপনে হাসপাতালের ক্যানসার ওয়ার্ডে ঘুমাতেন। এই ওয়ার্ড থেকেই ১১ ডিসেম্বর রাতে আলবদর বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাঁর মরদেহ রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন হাসান শহীদ। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যুদ্ধে অংশ নিতে মাদারীপুরে চলে যান। সেখানে তিনি পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে গেরিলাযুদ্ধে শহীদ হন।
আর কজনের কথা বলব! কণ্ঠ যে রুদ্ধ হয়ে আসতে চায়। কত সহস্র তাজা প্রাণ ঝরে গেল! কত শহীদের বুকের লাল রক্ত গিয়ে মিলেছে ওই রক্তগঙ্গায়! শিকল ভাঙার গান গাইতে গাইতে যাঁরা প্রাণ দিলেন, তাঁরা কি হারিয়ে গেছেন চিরতরে? না, তাঁরা হারাননি! আকাশের লাল তারা হয়ে আছেন। উত্তর আকাশে ধ্রুবতারার কাছাকাছি একটি তারা আছে। নাম গার্নেট স্টার। এটা আকাশের সবচেয়ে লাল তারা। খালি চোখে খুব একটা দেখা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের শহীদেরাও বাংলাদেশের মুক্ত আকাশের একেকটি ‘গার্নেট স্টার’! আসুন, তাঁদের অনুভব করি চেতনায়। আর অন্যায়ের প্রতিবাদে হই সোচ্চার।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ: বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইতিহাস: ডা. এ কে এম আখতারুজ্জামান
No comments