জ্বালানি তেলের স্বল্পতায় ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত জাতিসংঘের
জ্বালানি তেলের স্বল্পতার কারণে সিরিয়ায় মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে জ্বালানি তেল আমদানির অনুমতি দিতে সিরিয়ার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভ্যালেরি আমোস।
দুর্গতদের কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে আরো অন্তত ১০টি সাহায্য সংস্থাকে সিরিয়ায় প্রবেশেরও অনুমতি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির ইয়ারমুকের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। কয়েক দিনের প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর গত সোমবার শিবিরটি দখলে নেয় তারা।
ভ্যালেরি গতকাল মঙ্গলবার দামেস্কে সাংবাদিকদের জানান, সিরিয়ার ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে শনিবার তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়ালেম ও অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি জ্বালানি তেলের অপ্রতুলতা এবং কম লোকবলের জন্য সাহায্য কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি তাঁদের জানান। বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্যও তাঁদের কর্মীদের স্বাধীনভাবে চলাচলের সুবিধা প্রয়োজন। সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে গতকাল সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। ভ্যালেরি বলেন, 'বিদ্রোহীদের সঙ্গে আমরা যাতে যোগাযোগ করতে পারি, সে বিষয়টি সরকারকে জানিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের কোনো সমস্যা নেই। ফলে আমরা সরকার ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উভয় এলাকাতেই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারব।'
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২৫ লাখ মানুষকে ত্রাণ সরবরাহ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া পাঁচ লাখের বেশি সিরিয়ান প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। ২১ মাস ধরে চলা সহিংসতায় কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চলতি মাসের প্রথম দিকে জাতিসংঘ তাদের বেশ কিছু কর্মী সিরিয়া থেকে সরিয়ে নেয়। সিরিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ভ্যালেরি 'নিয়ত পরিবর্তনশীল' বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে, বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, দামেস্কের ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির ইয়ারমুকের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন-জেনারেল কমান্ড (পিএফএলপি-জিসি) লড়াই করছে। তবে পপুলার ফ্রন্টের অনেক যোদ্ধাই পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহী পক্ষে যোগ দেন। এতে ওই শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া বিদ্রোহীদের জন্য সহজ হয়ে যায়। ফিলিস্তিনের সমাজকর্মী বলেন, ইয়ারমুকের পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (বিদ্রোহী) দখলে। সংঘাতের অবসান হয়েছে বলেও তিনি জানান।
শান্তিরক্ষী মোতায়েনের বিরোধিতায় রাশিয়া : রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী গেন্নাদি গাতিলভ বলেছেন, সিরিয়ায় কোনো শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা যাবে না, কোনো যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণও করতে দেওয়া হবে না। দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে তাতে রাশিয়া ভেটো দেবে। বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাঙ্ এ কথা জানায়। জাতিসংঘ সিরিয়ায় ১০ হাজার শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে_সমপ্রতি খবর প্রকাশিত হওয়ার পর রাশিয়া এ বক্তব্য দিল। গাতিলভ লিবিয়া ও ইরাক ইস্যুতে জাতিসংঘের ভূমিকা এবং প্রস্তাবেরও তীব্র সমালোচনা করেন। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
এদিকে, রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির ইয়ারমুকের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। কয়েক দিনের প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর গত সোমবার শিবিরটি দখলে নেয় তারা।
ভ্যালেরি গতকাল মঙ্গলবার দামেস্কে সাংবাদিকদের জানান, সিরিয়ার ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে শনিবার তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়ালেম ও অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি জ্বালানি তেলের অপ্রতুলতা এবং কম লোকবলের জন্য সাহায্য কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি তাঁদের জানান। বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্যও তাঁদের কর্মীদের স্বাধীনভাবে চলাচলের সুবিধা প্রয়োজন। সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে গতকাল সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। ভ্যালেরি বলেন, 'বিদ্রোহীদের সঙ্গে আমরা যাতে যোগাযোগ করতে পারি, সে বিষয়টি সরকারকে জানিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের কোনো সমস্যা নেই। ফলে আমরা সরকার ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উভয় এলাকাতেই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারব।'
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২৫ লাখ মানুষকে ত্রাণ সরবরাহ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া পাঁচ লাখের বেশি সিরিয়ান প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। ২১ মাস ধরে চলা সহিংসতায় কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চলতি মাসের প্রথম দিকে জাতিসংঘ তাদের বেশ কিছু কর্মী সিরিয়া থেকে সরিয়ে নেয়। সিরিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ভ্যালেরি 'নিয়ত পরিবর্তনশীল' বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে, বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, দামেস্কের ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির ইয়ারমুকের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন-জেনারেল কমান্ড (পিএফএলপি-জিসি) লড়াই করছে। তবে পপুলার ফ্রন্টের অনেক যোদ্ধাই পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহী পক্ষে যোগ দেন। এতে ওই শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া বিদ্রোহীদের জন্য সহজ হয়ে যায়। ফিলিস্তিনের সমাজকর্মী বলেন, ইয়ারমুকের পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (বিদ্রোহী) দখলে। সংঘাতের অবসান হয়েছে বলেও তিনি জানান।
শান্তিরক্ষী মোতায়েনের বিরোধিতায় রাশিয়া : রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী গেন্নাদি গাতিলভ বলেছেন, সিরিয়ায় কোনো শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা যাবে না, কোনো যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণও করতে দেওয়া হবে না। দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে তাতে রাশিয়া ভেটো দেবে। বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাঙ্ এ কথা জানায়। জাতিসংঘ সিরিয়ায় ১০ হাজার শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে_সমপ্রতি খবর প্রকাশিত হওয়ার পর রাশিয়া এ বক্তব্য দিল। গাতিলভ লিবিয়া ও ইরাক ইস্যুতে জাতিসংঘের ভূমিকা এবং প্রস্তাবেরও তীব্র সমালোচনা করেন। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
No comments