দুদকের মামলা-স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি
পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সেতু বিভাগের সাবেক সচিবসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছে। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের চাপ সত্ত্বেও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে সরাসরি আসামি না করে সন্দেহভাজনদের তালিকায় রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দুদকের কর্মকর্তা বলেছেন, দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ না থাকায় তাঁদের সরাসরি আসামি করা হয়নি। দুদকের এ বক্তব্যের সঙ্গে আমাদের দ্বিমত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু প্রশ্ন জাগে এই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে দুদকের আন্তরিকতা নিয়ে। আর সেই প্রশ্ন জাগার সুযোগ তাঁরাই সৃষ্টি করে রেখেছেন একেক সময় একেক ধরনের বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে।
দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই, দেশের স্বার্থে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দুদক তার দায়িত্ব পালন করুক। দুদকের ভাবমূর্তি নষ্ট হলে চূড়ান্তভাবে তা দেশের মানুষকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সে কারণে দুদকের দায়িত্ব পালনে আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা আশা করি। আমাদের ধারণা, দুদকের কিছু কর্মকাণ্ড সেই স্বচ্ছতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সাবেক দুই মন্ত্রীকে মামলার আসামি করা কিংবা না-করার বিষয়ে এর আগে দুদক চেয়ারম্যান বলেছিলেন, দেশের বা দেশের বাইরের কোনো চাপের কাছে তাঁরা মাথা নত করবেন না। দেশে বিদ্যমান আইনের ভিত্তিতেই তাঁরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরাও সেটাই আশা করি। কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের আগেই একজন প্রধান অভিযুক্তকে নির্দোষ বলে দেওয়াটাও কাম্য ছিল না। যতদূর জানা যায়, দুদকেরই তদন্ত প্রতিবেদনে প্রথমে ৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ না থাকলে ৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল কিসের ভিত্তিতে? পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠার শুরু থেকেই সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়ে আসছে। এ পর্যন্ত গণমাধ্যমেও তিনিই ছিলেন এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত ব্যক্তি। বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকেও প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে তাঁর নামটিই এসেছে। এমনকি দুদকের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের নিযুক্ত আন্তর্জাতিক প্যানেলের আলোচনাও ভেঙে গেছে মূলত এই একটি বিষয়কে কেন্দ্র করেই। এমন অবস্থায় সেই প্রধান ব্যক্তিকেই যদি আসামি করা না হয়, তাহলে জনমনেও দুদকের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন জাগবে_এটাই স্বাভাবিক।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থ পাওয়া না-পাওয়া এ ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত নয়। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের স্বার্থেই বিষয়টির সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থ পাওয়ার জন্যই যেন এ ব্যাপারে একটু একটু করে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। প্রথমে আবুল হোসেনকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক গড়িমসি করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের শর্তগুলো 'মানব না, মানব না' করেও পরে সরকার ও দুদক প্রায় সব শর্তই মেনে নিয়েছে। এতে কি এটিই প্রমাণিত হয় না যে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা কিংবা ন্যায়বিচারের দাবিটি এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেনি; বরং তারা বিশ্বব্যাংকের চাপের কাছেই একটু একটু করে নতি স্বীকার করেছে। এখনো তাদের সামনে স্বচ্ছতা প্রমাণের সুযোগ আছে এবং তা করতে হবে, সত্যিকার অর্থেই কারো চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নয়; বরং নিজেদের স্বচ্ছতা ও সততা থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে। সাবেক দুই মন্ত্রীকে আসামি করা নিয়ে আরো গড়িমসি করলে দুদক সেই সুযোগটিও হারাবে।
দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই, দেশের স্বার্থে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দুদক তার দায়িত্ব পালন করুক। দুদকের ভাবমূর্তি নষ্ট হলে চূড়ান্তভাবে তা দেশের মানুষকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সে কারণে দুদকের দায়িত্ব পালনে আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা আশা করি। আমাদের ধারণা, দুদকের কিছু কর্মকাণ্ড সেই স্বচ্ছতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সাবেক দুই মন্ত্রীকে মামলার আসামি করা কিংবা না-করার বিষয়ে এর আগে দুদক চেয়ারম্যান বলেছিলেন, দেশের বা দেশের বাইরের কোনো চাপের কাছে তাঁরা মাথা নত করবেন না। দেশে বিদ্যমান আইনের ভিত্তিতেই তাঁরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরাও সেটাই আশা করি। কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের আগেই একজন প্রধান অভিযুক্তকে নির্দোষ বলে দেওয়াটাও কাম্য ছিল না। যতদূর জানা যায়, দুদকেরই তদন্ত প্রতিবেদনে প্রথমে ৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ না থাকলে ৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল কিসের ভিত্তিতে? পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠার শুরু থেকেই সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়ে আসছে। এ পর্যন্ত গণমাধ্যমেও তিনিই ছিলেন এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত ব্যক্তি। বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকেও প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে তাঁর নামটিই এসেছে। এমনকি দুদকের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের নিযুক্ত আন্তর্জাতিক প্যানেলের আলোচনাও ভেঙে গেছে মূলত এই একটি বিষয়কে কেন্দ্র করেই। এমন অবস্থায় সেই প্রধান ব্যক্তিকেই যদি আসামি করা না হয়, তাহলে জনমনেও দুদকের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন জাগবে_এটাই স্বাভাবিক।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থ পাওয়া না-পাওয়া এ ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত নয়। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের স্বার্থেই বিষয়টির সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থ পাওয়ার জন্যই যেন এ ব্যাপারে একটু একটু করে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। প্রথমে আবুল হোসেনকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক গড়িমসি করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের শর্তগুলো 'মানব না, মানব না' করেও পরে সরকার ও দুদক প্রায় সব শর্তই মেনে নিয়েছে। এতে কি এটিই প্রমাণিত হয় না যে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা কিংবা ন্যায়বিচারের দাবিটি এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেনি; বরং তারা বিশ্বব্যাংকের চাপের কাছেই একটু একটু করে নতি স্বীকার করেছে। এখনো তাদের সামনে স্বচ্ছতা প্রমাণের সুযোগ আছে এবং তা করতে হবে, সত্যিকার অর্থেই কারো চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নয়; বরং নিজেদের স্বচ্ছতা ও সততা থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে। সাবেক দুই মন্ত্রীকে আসামি করা নিয়ে আরো গড়িমসি করলে দুদক সেই সুযোগটিও হারাবে।
No comments