দুই সহপাঠীর বর্ণনা-'আমিই মালালা' শোনার পরই গুলি
"অস্ত্রধারী এক লোক হঠাৎ আমাদের বাসে উঠেই জানতে চায় মালালা কে? প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম সে ঠাট্টা করছে। কারণ হিজাব দিয়ে সব মেয়ের মুখ ঢাকা থাকলেও একমাত্র মালালাই সব সময় মুখমণ্ডল খোলা রাখত। সুতরাং তাকে সহজেই চেনা যায়। সেই সময় মালালা যখন বলে উঠল, 'আমিই মালালা', তখনই লোকটি গুলি চালায়।
সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়ে মালালা।" ৯ অক্টোবরের ভয়ংকর হামলার এক মাস পর প্রচারমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ বর্ণনা দিল মালালার সহপাঠী আহত কাইনাত রিয়াজ। সেদিন হামলাকারীর গুলিতে আহত হয় আরেক সহপাঠী শাজিয়া। এক মাসের চিকিৎসা শেষে শাজিয়া এখন পুরোপুরি সুস্থ। তবে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এলেও চিকিৎসাধীন রয়েছে কাইনাত।
১৫ বছরের কাইনাত বলে, 'লুটিয়ে পড়া কাইনাতের মাথা থেকে গলগল করে রক্ত পড়ছিল। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এরপর লোকটি আরো গুলি চালায়। আমার হাতে গুলি লাগে, মনে হচ্ছিল আমার হাতটি উড়ে গেছে। পুরো অবশ হয়ে যায় আমার হাত।'
দুঃস্বপ্নের সেই ক্ষণটি এখনো তাড়া করে কাইনাতকে। বাসার বাইরে সার্বক্ষণিক দুজন পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও ভয় তার পিছু ছাড়েনি। বর্তমানে প্রায় সুস্থ হয়ে ওঠা কাইনাতের পাশাপাশি শাজিয়াও দ্রুত স্কুলে যাওয়া শুরু করতে আগ্রহী। স্থানীয় পুলিশের অনুমতি পেলেই আবার স্কুলে হাজিরা দিতে শুরু করবে বলে তারা জানায়। দুজনই জানায়, পড়ালেখা করে তারা ডাক্তার হতে চায়।
কাইনাত বলে, 'ওই ভয়ংকর ঘটনা আমি সব সময় ভুলে থাকার চেষ্টা করি। মা-বাবাও বলেন ওই ঘটনা মনে না করতে; কিন্তু যখন আমার মনে পড়ে, আমি কেবলই কাঁদতে থাকি।'
মালালা সম্পর্কে কাইনাত বলে, 'মালালার মতো কেউ নেই। সে আলাদা রকমের মেয়ে।' মালালার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে শাজিয়া পাকিস্তানের সব মেয়েকে স্কুলগামী হওয়ার এবং মালালার আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানায়।
মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে অবস্থানের কারণে তালেবানের নৃশংসতার শিকার মালালা আজ পাকিস্তান ছাড়িয়ে সারা বিশ্বেই পরিচিত মুখ। সে পরিচিতি পেতে শুরু করেছিল মাত্র ১১ বছর বয়স থেকেই, তালেবান তার সোয়াত এলাকায় নারী শিক্ষা বন্ধ করে দিলে ছোট্ট মেয়েটি কলম নিয়ে যুদ্ধে নামে। ২০০৯ সালে সে বিবিসির উর্দু বিভাগে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ডায়েরি লেখা শুরু করে। সূত্র : বিবিসি নিউজ, নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ এবং দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
১৫ বছরের কাইনাত বলে, 'লুটিয়ে পড়া কাইনাতের মাথা থেকে গলগল করে রক্ত পড়ছিল। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এরপর লোকটি আরো গুলি চালায়। আমার হাতে গুলি লাগে, মনে হচ্ছিল আমার হাতটি উড়ে গেছে। পুরো অবশ হয়ে যায় আমার হাত।'
দুঃস্বপ্নের সেই ক্ষণটি এখনো তাড়া করে কাইনাতকে। বাসার বাইরে সার্বক্ষণিক দুজন পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও ভয় তার পিছু ছাড়েনি। বর্তমানে প্রায় সুস্থ হয়ে ওঠা কাইনাতের পাশাপাশি শাজিয়াও দ্রুত স্কুলে যাওয়া শুরু করতে আগ্রহী। স্থানীয় পুলিশের অনুমতি পেলেই আবার স্কুলে হাজিরা দিতে শুরু করবে বলে তারা জানায়। দুজনই জানায়, পড়ালেখা করে তারা ডাক্তার হতে চায়।
কাইনাত বলে, 'ওই ভয়ংকর ঘটনা আমি সব সময় ভুলে থাকার চেষ্টা করি। মা-বাবাও বলেন ওই ঘটনা মনে না করতে; কিন্তু যখন আমার মনে পড়ে, আমি কেবলই কাঁদতে থাকি।'
মালালা সম্পর্কে কাইনাত বলে, 'মালালার মতো কেউ নেই। সে আলাদা রকমের মেয়ে।' মালালার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে শাজিয়া পাকিস্তানের সব মেয়েকে স্কুলগামী হওয়ার এবং মালালার আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানায়।
মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে অবস্থানের কারণে তালেবানের নৃশংসতার শিকার মালালা আজ পাকিস্তান ছাড়িয়ে সারা বিশ্বেই পরিচিত মুখ। সে পরিচিতি পেতে শুরু করেছিল মাত্র ১১ বছর বয়স থেকেই, তালেবান তার সোয়াত এলাকায় নারী শিক্ষা বন্ধ করে দিলে ছোট্ট মেয়েটি কলম নিয়ে যুদ্ধে নামে। ২০০৯ সালে সে বিবিসির উর্দু বিভাগে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ডায়েরি লেখা শুরু করে। সূত্র : বিবিসি নিউজ, নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ এবং দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
No comments