সহমর্মিতার সফরে নির্বাচনী ডামাডোল by তোফায়েল আহমদ
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম এলাকাজুড়ে এখন 'প্রাক-নির্বাচনী হাওয়া'! সড়ক-মহাসড়কে নির্মিত হয়েছে শত শত তোরণ। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায়ই বিএনপির একাধিক নেতা এসব তোরণ নির্মাণের যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। রাস্তায় রাস্তায় দোল খাচ্ছে মাঠ থেকে তুলে আনা পাকা ধানের গোছা।
দলে দলে কর্মীরা ঢোল-তবলা-কাঁসা বাজিয়ে স্লোগান আর জারিগান ধরছে। সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিন দিনের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সফরকে কেন্দ্র করেই মূলত দক্ষিণ চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের ১০টি সংসদীয় আসনের রাজনৈতিক মাঠে আকস্মিক এ রকম চিত্র দেখা গেছে।
কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধপল্লীতে সংঘটিত সহিংস ঘটনার পর খালেদা জিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তাদের সহমর্মিতা জানাতে এ সফরে বেরিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে বলেছেন, এমন ভয়াল ঘটনার পর পরই আমার এখানে আসার কথা ছিল, কিন্তু চীন ও ভারত সফর এবং সেইসঙ্গে দুর্গাপূজাসহ ঈদুল আজহার কারণে একটু বিলম্ব হয়েছে। এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের এ সফরসূচি ছিল দুই দিনের। পরে এক দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে উখিয়ায় সমাবেশ করার জন্য।
বিএনপি চেয়ারপারসন কক্সবাজারের রামুর উদ্দেশে গত শুক্রবার বিকেলেই রাজধানী ঢাকা ছাড়েন। তিনি ওই দিন রাতেই ফেনী হয়ে আসেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম থেকে গতকাল শনিবার রওনা হন কক্সবাজারের উদ্দেশে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নতুন ব্রিজ পার হয়েই শুরু হয় সংসদের ১০টি আসনের এলাকা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক-সংলগ্ন এই আসনগুলো যথাক্রমে আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া-লোহাগড়া, চকরিয়া-পেকুয়া, মহেশখালী-কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সদর-রামু এবং উখিয়া-টেকনাফ।
রামুর বৌদ্ধপল্লীর ঘটনা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে এবারের সফরকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে যেভাবে সাড়া পড়েছে তা স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। খালেদা জিয়ার আগমনে কর্ণফুলী নদীর ব্রিজ থেকে শুরু করে টেকনাফ পর্যন্ত মহাসড়কে নির্মিত হয়েছে শত শত তোরণ। প্রতিটি আসনেই দলীয় একাধিক নেতার ছবি দিয়ে লাগানো হয়েছে ডিজিটাল পোস্টার ও ফেস্টুন। তোরণগুলোতে দুলছে পাকা ধানের গোছা। বিশেষ করে মহাসড়কের হাটবাজার এবং স্টেশনগুলোতেই এসব তোরণ এবং পোস্টার চোখে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার আসার পথে কালের কণ্ঠের এ প্রতিবেদক প্রত্যক্ষ করেছেন এ রকম দৃশ্য। রামুর বৌদ্ধ নেতা বঙ্কিম বড়ুয়া তোরণ প্রসঙ্গে গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কমপক্ষে কোটি টাকার তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এত টাকা ব্যয় সবই পানিতে যাবে। অথচ সেই টাকায় বেশ কয়েকটি বৌদ্ধমন্দির নির্মাণ করা সম্ভব হতো।'
বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীদের এ রকম আবেগ-উচ্ছ্বাস আকস্মিক চোখে পড়ার মতো। আমির হামজা নামের মহেশখালীর এক বিএনপিকর্মী গতকাল রামুতে বললেন, 'আঁরার ম্যাডামরে (খালেদা জিয়া) নদেখিদ্দে দেরি অর-এতল্লাই চাইত আস্যিদ্দে এবং কি হতা হদ্দে ফুইনতে আস্যি।' অর্থাৎ আমাদের ম্যাডামকে দেখছি না অনেক দিন হয়ে গেছে, তদুপরি তিনি কী বলেন তা শুনতেও ইচ্ছা হচ্ছিল, তাই রামুর সমাবেশে আসা।
গতকাল কক্সবাজারের চকরিয়া বাস টার্মিনালের ছোট্ট পরিসরেই আয়োজন করা হয়েছিল খালেদা জিয়ার সমাবেশের স্থানটি। দুপুর ১২টা-১টা নাগাদ তাঁর সেখানে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সকাল ৭টা থেকেই মঞ্চে মাইক নিয়ে ডাকা হচ্ছিল লোকজনদের। আর এমন সাত সকালেও সেখানে লোকজনকে সমবেত হতে দেখা গেছে। এখানে দেখা গেছে, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং দলের বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ ও তাঁর পত্নী একই আসনের বর্তমান দলীয় এমপি হাসিনা আহমেদের ছবি দিয়ে বানানো প্রচুর ডিজিটাল ব্যানার। দলের অন্য কোনো নেতার ব্যানার তেমন চোখে পড়েনি।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের আসনগুলোতে দলীয় অনেক নেতা-কর্মীর নামে তোরণ, পোস্টার এবং ব্যানার চোখে পড়েছে। কক্সবাজার সদর-রামু আসনে বর্তমান দলীয় এমপি লুৎফুর রহমান কাজল ছাড়াও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জমান এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের অধ্যাপক আজিজুর রহমানের নামে বহু তোরণ এবং ব্যানার লাগানো হয়েছে। উখিয়া-টেকনাফে সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী ছাড়াও আলমগীর চৌধুরী নামের আরেক বিএনপি নেতার তোরণ এবং ব্যানার দেখা গেছে। চোখে পড়েছে গতকালের চকরিয়া ও রামুর সমাবেশে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে দলে দলে নেতা-কর্মীদের উৎসবের আমেজে যোগদানের দৃশ্য। অনুরূপ সমাবেশ থেকে ফিরেছে আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে। এসব দৃশ্য দেখে সাধারণ লোকজনের কাছেও নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা স্থান পেতে শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন দীর্ঘ আট বছর পর এ এলাকা সফর করার কারণেই নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষ আস্থা তুলে নেওয়ার কারণেই বিরোধীদলীয় নেতার আগমনকে স্বাগত জানানোর জন্যই মানুষের ঢল নেমেছে।
কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধপল্লীতে সংঘটিত সহিংস ঘটনার পর খালেদা জিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তাদের সহমর্মিতা জানাতে এ সফরে বেরিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে বলেছেন, এমন ভয়াল ঘটনার পর পরই আমার এখানে আসার কথা ছিল, কিন্তু চীন ও ভারত সফর এবং সেইসঙ্গে দুর্গাপূজাসহ ঈদুল আজহার কারণে একটু বিলম্ব হয়েছে। এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের এ সফরসূচি ছিল দুই দিনের। পরে এক দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে উখিয়ায় সমাবেশ করার জন্য।
বিএনপি চেয়ারপারসন কক্সবাজারের রামুর উদ্দেশে গত শুক্রবার বিকেলেই রাজধানী ঢাকা ছাড়েন। তিনি ওই দিন রাতেই ফেনী হয়ে আসেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম থেকে গতকাল শনিবার রওনা হন কক্সবাজারের উদ্দেশে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নতুন ব্রিজ পার হয়েই শুরু হয় সংসদের ১০টি আসনের এলাকা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক-সংলগ্ন এই আসনগুলো যথাক্রমে আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া-লোহাগড়া, চকরিয়া-পেকুয়া, মহেশখালী-কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সদর-রামু এবং উখিয়া-টেকনাফ।
রামুর বৌদ্ধপল্লীর ঘটনা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে এবারের সফরকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে যেভাবে সাড়া পড়েছে তা স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। খালেদা জিয়ার আগমনে কর্ণফুলী নদীর ব্রিজ থেকে শুরু করে টেকনাফ পর্যন্ত মহাসড়কে নির্মিত হয়েছে শত শত তোরণ। প্রতিটি আসনেই দলীয় একাধিক নেতার ছবি দিয়ে লাগানো হয়েছে ডিজিটাল পোস্টার ও ফেস্টুন। তোরণগুলোতে দুলছে পাকা ধানের গোছা। বিশেষ করে মহাসড়কের হাটবাজার এবং স্টেশনগুলোতেই এসব তোরণ এবং পোস্টার চোখে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার আসার পথে কালের কণ্ঠের এ প্রতিবেদক প্রত্যক্ষ করেছেন এ রকম দৃশ্য। রামুর বৌদ্ধ নেতা বঙ্কিম বড়ুয়া তোরণ প্রসঙ্গে গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কমপক্ষে কোটি টাকার তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এত টাকা ব্যয় সবই পানিতে যাবে। অথচ সেই টাকায় বেশ কয়েকটি বৌদ্ধমন্দির নির্মাণ করা সম্ভব হতো।'
বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীদের এ রকম আবেগ-উচ্ছ্বাস আকস্মিক চোখে পড়ার মতো। আমির হামজা নামের মহেশখালীর এক বিএনপিকর্মী গতকাল রামুতে বললেন, 'আঁরার ম্যাডামরে (খালেদা জিয়া) নদেখিদ্দে দেরি অর-এতল্লাই চাইত আস্যিদ্দে এবং কি হতা হদ্দে ফুইনতে আস্যি।' অর্থাৎ আমাদের ম্যাডামকে দেখছি না অনেক দিন হয়ে গেছে, তদুপরি তিনি কী বলেন তা শুনতেও ইচ্ছা হচ্ছিল, তাই রামুর সমাবেশে আসা।
গতকাল কক্সবাজারের চকরিয়া বাস টার্মিনালের ছোট্ট পরিসরেই আয়োজন করা হয়েছিল খালেদা জিয়ার সমাবেশের স্থানটি। দুপুর ১২টা-১টা নাগাদ তাঁর সেখানে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সকাল ৭টা থেকেই মঞ্চে মাইক নিয়ে ডাকা হচ্ছিল লোকজনদের। আর এমন সাত সকালেও সেখানে লোকজনকে সমবেত হতে দেখা গেছে। এখানে দেখা গেছে, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং দলের বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ ও তাঁর পত্নী একই আসনের বর্তমান দলীয় এমপি হাসিনা আহমেদের ছবি দিয়ে বানানো প্রচুর ডিজিটাল ব্যানার। দলের অন্য কোনো নেতার ব্যানার তেমন চোখে পড়েনি।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের আসনগুলোতে দলীয় অনেক নেতা-কর্মীর নামে তোরণ, পোস্টার এবং ব্যানার চোখে পড়েছে। কক্সবাজার সদর-রামু আসনে বর্তমান দলীয় এমপি লুৎফুর রহমান কাজল ছাড়াও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জমান এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের অধ্যাপক আজিজুর রহমানের নামে বহু তোরণ এবং ব্যানার লাগানো হয়েছে। উখিয়া-টেকনাফে সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী ছাড়াও আলমগীর চৌধুরী নামের আরেক বিএনপি নেতার তোরণ এবং ব্যানার দেখা গেছে। চোখে পড়েছে গতকালের চকরিয়া ও রামুর সমাবেশে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে দলে দলে নেতা-কর্মীদের উৎসবের আমেজে যোগদানের দৃশ্য। অনুরূপ সমাবেশ থেকে ফিরেছে আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে। এসব দৃশ্য দেখে সাধারণ লোকজনের কাছেও নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা স্থান পেতে শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন দীর্ঘ আট বছর পর এ এলাকা সফর করার কারণেই নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষ আস্থা তুলে নেওয়ার কারণেই বিরোধীদলীয় নেতার আগমনকে স্বাগত জানানোর জন্যই মানুষের ঢল নেমেছে।
No comments