শ্রীলঙ্কায় কারাগারে সংঘর্ষ, নিহত ২৭
শ্রীলঙ্কার ওয়েলিকাদা কারাগারে কারাবন্দিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৫৯ জন। হতাহতদের বেশির ভাগই কারাবন্দি। অবৈধ মালামাল উদ্ধারে গত শুক্রবার কারা কর্তৃপক্ষ বন্দিদের তল্লাশি করতে গেলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পুলিশের মুখপাত্র প্রিশান্থা জয়াকোদি গতকাল শনিবার জানান, শুক্রবার শ্রীলঙ্কা পুলিশের কমান্ডো বাহিনীর (এসটিএফ) সদস্যরা কারাগারের ভেতরে মাদক ও অবৈধভাবে নেওয়া মোবাইল ফোনসেট উদ্ধারে তল্লাশি চালান।
তল্লাশি শুরু করতেই কারাবন্দিরা পুলিশ সদস্যদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ বন্দিদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ছোড়ে। কিন্তু একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ বন্দিরা কারাগারের অস্ত্রভাণ্ডারের দরজা ভেঙে ফেলে। প্রায় ৮২টি অস্ত্র লুট করে তারা কারাগারের ছাদে জমা করে। এরপর পুলিশের সঙ্গে বন্দিদের সংঘর্ষ চলে। এ সময় অনেক বন্দি পালিয়েছে বলেও জানান প্রিশান্থা। কারামন্ত্রী চন্দ্রসিরি গজাদিয়ারা জানান, উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। বেশির ভাগই বন্দি। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ সম্পর্কে সরজ পাথিরানা নামের এক বন্দি জানান, পুলিশ সদস্যরা বন্দিদের হাতকড়া পরিয়ে বের করে আনতে চাইলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর বন্দিরা অস্ত্র লুট করে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কারাগারের চারদিকে সেনা মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি পালানো আসামিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
কলম্বোয় অবস্থিত দেশটির বৃহত্তম এই ওয়েলিকাদা কারাগারে কারাবন্দির সংখ্যা মোট সাড়ে চার হাজার। এদের মধ্যে ২০০৯ সালে আটক হওয়া তামিল বিদ্রোহীরাও আছেন। সূত্র : বিবিসি।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কারাগারের চারদিকে সেনা মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি পালানো আসামিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
কলম্বোয় অবস্থিত দেশটির বৃহত্তম এই ওয়েলিকাদা কারাগারে কারাবন্দির সংখ্যা মোট সাড়ে চার হাজার। এদের মধ্যে ২০০৯ সালে আটক হওয়া তামিল বিদ্রোহীরাও আছেন। সূত্র : বিবিসি।
No comments