রামুর সমাবেশে খালেদা জিয়া-জামায়াতকে নির্বাচনে টানার চেষ্টা চলছে by মোশাররফ বাবলু
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধের নামে জামায়াত-শিবিরের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, 'আগামী নির্বাচনে তাদের (জামায়াত) আনার জন্য আওয়ামী লীগ তলে তলে যে যোগাযোগ করছে না, তা কে জানে! তাদের সঙ্গে আপস করে একদলীয় নির্বাচনে আনতে চায়, সে জন্য তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন বাড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
জামায়াত এখন সন্ত্রস্ত।' শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'যখন তাদের (জামায়াত) সঙ্গে বসে গলায় গলায় ভাব নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন, তখন তো তারা যুদ্ধাপরাধী ছিল না। নিজামীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি নিতেন তখন।' খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। তবে তা হতে হবে নিরপেক্ষ, আন্তর্জাতিক মানের।'
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম থেকে সকাল পৌনে ১১টায় যাত্রা করে খালেদা জিয়া বিকেল সোয়া ৩টায় কক্সবাজারের রামুর বিধ্বস্ত বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন শেষে স্থানীয় খিজারী হাইস্কুলের মাঠে এক সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, 'লুটেপুটে খেতে খেতে আওয়ামী লীগ মোটাতাজা হয়েছে। জনগণ যখন তাদের ধাওয়া করবে তখন যাবে কোথায়? নাওয়ের (নৌকা) তলা ফুটা হয়ে গেছে। একদিকে নাফ নদী, আরেক দিকে সাগর, পালাবে কোথায়? আওয়ামী লীগ পালাতে পারবে না। তাদের খায়েশ হয়েছে, যত দিন বাঁচবে, ক্ষমতায় থাকবে। এ জন্য সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করে নিয়েছে। এখন আমাদের সামনে পথ দুটি, হয় তারা নিজেরাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনর্বহাল করবে অথবা আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।'
খালেদা জিয়া রামুতে আসার আগে কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক পথসভায় বক্তব্য দেন। তারপর রামু গিয়ে ঐতিহাসিক সীমাবিহারে ঢুকে খালেদা জিয়া বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ভক্তদের সঙ্গে কথা বলেন। রামুর বৌদ্ধপল্লীতে হামলার ঘটনায় তাদের সমবেদনা জানান এবং সান্ত্বনা দেন।
পরে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। বৌদ্ধরা নিরীহ, তারা শান্তিময় জীবনযাপন করতে পছন্দ করে। ২৯ সেপ্টেম্বর ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার করেনি, কারণ এতে আওয়ামী লীগ জড়িত। ওই তদন্ত কমিটি করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসত। এখান থেকে থানা মাত্র ২০০ গজ দূরে। ঘটনার সময় পুলিশ আসেনি। কারণ সরকার নির্দেশ দেয়নি। একই ঘটনা তারা বিডিআরে ঘটিয়েছিল। আমরা আসব শুনে তাড়াহুড়া করে কিছু ঘরবাড়ি বানাচ্ছে। তারা চায়নি, আমরা এখানে আসি। এ কারণে আমি ফেনী থেকে আসার পর সেখানকার গডফাদার ককটেল মেরে ভয় দেখিয়েছে।' তিনি বলেন, 'এই আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতন করেছে। আমি তরুণদের বলব, তোমরা পুরনো বইপত্র ঘেটে দেখো, বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত তারা কী করেছিল। তোমাদের সামনে আওয়ামী লীগের মুখোশ খুলে যাবে।'
খালেদা জিয়া বলেন, 'আওয়ামী লীগ এবার ক্ষমতায় এসেছে লুটপাট, নির্যাতন আর খুন-গুম করতে। আওয়ামী লীগ নাকি ধর্মনিরপেক্ষ! মূলত এটা তাদের মুখোশ, বাহ্যিক আবরণ। বিএনপি ধর্মীয় মূল্যবোধের কথা বলে। আওয়ামী লীগকে যদি দেখেন, বুঝতে পারবেন, প্রতিদিন গুম আর খুন তাদের কাজ। জিনিসপত্রের দাম বেশি, তাদের কাছে মানুষের রক্তের দাম নেই। ৪ টাকার লবণের দাম এখন ৩২ টাকা।'
খালেদা জিয়া বলেন, 'ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের দয়ায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। তাদের কিসের ভয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে? ফুটবল খেলায় দুটি দল থাকে। আমাদের দেশে অনেক দল আছে। প্রধান দল দুটি। খেলতে গেলে মাঠ সমান থাকতে হবে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।'
বিএনপির চেয়ারপারসন বৌদ্ধদের উদ্দেশে বলেন, 'যারা আপনাদের ক্ষতি করেছে তাদের বিচার হবে। আমরা সরকারে এলে বৌদ্ধদের ঘরগুলো সুন্দর করে গড়ে দেব। বিদেশ থেকে মূর্তি এনে সাজাতে পারবেন।'
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় বিএনপির সভাপতি আহমেদুল হক চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, এম মোরশেদ খান, ড. সুকোমল বড়ুয়া, স্থানীয় বিএনপি দলীয় এমপি লুৎফর রহমান কাজল, জামায়াতের এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম, বৌদ্ধভিক্ষু শুদ্ধানন্দ মহাথেরো প্রমুখ।
সমাবেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা সুকোমল বড়ুয়া বলেন, 'ম্যাডাম বৌদ্ধ সম্প্রদায় আপনার সঙ্গে আছে। প্রধানমন্ত্রী এখানে এসেছিলেন কিন্তু তাঁর সমাবেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ আসেনি।'
চকরিয়ায় পথসভা : এখানে খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন এবং আওয়ামী লীগ সরকার ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। তাই দেশপ্রেমিক মুসলিম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষকে বলব আসুন, দেশকে একসঙ্গে গড়ে তুলব, দেশ সামনে এগিয়ে যাবে। আন্দোলনে শরিক হবেন। বিএনপি জোটকে নির্বাচনে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবেন।' তিনি রামু, উখিয়ায় ধর্মীয় উপাসনালয় ধ্বংসের জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, সেখানে ওরা কী অবস্থা করেছে আপনারা তা দেখেছেন। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই সংখ্যালঘুরা অনিরাপদ হয়ে পড়ে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিনিয়োগ, ব্যবসা নেই, সবই স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি থেমে গেছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দেশবাসীর কাছ থেকে ভোট নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু চাকরি তারা দেয়নি। বিদেশ থেকে মানুষ ফিরে আসছে। ১০ টাকার চাল নেই, ডিমের হালি ৫০ টাকা।
খালেদা জিয়া বলেন, '২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হোক, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।' খালেদা জিয়া উপস্থিত বিপুল জনতার উদ্দেশে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে, তাতে সবাইকে অংশ নিতে হবে। বিএনপি জোটকে ভোট দিয়ে নির্বাচনে জয়ী করে দেশ রক্ষা করতে হবে।
গতকাল দুপুরে চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গার শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালে আয়োজিত পথসভা পরিচালনা করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদ।
খালেদা জিয়া গতকাল কক্সবাজার সার্কিট হাউসে রাতযাপন করেন। আজ রবিবার উখিয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তিনি।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম থেকে সকাল পৌনে ১১টায় যাত্রা করে খালেদা জিয়া বিকেল সোয়া ৩টায় কক্সবাজারের রামুর বিধ্বস্ত বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন শেষে স্থানীয় খিজারী হাইস্কুলের মাঠে এক সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, 'লুটেপুটে খেতে খেতে আওয়ামী লীগ মোটাতাজা হয়েছে। জনগণ যখন তাদের ধাওয়া করবে তখন যাবে কোথায়? নাওয়ের (নৌকা) তলা ফুটা হয়ে গেছে। একদিকে নাফ নদী, আরেক দিকে সাগর, পালাবে কোথায়? আওয়ামী লীগ পালাতে পারবে না। তাদের খায়েশ হয়েছে, যত দিন বাঁচবে, ক্ষমতায় থাকবে। এ জন্য সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করে নিয়েছে। এখন আমাদের সামনে পথ দুটি, হয় তারা নিজেরাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনর্বহাল করবে অথবা আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।'
খালেদা জিয়া রামুতে আসার আগে কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক পথসভায় বক্তব্য দেন। তারপর রামু গিয়ে ঐতিহাসিক সীমাবিহারে ঢুকে খালেদা জিয়া বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ভক্তদের সঙ্গে কথা বলেন। রামুর বৌদ্ধপল্লীতে হামলার ঘটনায় তাদের সমবেদনা জানান এবং সান্ত্বনা দেন।
পরে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। বৌদ্ধরা নিরীহ, তারা শান্তিময় জীবনযাপন করতে পছন্দ করে। ২৯ সেপ্টেম্বর ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার করেনি, কারণ এতে আওয়ামী লীগ জড়িত। ওই তদন্ত কমিটি করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসত। এখান থেকে থানা মাত্র ২০০ গজ দূরে। ঘটনার সময় পুলিশ আসেনি। কারণ সরকার নির্দেশ দেয়নি। একই ঘটনা তারা বিডিআরে ঘটিয়েছিল। আমরা আসব শুনে তাড়াহুড়া করে কিছু ঘরবাড়ি বানাচ্ছে। তারা চায়নি, আমরা এখানে আসি। এ কারণে আমি ফেনী থেকে আসার পর সেখানকার গডফাদার ককটেল মেরে ভয় দেখিয়েছে।' তিনি বলেন, 'এই আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতন করেছে। আমি তরুণদের বলব, তোমরা পুরনো বইপত্র ঘেটে দেখো, বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত তারা কী করেছিল। তোমাদের সামনে আওয়ামী লীগের মুখোশ খুলে যাবে।'
খালেদা জিয়া বলেন, 'আওয়ামী লীগ এবার ক্ষমতায় এসেছে লুটপাট, নির্যাতন আর খুন-গুম করতে। আওয়ামী লীগ নাকি ধর্মনিরপেক্ষ! মূলত এটা তাদের মুখোশ, বাহ্যিক আবরণ। বিএনপি ধর্মীয় মূল্যবোধের কথা বলে। আওয়ামী লীগকে যদি দেখেন, বুঝতে পারবেন, প্রতিদিন গুম আর খুন তাদের কাজ। জিনিসপত্রের দাম বেশি, তাদের কাছে মানুষের রক্তের দাম নেই। ৪ টাকার লবণের দাম এখন ৩২ টাকা।'
খালেদা জিয়া বলেন, 'ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের দয়ায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। তাদের কিসের ভয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে? ফুটবল খেলায় দুটি দল থাকে। আমাদের দেশে অনেক দল আছে। প্রধান দল দুটি। খেলতে গেলে মাঠ সমান থাকতে হবে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।'
বিএনপির চেয়ারপারসন বৌদ্ধদের উদ্দেশে বলেন, 'যারা আপনাদের ক্ষতি করেছে তাদের বিচার হবে। আমরা সরকারে এলে বৌদ্ধদের ঘরগুলো সুন্দর করে গড়ে দেব। বিদেশ থেকে মূর্তি এনে সাজাতে পারবেন।'
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় বিএনপির সভাপতি আহমেদুল হক চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, এম মোরশেদ খান, ড. সুকোমল বড়ুয়া, স্থানীয় বিএনপি দলীয় এমপি লুৎফর রহমান কাজল, জামায়াতের এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম, বৌদ্ধভিক্ষু শুদ্ধানন্দ মহাথেরো প্রমুখ।
সমাবেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা সুকোমল বড়ুয়া বলেন, 'ম্যাডাম বৌদ্ধ সম্প্রদায় আপনার সঙ্গে আছে। প্রধানমন্ত্রী এখানে এসেছিলেন কিন্তু তাঁর সমাবেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ আসেনি।'
চকরিয়ায় পথসভা : এখানে খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন এবং আওয়ামী লীগ সরকার ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। তাই দেশপ্রেমিক মুসলিম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষকে বলব আসুন, দেশকে একসঙ্গে গড়ে তুলব, দেশ সামনে এগিয়ে যাবে। আন্দোলনে শরিক হবেন। বিএনপি জোটকে নির্বাচনে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবেন।' তিনি রামু, উখিয়ায় ধর্মীয় উপাসনালয় ধ্বংসের জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, সেখানে ওরা কী অবস্থা করেছে আপনারা তা দেখেছেন। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই সংখ্যালঘুরা অনিরাপদ হয়ে পড়ে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিনিয়োগ, ব্যবসা নেই, সবই স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি থেমে গেছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দেশবাসীর কাছ থেকে ভোট নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু চাকরি তারা দেয়নি। বিদেশ থেকে মানুষ ফিরে আসছে। ১০ টাকার চাল নেই, ডিমের হালি ৫০ টাকা।
খালেদা জিয়া বলেন, '২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হোক, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।' খালেদা জিয়া উপস্থিত বিপুল জনতার উদ্দেশে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে, তাতে সবাইকে অংশ নিতে হবে। বিএনপি জোটকে ভোট দিয়ে নির্বাচনে জয়ী করে দেশ রক্ষা করতে হবে।
গতকাল দুপুরে চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গার শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালে আয়োজিত পথসভা পরিচালনা করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদ।
খালেদা জিয়া গতকাল কক্সবাজার সার্কিট হাউসে রাতযাপন করেন। আজ রবিবার উখিয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তিনি।
No comments