পার্লামেন্টারি কমিটির অভিযোগ-অভিবাসীদের আবেদনের 'পাহাড়' সামলাতে টালমাটাল ইউকেবিএ
ব্রিটেনের অভিবাসন ব্যবস্থার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্রিটিশ এমপিরা। ব্রিটেনের সীমান্ত সংস্থায় (ইউকেবিএ) তিন লাখেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে থাকায় তাঁরা এ অভিযোগ করেছেন। সীমান্ত সংস্থার অব্যবস্থাপনার কারণে হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসী ব্রিটেনে বসবাসের সুযোগ পেয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমন্সের অভ্যন্তরীণ বিষয়সংক্রান্ত এক কমিটি গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এসব আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি কমিটি জানায়, ইউকেবিএতে এখন তিন লাখ দুই হাজার ৬৪টি আবেদন তদন্তের অপেক্ষায় আছে। এ সংখ্যা আইসল্যান্ডের জনসংখ্যার প্রায় সমান। গত এপ্রিল থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত তিন মাসেই ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। ব্রিটেনে অবস্থানের অনুমতি নেই_এমন ২৪ হাজার লোকের আবেদনও ইউকেবিএতে অপেক্ষাধীন। 'জঞ্জাল' হিসেবে পড়ে থাকা আবেদনগুলোর মধ্যে এখনো এক লাখ ৭৪ হাজার লোকের ঠিকানাও খুঁজে বের করতে হবে ইউকেবিএর কর্মকর্তাদের। গত বছর এ সংস্থা মাত্র ২৯ হাজার আবেদনের সুরাহা করে।
অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক হারপার দাবি করেছেন, ইউকেবিএ 'জোরালো পদক্ষেপ' নিতে শুরু করেছে। আর এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলো সুরাহার অঙ্গীকার করেছেন ইউকেবিএর কর্মকর্তারা।
অভ্যন্তরীণ বিষয়ক কমিটির প্রধান কেইথ ভাজ বলেন, ইউকেবিএতে জমা থাকা আবেদনের সংখ্যা আইসল্যান্ডের জনসংখ্যার প্রায় সমান এবং এগুলো ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। খুব কম সময়ের মধ্যে সব আবেদনের সুরাহা করতে গেলে ব্রিটেনে বসবাসের অনুমতি নেই এমন অনেক লোকের মামলা বন্ধ হয়ে যাবে।
ফলে তারা স্থায়ীভাবে ব্রিটেনে বসবাসের সুযোগ পেয়ে যাবে। অন্যদিকে ব্রিটেনে আশ্রয় দেওয়া দরকার বা ব্রিটেনে অবস্থান করার অনুমতি দেওয়া দরকার, এমন অনেক লোকের আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে। ইউকেবিএর কর্মকর্তারা জঞ্জাল হয়ে পড়ে থাকা আবেদনের সংখ্যা লুকানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন ভাজ। সীমান্ত সংস্থার কর্মকর্তারা মানসিকভাবে অসুস্থ অভিবাসীদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক আচরণ করেন না বলেও অভিযোগ করেন এমপিরা। সূত্র : টেলিগ্রাফ, বিবিসি।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি কমিটি জানায়, ইউকেবিএতে এখন তিন লাখ দুই হাজার ৬৪টি আবেদন তদন্তের অপেক্ষায় আছে। এ সংখ্যা আইসল্যান্ডের জনসংখ্যার প্রায় সমান। গত এপ্রিল থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত তিন মাসেই ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। ব্রিটেনে অবস্থানের অনুমতি নেই_এমন ২৪ হাজার লোকের আবেদনও ইউকেবিএতে অপেক্ষাধীন। 'জঞ্জাল' হিসেবে পড়ে থাকা আবেদনগুলোর মধ্যে এখনো এক লাখ ৭৪ হাজার লোকের ঠিকানাও খুঁজে বের করতে হবে ইউকেবিএর কর্মকর্তাদের। গত বছর এ সংস্থা মাত্র ২৯ হাজার আবেদনের সুরাহা করে।
অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক হারপার দাবি করেছেন, ইউকেবিএ 'জোরালো পদক্ষেপ' নিতে শুরু করেছে। আর এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলো সুরাহার অঙ্গীকার করেছেন ইউকেবিএর কর্মকর্তারা।
অভ্যন্তরীণ বিষয়ক কমিটির প্রধান কেইথ ভাজ বলেন, ইউকেবিএতে জমা থাকা আবেদনের সংখ্যা আইসল্যান্ডের জনসংখ্যার প্রায় সমান এবং এগুলো ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। খুব কম সময়ের মধ্যে সব আবেদনের সুরাহা করতে গেলে ব্রিটেনে বসবাসের অনুমতি নেই এমন অনেক লোকের মামলা বন্ধ হয়ে যাবে।
ফলে তারা স্থায়ীভাবে ব্রিটেনে বসবাসের সুযোগ পেয়ে যাবে। অন্যদিকে ব্রিটেনে আশ্রয় দেওয়া দরকার বা ব্রিটেনে অবস্থান করার অনুমতি দেওয়া দরকার, এমন অনেক লোকের আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে। ইউকেবিএর কর্মকর্তারা জঞ্জাল হয়ে পড়ে থাকা আবেদনের সংখ্যা লুকানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন ভাজ। সীমান্ত সংস্থার কর্মকর্তারা মানসিকভাবে অসুস্থ অভিবাসীদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক আচরণ করেন না বলেও অভিযোগ করেন এমপিরা। সূত্র : টেলিগ্রাফ, বিবিসি।
No comments