প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক- অর্থমন্ত্রীর অসার বক্তব্য
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে যে অভিযোগ এনেছেন, তা গুরুতর। তাঁর দাবি, ড. ইউনূসের কারণেই বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না। অভিযোগটি যেহেতু সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর কাছ থেকে এসেছে, সেহেতু এটি মোটেই হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।
কিন্তু বাংলাদেশে বিনিয়োগ না আসার কারণ যে ড. ইউনূস, তার কোনো প্রমাণ কি অর্থমন্ত্রী দিতে পারবেন? কোনো প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপন খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
আমরা অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, কিছুদিন পরপর সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের ব্যক্তিরা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে চলেছেন। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের গোঁয়ার্তুমি বজায় থাকলেও দেশের ভাবমূর্তি যে বিনষ্ট হচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থমন্ত্রী লন্ডনের প্রখ্যাত সাময়িকী ইকোনমিস্ট-এর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের উদাহরণ টেনে বর্তমান সরকারের আমলে দেশে প্রভূত অর্থনৈতিক উন্নতি হওয়ার দাবি করেছেন। তাঁর এ দাবির সত্যতা নিশ্চয়ই অনেক ক্ষেত্রে রয়েছে। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগ না হওয়ার জন্য অপ্রাসঙ্গিকভাবে ড. ইউনূসকে কেন তিনি একহাত নিলেন, আমরা তা বুঝতে অপারগ। একজন ব্যক্তির কথিত প্রচারের কারণেই যদি বিদেশি বিনিয়োগ আটকে যায়, তাহলে সরকারের এত সব মন্ত্রী, আমলা ও কূটনীতিকেরা কী করছেন? দেশবাসী সরকারের কাছে সে প্রশ্নের জবাবও নিশ্চিয়ই চাইবে।
অর্থমন্ত্রীর জানা উচিত, বিদেশি বিনিয়োগ না আসার কারণ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথিত বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা নয়, বরং তাঁর প্রতি সরকারের বৈরী ও অনেক ক্ষেত্রে বিদ্বেষমূলক আচরণই বিদেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করছে। আমরা নিশ্চিত যে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তিনি করেছেন, তার সপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ উত্থাপন করতে পারবেন না। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে বিনিয়োগ না আসার কারণ সংঘাতময় ও অকার্যকর রাজনীতি, নাজুক যোগাযোগব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ জ্বালানির অপ্রতুলতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। সেগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য গত চার বছরে যথাযথ পদক্ষেপ না নিয়ে সরকার এখন কার্যত উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
ড. ইউনূসকে নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের এই বিদ্বেষমূলক প্রচারণা অবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন। ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার না করে তাঁদের উচিত জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তা পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো। মনে রাখতে হবে, বাতাসে ছড়ি ঘোরালে নিজের নাক কাটার আশঙ্কাই বেশি থাকে। অনেক হয়েছে, আর নয়। ড. ইউনূসকে নিয়ে বিতর্ক ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকুন। এ ব্যাপারে সরকারের বোধোদয় ঘটতে যত বিলম্ব হবে, দেশ ও জনগণের ক্ষতির পরিমাণ ততই বাড়বে।
আমরা অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, কিছুদিন পরপর সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের ব্যক্তিরা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে চলেছেন। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের গোঁয়ার্তুমি বজায় থাকলেও দেশের ভাবমূর্তি যে বিনষ্ট হচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থমন্ত্রী লন্ডনের প্রখ্যাত সাময়িকী ইকোনমিস্ট-এর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের উদাহরণ টেনে বর্তমান সরকারের আমলে দেশে প্রভূত অর্থনৈতিক উন্নতি হওয়ার দাবি করেছেন। তাঁর এ দাবির সত্যতা নিশ্চয়ই অনেক ক্ষেত্রে রয়েছে। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগ না হওয়ার জন্য অপ্রাসঙ্গিকভাবে ড. ইউনূসকে কেন তিনি একহাত নিলেন, আমরা তা বুঝতে অপারগ। একজন ব্যক্তির কথিত প্রচারের কারণেই যদি বিদেশি বিনিয়োগ আটকে যায়, তাহলে সরকারের এত সব মন্ত্রী, আমলা ও কূটনীতিকেরা কী করছেন? দেশবাসী সরকারের কাছে সে প্রশ্নের জবাবও নিশ্চিয়ই চাইবে।
অর্থমন্ত্রীর জানা উচিত, বিদেশি বিনিয়োগ না আসার কারণ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথিত বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা নয়, বরং তাঁর প্রতি সরকারের বৈরী ও অনেক ক্ষেত্রে বিদ্বেষমূলক আচরণই বিদেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করছে। আমরা নিশ্চিত যে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তিনি করেছেন, তার সপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ উত্থাপন করতে পারবেন না। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে বিনিয়োগ না আসার কারণ সংঘাতময় ও অকার্যকর রাজনীতি, নাজুক যোগাযোগব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ জ্বালানির অপ্রতুলতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। সেগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য গত চার বছরে যথাযথ পদক্ষেপ না নিয়ে সরকার এখন কার্যত উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
ড. ইউনূসকে নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের এই বিদ্বেষমূলক প্রচারণা অবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন। ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার না করে তাঁদের উচিত জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তা পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো। মনে রাখতে হবে, বাতাসে ছড়ি ঘোরালে নিজের নাক কাটার আশঙ্কাই বেশি থাকে। অনেক হয়েছে, আর নয়। ড. ইউনূসকে নিয়ে বিতর্ক ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকুন। এ ব্যাপারে সরকারের বোধোদয় ঘটতে যত বিলম্ব হবে, দেশ ও জনগণের ক্ষতির পরিমাণ ততই বাড়বে।
No comments