‘তোমাদের মধ্যে মালালা কে, কে মালালা?’
‘তোমাদের মধ্যে মালালা কে, কে মালালা?’—বাসে উঠেই বন্দুকধারী জিজ্ঞেস করে। এ সময় মালালা বলে ওঠে, ‘আমি মালালা’। সঙ্গে সঙ্গে তাকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় গুলি। লুটিয়ে পড়ে মালালা। মালালার সঙ্গে আহত হওয়া তার সহপাঠী কাইনাত রিয়াজ এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে।
পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় গত ৯ অক্টোবর তালেবানের গুলিতে আহত হয় মালালা ইউসুফজাই। তার সঙ্গে সহপাঠী কাইনাত রিয়াজ ও শাজিয়া রমজানও আহত হয়। মালালার মাথায় আর কাইনাতের হাতে গুলি লাগে। সম্প্রতি কাইনাত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বিবিসির প্রতিবেদক শামিমা খলিলকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাইনাত বলে, ‘গুলি ছোড়ার মুহূর্তটি ছিল খুবই ভয়ঙ্কর। আমরা সবাই আতঙ্কে কাঁপতে থাকি। গুলি খেয়ে নিচে লুটিয়ে পড়ে মালালা। আমার এক হাতও গুলিবিদ্ধ হয়। অন্য হাত দিয়ে আমি হাতের গুলিবিদ্ধ স্থান চেপে ধরি। এ সময় আমাদের মাথা কাজ করছিল না। সবকিছুই যেন কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ঘটে গেল।’
কাইনাত বলে, ‘আমরা সবাই মালালাকে চিনতাম। কারণ, আমরা অন্য সহপাঠীরা সব সময় নেকাব দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতাম। তবে মালালা কখনোই মুখ ঢাকত না। আর বন্দুকধারী মালালাকে খোঁজ করতেই নির্ভয়ে সে বলে ওঠে, আমি মালালা।’
কাইনাত বলে, ‘বাসের সবাই চিৎকার করছিল। তবে বাসের চালক ঘটনাটা বুঝতে পেরেছিলেন। তাই গাড়ি থামাননি তিনি। বিপুল সাহসের সঙ্গে বাস দ্রুত চালিয়ে নিয়ে তিনি আহত কিশোরীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেন।’ সে আরও বলে, ‘তাৎক্ষণিক ঘটনা আমার মনে থাকলেও পরক্ষণেই আমি মূর্ছা যাই।’ বিবিসি।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাইনাত বলে, ‘গুলি ছোড়ার মুহূর্তটি ছিল খুবই ভয়ঙ্কর। আমরা সবাই আতঙ্কে কাঁপতে থাকি। গুলি খেয়ে নিচে লুটিয়ে পড়ে মালালা। আমার এক হাতও গুলিবিদ্ধ হয়। অন্য হাত দিয়ে আমি হাতের গুলিবিদ্ধ স্থান চেপে ধরি। এ সময় আমাদের মাথা কাজ করছিল না। সবকিছুই যেন কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ঘটে গেল।’
কাইনাত বলে, ‘আমরা সবাই মালালাকে চিনতাম। কারণ, আমরা অন্য সহপাঠীরা সব সময় নেকাব দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতাম। তবে মালালা কখনোই মুখ ঢাকত না। আর বন্দুকধারী মালালাকে খোঁজ করতেই নির্ভয়ে সে বলে ওঠে, আমি মালালা।’
কাইনাত বলে, ‘বাসের সবাই চিৎকার করছিল। তবে বাসের চালক ঘটনাটা বুঝতে পেরেছিলেন। তাই গাড়ি থামাননি তিনি। বিপুল সাহসের সঙ্গে বাস দ্রুত চালিয়ে নিয়ে তিনি আহত কিশোরীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেন।’ সে আরও বলে, ‘তাৎক্ষণিক ঘটনা আমার মনে থাকলেও পরক্ষণেই আমি মূর্ছা যাই।’ বিবিসি।
No comments